Bartaman Patrika
সাপ্তাহিক বর্তমান
 

অপদেবতা কি ক্ষতি করে?

অপদেবতা মানুষের ক্ষতি না উপকার করে? লিখেছেন অগ্নিশ্বর সরকার।
 
‘দেবা যক্ষাস্তথা নাগা গন্ধর্বাপ্সরাসোহসুর
ক্রুরাঃসর্পাঃ সুর্পণাশ্চ তরবো জিক্ষগা খগাঃ
বিদ্যাধরা জলা ধারান্তস্তথৈবাকাশাগামিনঃ।।’—
মানব সৃষ্টির জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব ভালো আর মন্দের। দ্বন্দ্ব সুখ আর দুঃখের। দ্বন্দ্ব সুর আর অসুরের। দ্বন্দ্ব দেবতা আর অপদেবতার। অশুভ শক্তি সর্বদাই শুভর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সম্মুখ সমরে প্রতিবারই অশুভ শক্তির পরাজয় হয়েছে। 
বিভিন্ন পুরাণে দেখা গেছে দেবতাদের বরে পরিপুষ্ট হয়ে বর দাতাদেরই বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে অসুরেরা। সেই বিদ্রোহী অসুরদের শায়েস্তা করতে কখনও বিষ্ণু ধরেছেন বিভিন্ন অবতারের রূপ, শিব করেছেন তাণ্ডব আবার জগজ্জননী আবির্ভূতা হয়েছেন দুর্গা বা মা কালী রূপে। অসুর দমন করে পৃথিবীতে শান্তির বাতাবরণ ছড়িয়েছেন দেবতারা। পুরাণের বেশিরভাগ অসুরই জ্ঞানী ছিলেন। পরে দাম্ভিক হয়ে ডেকে এনেছেন নিজেদের বিপদ। সময় এগিয়ে চলেছে নিজের গতিতে। মনুষ্য সমাজে এই অশুভ শক্তি রূপ পরিবর্তন করে পরিণত হয়েছে অপদেবতাতে। সমাজ বিভক্ত হয়েছে নানা বৈশিষ্ট অনুসরণ করে; ঠিক তেমনভাবেই জন্ম নিয়েছে অপদেবতার। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অপদেবতাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে বিভিন্ন কুসংস্কার। 
অপদেবতার বাংলা অর্থ অপকৃষ্ট দেবতা। অর্থাৎ যে সকল দেবতা অপকার সাধন করে। অপদেবতা বলতে আমরা সাধারণভাবে বুঝি ভূত, প্রেত, যক্ষ ইত্যাদি। লক্ষ করা গেছে অপদেবতা অধিকাংশ জায়গাতেই লৌকিক দেবতা বা আরও নির্দিষ্ট করে বললে আঞ্চলিক লৌকিক দেবতা। এই দেবতার থান সাধারণত গ্রামের বাইরে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে এই অপদেবতারা সাধারণ লৌকিক দেবতা হিসেবে পূজিত হন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-যক্ষ যক্ষিণী পুজো বর্তমানে পরিণত হয়েছেন মুর্শিদাবাদের যাখিন চণ্ডীতে অথবা বর্ধমানের অন্যতম অপদেবতা জটাধারী এখন সাধারণ লোকদেবতায় পরিণত হয়েছেন। হিন্দু ধর্ম অনুসারে দেবতা তিন শ্রেণির। ১) বৈদিক দেবতা। ২) পৌরাণিক দেবতা। ৩) লৌকিক দেবতা।
অপদেবতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লৌকিক দেবতা। অবশ্য সব লৌকিক দেবতাই অপদেবতা নন। ভাগবতপুরাণের ৪, ৬, ১০ অধ্যায়ে এদেরকে উপদেবতায় ভূষিত করা হয়েছে। আবার বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবযোনি সম্ভূত বা উপদেবতাকে বলা হয়েছে ‘ব্যন্তর দেবতা’। ‘ব্যন্তর’ শব্দটির অর্থ হল, এই দেবতারা মানুষ ও দেবতার মধ্যবর্তী ক্ষমতা সম্পন্ন পৌরাণিক পুরুষ। এরা সাধারণত অবৈদিক দেবদেবী। পুরাতাত্ত্বিক খননে যেমন দেবতাদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, তেমনই পাওয়া গিয়েছে অনেক অপদেবতার সন্ধানও। 
অপ্সরা– এঁরা মূলত উপদেবী। হিন্দু এবং বৌদ্ধ পুরাণ অনুসারে মেঘ এবং জল থেকে উদ্ভূত এক নারীর আত্মা হল অপ্সরা। সংস্কৃত শব্দ ‘অপ্স’ বাংলায় এর অর্থ জল থেকে এদের উৎপত্তি, তাই এদের অপ্সরা বলা হয়। অপ্সরার ইংরেজি হল জলপরী, অনেকে এঁকে স্বর্গীয় জলপরী এবং স্বর্গীয় কুমারী বলেও অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন। অপ্সরা আবার দুই ধরনের লৌকিক এবং দৈবিক। লৌকিক অপ্সরার সংখ্যায় ৩৪ এবং দৈবিক অপ্সরারা সংখ্যায় মোটামুটি ১০ জন। শুধু হিন্দু নয়, বৌদ্ধধর্মেও অপ্সরাদের উল্লেখ আছে। অপ্সরারা মায়ারূপিণী, সেইজন্য নিজেদের দেহের পরিবর্তন করতে পারেন। 
যক্ষ— যক্ষের উদ্ভব দেবযোনি থেকে। যক্ষের স্ত্রীলিঙ্গ হল যক্ষিণী। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে— ব্রহ্মা প্রথমে জল সৃষ্টি করেন, পরে সেই জল রক্ষার জন্য প্রাণী সৃষ্টি করলেন। সেই প্রাণীদের একদল বলল— যক্ষামঃ, অর্থাৎ আমরা পুজো করব। অন্যদল বলল- রক্ষামঃ, অর্থাৎ আমরা রক্ষা করব। ব্রহ্মার আদেশে—যারা যক্ষামঃ বলেছিলেন, তাঁরা যক্ষ হলেন, আর যারা রক্ষামঃ বলেছিলেন– তাঁরা হলেন রাক্ষস। সেই থেকেই বোধহয় যক্ষদের বাস পুকুরে। যক্ষরা ভীষণ রাগী। তাঁরা কুবেরের অনুচর ছিলেন। এঁদের বর্ণ কালো, মুখ বিকৃত, পিঙ্গল বর্ণের চোখ, বিরাট পেট, দীর্ঘ কাঁধবিশিষ্ট। কুবের হলেন ধন-দৌলতের দেবতা, তাঁর অনুচরেরা সেই ধনসম্পদ রক্ষা করে চলেছে। কথায় আছে ‘যক্ষের ধন’, ধন-সম্পদ রক্ষা করার কাজে যক্ষের জুড়ি মেলা ভার। যক্ষরা দেখতে যে সবাই ভয়ংকর এমনটা নয়।  হাতিমুখো এক যক্ষ আছেন অমরাবতী স্তূপে। তিনমুখো এক যক্ষের নাম ত্রিমুখী, তাঁর তিনটি চক্ষু। কুবেরের হাতে থাকে টাকার থলি, তাঁর বাহন নর। অন্য যক্ষ যক্ষীরা চামর ধরে থাকে ডান হাতে। যক্ষিণীরা দেখতে যক্ষদের চেয়ে সুন্দর, অনেকেই রূপবতী, সৌন্দর্যের ছলনায় মানুষকে ভুলিয়ে দূরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে।
কিন্নর— কিন্নর শব্দের অর্থ কিম্পুরুষ; দেবলোকের সুকণ্ঠ গায়ক। স্ত্রীলিঙ্গ হল কিন্নরী, অর্থাৎ দেবলোকের গায়িকা। পুরাণে আছে কিন্নরদের ঘোড়ার মতো মুখাবয়ব এবং মানুষের মতো দেহ। পুরাণ অনুযায়ী এঁদের দু’ভাগে ভাগ করা হয়— উপমান কিন্নর ও উপমিত কিন্নর। বৌদ্ধ পুরাণ অনুসারে কিন্নর স্বর্গীয় সঙ্গীতজ্ঞ বিশেষ। অংশত পাখি। পা দুটি হাঁসের মতো। কিন্নরী বীণা এঁদের আবিষ্কৃত বাদ্যযন্ত্র। এঁরা সূক্ষ্মদেহী। পলকে বিশ্ব ভ্রমণে সক্ষম। এঁরা শুধুই স্রষ্টার আজ্ঞাবহ। 
