Bartaman Patrika
সাপ্তাহিক বর্তমান
 

যোগচর্চায় সুস্থ রাখুন হার্ট
আশীষ সেন

হার্টকে সুস্থ রাখতে যোগচর্চার জুড়ি নেই। ‘হৃদযন্ত্র’ শব্দটিকে বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় বুকের মধ্যস্থিত স্পন্দনশীল রক্ত সঞ্চালক শারীরিক যন্ত্র বিশেষ। শুধুমাত্র মানবজীবন নয় সমস্ত প্রাণীর ক্ষেত্রেই এই ‘শারীরিক যন্ত্র’ প্রাণকে আমৃত্যু সচল রাখে। সুতরাং হার্টকে সুস্থ ও সবল রাখার দায়িত্ব প্রত্যেকের নিজের। সঠিক জীবনশৈলী হল বয়স এবং পরিশ্রম অনুযায়ী পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, শরীরচর্চা ও বিশ্রাম নেওয়া। পাশাপাশি অতি উত্তেজনা, চিন্তা, নেশা এবং উদ্বেগ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। 

হার্টের মূলত চারটি কাজ রয়েছে। 
১. অক্সিজেন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ রক্ত সারা শরীরে পৌঁছে দেওয়া। 
২. সারা শরীর থেকে অশুদ্ধ ও বর্জ্যপদার্থ বয়ে নিয়ে আসা। 
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা। 
৪. বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন বিভিন্ন গ্রন্থিতে পৌঁছে দেওয়া। 
এবার প্রশ্ন আসতে পারে, কীভাবে আমাদের হৃদযন্ত্রকে সুস্থ ও সবল রাখব? এক্ষেত্রে ছোট থেকে বড় সকলকেই একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন নিয়ম বেঁধে খাবার গ্রহণ, শরীরচর্চা, বিশ্রাম। পাশাপাশি, প্রত্যেকদিন নিয়ম করে সঠিক ও প্রয়োজনমতো আসন, প্রাণায়াম, ধ্যানও করতে হবে। 
হার্ট সম্পর্কিত ভুল ধারণার উদাহরণ
ধরুন আপনার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। এই ব্যথার জন্য কখনওই ধরে নেবেন না যে আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। প্রথমে ভালোভাবে লক্ষ রাখতে হবে ব্যথাটা বুকের কোন জায়গায় হচ্ছে। ব্যথাটা স্থায়ী, না সারা শরীরে ঘুরছে? হঠাৎ করে না জেনেই কোনও ওষুধ খাবেন না। নাক দিয়ে জোরে জোরে ৪-৫ বার শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। পর্যবেক্ষণ করুন ব্যথার চরিত্র। চাপচাপ ব্যথা না চিনচিন ভাব, দম নিতে কষ্ট হচ্ছে কি না, মাথা ঘুরছে কি না, গা-হাত-পা কাঁপছে কি না এই সমস্ত বিষয়গুলি প্রথম ১-২ মিনিট পর্যবেক্ষণ করুন। 
প্রথমে আসা যাক ব্যথার কথায়। দিনের যেকোনও সময় আপনার বুকে বহিরাগত আঘাতের ফলে ব্যথা হতে পারে। ১-২ দিন ব্যথাটা একই জায়গায় অবস্থান করবে। ওষুধ খেয়ে এই ব্যথা সারাবেন না। এটা কোনও হার্টের রোগ নয়। 
আপনার যদি চাপা ব্যথা, চিনচিন ব্যথা এবং দমবন্ধ ব্যথা ডান, বাম এবং মধ্যখানে মুভ করতে থাকে সেক্ষেত্রে একদম ঘাবড়াবেন না। ব্যথাটা কীজন্য হচ্ছে সেটা নির্ধারণ করতে হবে। যদি বুঝতে না পারেন তবে বাম হাত ভাঁজ করে বাম দিকে পাঁজরের নীচে রেখে বাম দিকে কাত হয়ে দেখুন ঢেঁকুর বা গ্যাস বের হয় কি না। যদি না বের হয় ফের চেষ্টা করুন। ঢেঁকুর ওঠার পর বুঝতে পারবেন কেন বুক ব্যথা করছিল। 
সর্দি, কাশি হলে অনেক সময় বুকে দমবন্ধ হওয়া বা ব্যথা অনুভব হয়। শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি অনুলোম বিলোম করতে পারেন। 
 হার্টের যে সমস্ত অসুখ রয়েছে সেগুলি হল—করোনারি আর্টারি ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাওয়ার্টিক ডিজিজ, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ, স্ট্রোক ভালভ ডিজিজ, অ্যারাইথিমা ইত্যাদি। যাবতীয় হার্টের অসুখ থেকে মুক্তি পেতে নিম্নলিখিত আসন ও প্রাণায়ামগুলি করা জরুরি। 