প্রেত— সংস্কৃত শব্দ প্রেত অর্থ ‘গত, মৃত, মৃত ব্যক্তি’। প্রেত হল তারাই যারা পূর্ব জীবনে মিথ্যুক, ভ্রষ্ট, বলপ্রয়োগী, ধূর্ত-প্রতারক, হিংসুক বা লোভী ব্যক্তি ছিল। এরা এমনই এক অতিপ্রাকৃত সত্তা যারা চরম ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মানুষের চেয়ে অধিক পীড়াভোগ করছে। হিন্দু ধর্ম মতে, পার্থিব শরীর জল, বায়ু, অগ্নি, পৃথ্বী ও আকাশ দ্বারা গঠিত। এরমধ্যে যেকোনও একটি বা একাধিক উপাদান কম থাকলেই তাকে প্রেত বলে। 
এই পদার্থের অনুপস্থিতির কারণেই প্রেতরা কিছুই হজম করতে পারে না, তাই ক্ষুধার্ত রয়ে যায়। প্রেত অনেকটা মানুষের মতো দেখতে, তবে সঙ্কুচিত ত্বক, সরু অঙ্গ, অতিশয় ফোলা পেট ও লম্বা গলা বিশিষ্ট। প্রেতরা স্বভাবতই আবর্জনাময় ও পরিত্যক্ত স্থানে বাস করে। এরা ক্ষুধার সঙ্গে সঙ্গে অসহনীয় উষ্ণতা ও শীতের পীড়াভোগ করে। জাপানে প্রেতকে ‘গাকি’ বলা হয়। হিন্দু ধর্ম অনুসারে পারলৌকিক ক্রিয়া কর্মাদির সময় প্রেতের উদ্দেশে খাবার উৎসর্গ করা হয়। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের মধ্যে প্রেতদের করুণা দেখাবার জিনিস হিসেবেই দেখা হয়। বৌদ্ধ মঠে ভিক্ষুরা আহারের পূর্বে প্রেতেদের উদ্দেশে খাদ্য, অর্থ বা ফুল রেখে দেন। 
পিশাচ— পিশাচ শব্দের অর্থ ভূত বা প্রেতযোনি বিশেষ। এর স্ত্রীলিঙ্গ পিশাচী বা পিশাচিনী। এরা সাধারণত শ্মশানবাসী। মৃতদেহ খায়। এরা থাকে মাটির নীচে। দেহে সূর্যের ছটা লাগলেই এরা শেষ হয়ে যায়। পিশাচরা সম্ভবত এক হাজার এবং এক রাত্রি বাঁচে। এদের অবস্থান রাক্ষসদের চেয়ে নীচে। এরা মানুষকে বিপথে ও বিপদে ফেলার চেষ্টা করে। হিন্দুপুরাণে সৃষ্টিতত্ত্বের গোড়ায় আছে সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা দেবতা, দানব ও মানুষ তৈরি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলেন। প্রচণ্ড খিদেয় তাঁর সর্বশরীর জ্বলছে, হঠাৎ তাঁরই গড়া একদল প্রাণী অন্য এক দলকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে। এরা হল যক্ষ, রক্ষঃ বা রাক্ষস। ব্রহ্মা ভীষণ অসন্তষ্ট, রাগে তাঁর মাথার চুল খসে পড়ে। সেগুলো ক্রমে রূপ নিল সাপের। জঘন্য সেই সাপ দেখে খেপে গেলেন সৃষ্টিকর্তা। সেই ক্রোধ থেকে জন্ম নিল মাংসখেকো পিশাচ।
এ তো গেল বেশ কিছু বহুল প্রচলিত অপদেবতা বা উপদেবতার কথা। এবার বলা যাক কয়েকটি অ-লৌকিক দেবতার কথা। 
মাশান— উত্তরবঙ্গের বহুল পূজিত অপদেবতা (মতান্তরে উত্তরবঙ্গের লোকায়ত দেবতা) হল মাশান ঠাকুর। এই ঠাকুরের পুজো সাধারণত শ্মশানেই করা হতো। মাশানের জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে দুটি চালু মতবাদ আছে। প্রথমটি হল— 
   ‘নাচিতে নাচিতে কালী আইয়ের/চুইয়া পড়ে ঘাম।
      তাতে সৃষ্টি হ‌ইল/এ জলা মাশান।’—অর্থাৎ, নৃত্যরতা কালীর দেহ থেকে ঝরে পড়া এক একটি ঘামের বিন্দু থেকে একটি করে মাশানের সৃষ্টি হয়েছে। 
অার একটি মতানুসারে মা কালী নদীতে স্নান করতে যান। হঠাৎ সেখানে ধর্মদেবতার আবির্ভাব ঘটে। উভয়ের মিলনের ফলে জন্ম হয় মাশানের। এই মত ছাড়াও মাশান ঠাকুর আসলে যক্ষ-যক্ষীর পুত্র। অথবা মাশান ঠাকুর শিবের অন্য রূপ এইসব মতবাদ চালু বলে শোনা যায়। 
ভাদ্র মাসে জন্মের পর মাশানের নাড়িভুঁড়ি মা কালী জলাশয়ে ছুড়ে ফেলেন তা থেকে কলমি শাকের উৎপত্তি। তাই প্রচলিত প্রবাদ হল,  ‘ভাদর মাসে কলমু শাকে যে বা জন খায়
          মাশানের নাড়ি সে অবশ্য চবায়।’
তাই মাশানে বিশ্বাসী কেউ ভাদ্র মাসে কলমির শাক খায় না।
গদ্রবঙ্গা—সাঁওতাল গোষ্ঠীর পূজিত এক বিশেষ অপদেবতা হলেন গদ্রবঙ্গা। একে অনেকে গুদ্রা বঙ্গা বা কুদ্রা বঙ্গাও বলেন। গদ্রবঙ্গার মূর্তি মাটি দিয়ে তৈরি করা হয় না। এটি সাঁওতালদের হাতে বানানো বিশেষ এক পুতুল। উচ্চতা দু-তিন ফুটের বেশি নয়। দেখতে হয় অনেকটা ছোট বাচ্চা মতো। সাঁওতালদের বিশ্বাস গদ্রবঙ্গাকে আরাধনা করে খুশি করতে পারলে তিনি প্রচুর ধনদৌলত দেবেন। আর যদি পুজো করে তাঁকে খুশি না করা যায় তবে তিনি প্রাণ পর্যন্ত নিতে পারেন। 
এমন সব অপদেবতাদের অস্তিত্ব কতটা আছে তা নিয়ে তর্ক চলতেই পারে। কালক্রমে এই অপদেবতার আখ্যান জন্ম দিয়েছে অনেক কুসংস্কারের। বিশ্বব্যাপী একটি বহুল প্রচলিত শব্দ হল ‘ইভিল’। মাথায় সিং, পশ্চাতে একটি চাবুকের মতো লেজ, পশুর মাথা বিশিষ্ট অদ্ভুত দর্শন প্রাণী হল ইভিল। এর মানে মন্দ বা অশুভ। তাই এই অশুভর কাল্পনিক রূপ কদাকার। এছাড়াও টিউনিসিয়ার কার্থেজ অঞ্চলের একটি অপদেবতা ‘মোলক’কে দেখতে পাই। মাথাটা ষাঁড়ের আর দেহটা মানুষের, বিকট-দর্শন এক মূর্তি। শরীরে সাতটা প্রকোষ্ঠ। নীচের দিকে জ্বালিয়ে দেওয়া হতো আগুন। আগুনের লেলিহান শিখা পৌঁছে যেত সব প্রকোষ্ঠে। আর সেই শিখায় দগ্ধ হতো শিশুরা! আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করত তাদের। এইভাবে চলত একটা নৃশংস উপচার। গোটা সমাজের বুকে অপদেবতা নিয়ে জ্বলন্ত সত্য হল এই ‘মোলক’। 
পরিশেষে একটা কথা বলা যায়—‘আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও।’ অর্থাৎ দেবতা বা অপদেবতা নিয়ে শুভ-অশুভের যুদ্ধ চলতেই থাকবে। 