১. ডিপ ব্রিদিং উইথ চেস্ট কনট্রাকশন : 
প্রণালী: সোজা হয়ে একটি ম্যাটের উপর দাঁড়ান। দুই পায়ের মধ্যে ৪ ইঞ্চি দূরত্ব রাখুন। দুই হাত বুক বরাবর সোজা রাখুন। এবার নাক দিয়ে গভীর শ্বাসগ্রহণ করে আড়াআড়িভাবে কাঁধ বরাবর হাতদুটিকে নিয়ে আসুন। এইভাবে মোট ২০ বার করে এই আসনটি অভ্যেস করুন। 

২. স্ট্যান্ডিং হ্যান্ডস আপ অল্টারনেটিভলি উইথ ব্রিদিং:    
প্রণালী: ফের পূর্বের অবস্থায় দাঁড়ান। দুই হাত দুই দিকে আপনার পাশে রাখুন। এইবার নাক দিয়ে শ্বাসগ্রহণ করে ডান হাত সোজা সামনে দিয়ে উপরে তুলে ধরুন। বাম হাত নির্দিষ্ট জায়গায় থাকবে। এরপর শ্বাস ছেড়ে ডান হাত নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে আসুন। পরক্ষণেই বাম হাত সোজা করে শ্বাসগ্রহণ করে উপরে তুলে ধরুন। এবং শ্বাস ছেড়ে বাম হাত নির্দিষ্ট জায়গায় নামান। এমনভাবে ধীরে ধীরে একটা হাত ১০ বার করে অভ্যেস করুন। 

৩. ত্রিকোণাসন:
‌প্রণালী: এই আসনে দুই পায়ের মধ্যে দূরত্ব ৩০ ইঞ্চি রেখে আড়াআড়ি ভাবে দাঁড়ান। দেহ সোজা করে দুই হাত কাঁধ বরাবর আড়াআড়ি তুলুন। এইবার শ্বাসগ্রহণ করুন। এরপর ধীরে ধীরে বামদিকে কাত হবেন। বাম হাত বাম পায়ের হাঁটু থেকে নীচের দিকে নামানোর চেষ্টা করুন। পাশাপাশি ডান হাত সোজা উপরে তুলতে হবে এবং শ্বাসত্যাগ করতে করতে কাত হতে হবে। এরপর ওই অবস্থা থেকে শ্বাসগ্রহণ করে সোজা হয়ে যান এবং শ্বাস ছেড়ে ডান দিকে কাত হবেন যতটা সম্ভব। আবার শ্বাস গ্রহণ করে সোজা হন এবং বাম দিকে কাত হন। এমনভাবে ৬-৮ বার অভ্যেস করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে দু’পায়ের হাঁটু যেন টানটান থাকে। 

৪. সেতুবন্ধাসন: 
প্রণালী: প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর দুটি হাঁটু মুড়ে নিন। তারপরে কোমর ও পিঠ ওপর দিকে তুলুন। কোমর দুটি হাত দিয়ে ঠেলে রাখবেন। মাথা, ঘাড় এবং কাঁধ মাটিতে থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। এইভাবে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ড আসনে অবস্থিত থাকুন। পরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসে সামান্য বিশ্রাম করুন। তারপর আবার অভ্যাস করুন। এইভাবে ২-৩ বার আসনটি অভ্যাস করবেন। 

৫. ভুজঙ্গাসন:
প্রণালী: প্রথমে পা দু’টো সোজা করে সটান উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পায়ের পাতার উপর দিকটা যতদূর সম্ভব মুড়ে মেঝেতে রাখতে হবে। দু’হাতের তালু উপুড় করে পাঁজরের কাছে দু’পাশে মেঝেতে রাখুন। এবার পা থেকে কোমর পর্যন্ত মেঝেতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে মাথা যতদূর সম্ভব উপরে তুলুন এবং মাথাকে সাধ্যমতো পেছনদিকে বাঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে ১০ সেকেন্ড থেকে ১৫ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। এরপর ধীর ধীরে মাথা ও বুক নামিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। কিছুদিন অভ্যাসের পর হাতের তালুর উপর ভর না দিয়ে বুক ও মাথা উপরে তুলতে হবে। শুধু বুক ও পিঠের উপর জোর দিয়ে মাথা ও বুক উপরে রাখতে হবে এবং হাত দু’টো কাঁধ বরাবর তুলে উঁচু করে রাখতে হবে। 

৬. একপদ শলভাসন: 
প্রণালী: প্রথমে উপুড় হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। দু’ পা না তুলে প্রথমে ডান পা সোজা করে মাটি থেকে যত দূর সম্ভব তুলুন। বাঁ পা মাটিতে পাতা থাকবে। দশ থেকে পনেরো সেকেন্ড এই অবস্থায় থেকে পা মাটিতে নামান। একইভাবে বাঁ পা তুলে ১০-১৫   সেকেন্ড থেকে তার পর মাটিতে নামিয়ে উপুড় হয়ে শবাসনে বিশ্রাম নিন। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে ৬-৭ বার অভ্যাস করুন।

৭. অর্ধহলাসন: 
প্রণালী: চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর পা জোড়া রেখে সোজা মাটি থেকে তুলুন। হাঁটু সোজা থাকবে এবং ৯০ ডিগ্রি কোণ হবে। এক মিনিট ধরে ২-৩ বার অভ্যেস করুন। 

৮. মৎস্যাসন 
প্রণালী: প্রথমে সোজা হয়ে দু’পা একসঙ্গে রেখে টান টান হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত থাকুক দু’পাশে। চোখ বুজে আরাম করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এবার পিঠ বাঁকিয়ে ধনুকের মতো করতে হবে। এর জন্য হাতের কনুই এবং মাথা ভর দিয়ে পিঠ তুলুন। বুক যেন ওপরের দিকে উঠে আসে। মাথার মাঝখান মাটিতে রেখে সাপোর্ট দিন। পা সোজা রাখতে হবে। হাতে ভর দিয়ে কাঁধ মাটি থেকে ওপরে তুলতে হবে। এবার হাত পাশে রাখুন। কাঁধ, পিঠ তুলে রাখতে হবে। এই অবস্থানে অনেকটা মাছের আকৃতির দেখতে লাগবে। গভীরভাবে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। এই অবস্থানে মাথার পেছন দিকে ভার অনুভব করবেন। তিন থেকে চারবার গভীর শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে সাবধানতার সঙ্গে আগের অবস্থানে ফিরে আসুন। কোনও বাড়তি চাপ নেবেন না।

৯. বক্ষ প্রাণায়াম: 
প্রণালী: সুখাসনে বসে দু’হাত হাঁটুর উপরে রাখুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। এর ফলে বুক উপরে ঠেলে উঠবে। এবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এই পুরো প্রক্রিয়াটা ২ মিনিট ধরে করতে হবে। 

১০. অনুলোম-বিলোম:
প্রণালী: সুখাসনে বসুন। বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দিয়ে ডান নাকের ছিদ্র বন্ধ করুন এবং বাম নাক দিয়ে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। নিজের শ্বাস প্রশ্বাসের ওপর লক্ষ রাখুন। ডান নাকের ওপর থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ সরান এবং ডান হাতের অনামিকা দিয়ে বাম নাক বন্ধ করুন। এর পর ধীরে ধীরে ডান নাকের ছিদ্র দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। ঠিক এই পদ্ধতিতেই ডান নাকের ছিদ্র দিয়ে গভীর শ্বাস নিন। এ সময় অনামিকা দিয়ে বাম নাকের ছিদ্র বন্ধ করে রাখতে হবে। তার পর বাম নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।