07th  October, 2024
মৃত্যু কি আগাম
ইঙ্গিত দেয়?

স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন, মৃত্যু চিন্তা ভালো। কারণ এই জগৎ কতটা মিথ্যা সেটা বোঝার জন্য। তবে মৃত্যুভয় ভালো নয়। জগতের বড় বিস্ময় মৃত্যু। মৃত্যুকালে মানুষের শুদ্ধ চেতনাকে আচ্ছন্ন করে দেয় অন্ধকার। সাধক-যোগীরা সেই অন্ধকারকে কাটাতে পারেন। বীরের মতো দেহ ছেড়েছেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, রাম ঠাকুর, বালানন্দ ব্রহ্মচারি, নিগমানন্দ ঠাকুর, পরমহংস যোগানন্দ স্বামী, দুর্গাপুরী মাতাজি। মৃত্যুযোগ যাঁরা অভ্যাস করেন তাঁরাই নিজের মৃত্যুকালটি জানতে পারেন। সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন মৃত্যুকাল আসন্ন? মৃত্যুকালে মানুষের মুখ কেন খোলা থাকে? শাস্ত্রে আছে, কারও যদি মনে হয় সূর্যের তেজ কমে আসছে, তাহলে তার আয়ু বেশিদিন নেই। রয়েছে আরও কিছু পূর্ব লক্ষণ। মৃত্যুর পূর্বে মানুষ নানারকম স্বপ্ন দেখেন, কী সেই স্বপ্ন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।
বিশদ

07th  October, 2024
আত্মার উপস্থিতি কীভাবে
অনুভব করা যায়?

আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে অনেক কথা শোনা যায়। আশ্চর্যের বিষয়, মহাপুরুষ থেকে সাধারণ মানুষও আত্মার উপস্থিতি বুঝতে পারেন। আচার্য শঙ্করাচার্য থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ, আবার রাম ঠাকুর থেকে নিগমানন্দ সরস্বতী এমনকী বিশ্বের তাবড় মনীষীরাও স্বীকার করেন আত্মার অস্তিত্ব। জীবন ফুরিয়ে গেলেই তা শেষ হয়ে যায় না। এ বিষয়ে গীতা থেকে ভারতীয় অধ্যাত্মশাস্ত্র কী বলে? প্ল্যানচেটে অাত্মা আনা সম্ভব। কলকাতায় এক সময় এটি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু আত্মারা কখনও স্বইচ্ছায় আসেন তাঁর প্রিয়জনের কাছে! তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী হন। কোন পরিস্থিতিতে আত্মারা আসেন? কীভাবে বুঝবেন তাঁদের উপস্থিতি? কী সহায়তা করেন তাঁরা? লিখেছেন সোমব্রত সরকার। 
বিশদ

07th  October, 2024
ঘরোয়া টোটকায় কী কী রোগ সারে?
শম্পা চক্রবর্তী

হাজার হাজার বছর আগে যখন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি ঘটেনি, মানুষজনের কাছে অ্যালোপ্যাথি বা হোমিওপ্যাথি ওষুধেরও কোনও ধারণা ছিল না। তখন থেকেই মানুষজন বিভিন্ন অসুখবিসুখের মোকাবিলায় প্রাকৃতিক বা ভেষজ চিকিৎসার ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করত। বিশদ

07th  October, 2024
রোগ নিরাময়ে টোটকা?
ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য

হাতের কাছে চট করে পাওয়া যায় এমন ভেষজ যে প্রয়োজনে ছোটখাট অসুখ সারাতে পারে তা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে হয়তো কখনও জানতেন এখন আর মনে পড়ছে না। বিশদ

07th  October, 2024
কেদারনাথ থেকে রামেশ্বরম
কেন এক সরলরেখায় ৭টি শিবলিঙ্গ?

ভারতে এমন সব মন্দির আছে যার রহস্য উদঘাটন আজও কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি। কেউ বলেন এ হল দেব-মহিমা। কারও মতে সবটাই কাকতালীয়। এমনই এক অদ্ভুত ও আকর্ষণীয় বিষয় হল শিবশক্তি রেখা। কী এই শিবশক্তি রেখা? দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় মাঝবরাবর ৭৯° দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত বিখ্যাত ৭টি শিব মন্দির। এই শিবশক্তি রেখা এক রহস্য। যার উত্তরে অবস্থিত কেদারনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ আর দক্ষিণে রামেশ্বরম জ্যোতির্লিঙ্গ।  এই দুইয়ের মাঝে রয়েছে পাঁচটি রহস্যময় পঞ্চভূতেশ্বর শিবলিঙ্গ। কেন শিবশক্তি রেখায় অবস্থিত শৈবক্ষেত্রগুলো? বিজ্ঞান কি বলে এই শিবশক্তি রেখা নিয়ে? লিখেছেন সমুদ্র বসু।
বিশদ

07th  October, 2024
হার্ট ভালো রাখবেন কী করে?
ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস

হার্টের অসুখকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হার্টের নানারকম অসুখ হয়। সব অসুখ নিয়ে স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব নয়। কী কী নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থাকবে আপনার হার্ট? এই লেখায় মূলত সেই নিয়েই আলোচনা করব। তার আগে ছোট করে বলে নিই সাধারণত কোন কোন হার্টের অসুখে বেশি ভুগি আমরা।   বিশদ

07th  October, 2024
হার্ট ভালো 
রাখুন খাবারে
অরিত্র খাঁ

হার্টের শরীর ও স্বাস্থ্যের কথা যদি আমরা মেডিক্যাল ডায়েটের পরিভাষায় বলি তাহলে প্রথমেই উঠে আসবে ‘ডিসলিপিডেমিয়া’(Dyslipidemia)-এর কথা। আমাদের শরীরে লিপিড প্রোফাইল অর্থাৎ কোলেস্টেরলের মাত্রা মাঝেমধ্যে এদিক ওদিক হয়। শরীরে ভালো ও খারাপ দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। বিশদ

07th  October, 2024
ভালো রাখুন আপনার হার্ট
ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল

কীভাবে ভালো রাখবেন হার্ট? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ বলছেন ‘সুপারফুড’ খেতে, আবার কেউ বলছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করতে। এছাড়াও আছে ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিন’-এর নানা চমকদার ‘থেরাপি’। অনেকে ‘গোপন’ টোটকার কথাও বলেন। কিন্তু এর মধ্যে কোনটা কার্যকর? সত্যিই কি হার্ট ভালো রাখার জন্য বিশেষ কিছু করতে হয়? এই নিয়ে আলোচনা করা যাক। 
বিশদ

07th  October, 2024
যোগচর্চায় সুস্থ রাখুন হার্ট
আশীষ সেন

হার্টকে সুস্থ রাখতে যোগচর্চার জুড়ি নেই। ‘হৃদযন্ত্র’ শব্দটিকে বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় বুকের মধ্যস্থিত স্পন্দনশীল রক্ত সঞ্চালক শারীরিক যন্ত্র বিশেষ। শুধুমাত্র মানবজীবন নয় সমস্ত প্রাণীর ক্ষেত্রেই এই ‘শারীরিক যন্ত্র’ প্রাণকে আমৃত্যু সচল রাখে। বিশদ

07th  October, 2024
সাধারণ রোগে কী ডায়েট?

কোন সময়ে কী খাবেন জানালেন পুষ্টিবিদ ডাঃ রঞ্জিনী দত্ত।
  বিশদ

07th  October, 2024
কোন রোগে 
কী পথ্য?

সুস্থ থাকার জন্য যা খাই, তা খাদ্য। রোগীর বেলায় সেটি হয়ে যায় পথ্য। এই পথ্য তখন ওষুধের সঙ্গে মিলেমিশে রোগ সারায়। সেই পথ্যধর্মী খাবার যদি দৈনন্দিন জীবনে খাওয়া যায়, তাহলে শরীর এমনিতেই সুস্থ থাকবে। খাদ্যকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে রোগবালাই পালাবে। সুস্থ মানুষ রোজকার খাবারে কোন কোন পদ কতটা খাবেন? অসুস্থ ব্যক্তি কী খাবার খাবেন, সেই হিসেব কি জানেন? খাদ্য যে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে তা সবাই জানে। ঠিক মতো খাবার খেয়ে সুস্থতা বজায় রাখার উপায় বললেন ডাঃ সুবলকুমার মাইতি। 
বিশদ

07th  October, 2024
বদ্রীনাথ থেকে বসুধারা
প্রসেনজিৎ পোদ্দার

খাদের সীমানা বরাবর গাঁথা পাঁচিলের ঠিক পরেই, প্রায় হাত বাড়ানো দূরত্বে, নীচের সুগভীর গিরিখাত ধরে ছলবলিয়ে প্রবহমানা তীব্র স্রোতস্বিনী অলকানন্দা। তার স্বচ্ছ নীলাভ জলরাশি চলার পথে এখানে-ওখানে পাথরের বুকে ধাক্কা খেয়ে, সফেন ধারায় ছুটে চলেছে সুতীব্র গতিতে। বিশদ

07th  October, 2024
জয়ন্তীর জঙ্গলে দিনরাত্রি
সোমনাথ  মজুমদার

কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস এন জে পি স্টেশন থেকে যখন ছাড়ল বাইরে মুষল ধারায় বৃষ্টি পড়ছে। ঘণ্টা দেড়েক বৃষ্টির পর আবার আকাশ মেঘমুক্ত। হাসিমারা স্টেশন পার হয়ে গিয়েছে, বক্সার গভীর অরণ্যর মধ্যে এঁকে বেঁকে চলেছে ট্রেন। দরজায় দাঁড়িয়ে দূরের ডিজেল ইঞ্জিনকে দেখা যায়। বিশদ

07th  October, 2024
থর মরুভূমিতে এক রাত
ডাঃ অমিতাভ  ভট্টাচার্য

 

আকাশে তখন পূর্ণিমার চাঁদ। মাথায় টুপি আর গায়ে চাদর জড়িয়ে, তাকিয়ায় হেলান দিয়ে, হাতে গড়গড়ার নল নিয়ে চোখের সামনে যখন রাজস্থানি সুন্দরীর লোকনৃত্য দেখছিলাম। আর মাঝে মাঝে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছিলাম, তখন নিজেকে রাজাই মনে হচ্ছিল। থর মরুভূমি থুড়ি জয়সলমিরের রাজা।
বিশদ

07th  October, 2024

Pages: 12345

একনজরে
মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...

শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিউ আলিপুরে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক যানজট, শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে

07:38:00 PM

পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ, হতাহতের খবর নেই

07:38:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-জামশেদপুর ০ (৭ মিনিট)

07:37:00 PM

নিউ আলিপুরে ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় অকুস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন, উপস্থিত রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার

07:34:00 PM

কুয়েতের শেখ সাদ আল আবদুল্লাহ ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বক্তব্য রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

07:32:00 PM

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিহারে ৯৪ লক্ষ পরিবারের আয় ৬ হাজার টাকার কম, কাটিহারে বললেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব

07:30:00 PM