১১. ভ্রামরী গুঞ্জন: 
সুখাসনে বসে দু’হাতের আঙুল দিয়ে দু’কানের ছিদ্র ও চোখ বন্ধ করুন। এর পর নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার পর ভ্রমরের মতো গুঞ্জন করতে করতে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। কানের পর্দায় এক কম্পন অনুভূত হবে। শ্বাস নিয়ে গুঞ্জন করে শ্বাস ছাড়াকে এক বার বলে। এভাবে পর পর ৮-১০ বার করে বিশ্রাম নিন।
উপকারিতা: উপরিউক্ত প্রত্যেকটি আসন হার্ট এবং ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। চটজলদি না করে প্রত্যেকটি আসন ও প্রাণায়াম ধীরে ধীরে অভ্যেস করুন এবং বিশ্রাম নিন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই আসন ও প্রাণায়াম করা যাবে। ভারী খাবার খাওয়ার অন্তত আড়াই ঘণ্টা পর আসন এবং প্রাণায়াম করা উচিত।
 লেখক যোগা প্র্যাকটিশনার, যোগা ও নেচারোপ্যাথি কাউন্সিল।
অনুলিখনঃ অনির্বাণ রক্ষিত

07th  October, 2024
মৃত্যু কি আগাম
ইঙ্গিত দেয়?

স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন, মৃত্যু চিন্তা ভালো। কারণ এই জগৎ কতটা মিথ্যা সেটা বোঝার জন্য। তবে মৃত্যুভয় ভালো নয়। জগতের বড় বিস্ময় মৃত্যু। মৃত্যুকালে মানুষের শুদ্ধ চেতনাকে আচ্ছন্ন করে দেয় অন্ধকার। সাধক-যোগীরা সেই অন্ধকারকে কাটাতে পারেন। বীরের মতো দেহ ছেড়েছেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, রাম ঠাকুর, বালানন্দ ব্রহ্মচারি, নিগমানন্দ ঠাকুর, পরমহংস যোগানন্দ স্বামী, দুর্গাপুরী মাতাজি। মৃত্যুযোগ যাঁরা অভ্যাস করেন তাঁরাই নিজের মৃত্যুকালটি জানতে পারেন। সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন মৃত্যুকাল আসন্ন? মৃত্যুকালে মানুষের মুখ কেন খোলা থাকে? শাস্ত্রে আছে, কারও যদি মনে হয় সূর্যের তেজ কমে আসছে, তাহলে তার আয়ু বেশিদিন নেই। রয়েছে আরও কিছু পূর্ব লক্ষণ। মৃত্যুর পূর্বে মানুষ নানারকম স্বপ্ন দেখেন, কী সেই স্বপ্ন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।
বিশদ

07th  October, 2024
আত্মার উপস্থিতি কীভাবে
অনুভব করা যায়?

আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে অনেক কথা শোনা যায়। আশ্চর্যের বিষয়, মহাপুরুষ থেকে সাধারণ মানুষও আত্মার উপস্থিতি বুঝতে পারেন। আচার্য শঙ্করাচার্য থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ, আবার রাম ঠাকুর থেকে নিগমানন্দ সরস্বতী এমনকী বিশ্বের তাবড় মনীষীরাও স্বীকার করেন আত্মার অস্তিত্ব। জীবন ফুরিয়ে গেলেই তা শেষ হয়ে যায় না। এ বিষয়ে গীতা থেকে ভারতীয় অধ্যাত্মশাস্ত্র কী বলে? প্ল্যানচেটে অাত্মা আনা সম্ভব। কলকাতায় এক সময় এটি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু আত্মারা কখনও স্বইচ্ছায় আসেন তাঁর প্রিয়জনের কাছে! তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী হন। কোন পরিস্থিতিতে আত্মারা আসেন? কীভাবে বুঝবেন তাঁদের উপস্থিতি? কী সহায়তা করেন তাঁরা? লিখেছেন সোমব্রত সরকার। 
বিশদ

07th  October, 2024
অপদেবতা কি ক্ষতি করে?

অপদেবতা মানুষের ক্ষতি না উপকার করে? লিখেছেন অগ্নিশ্বর সরকার। বিশদ

07th  October, 2024
ঘরোয়া টোটকায় কী কী রোগ সারে?
শম্পা চক্রবর্তী

হাজার হাজার বছর আগে যখন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি ঘটেনি, মানুষজনের কাছে অ্যালোপ্যাথি বা হোমিওপ্যাথি ওষুধেরও কোনও ধারণা ছিল না। তখন থেকেই মানুষজন বিভিন্ন অসুখবিসুখের মোকাবিলায় প্রাকৃতিক বা ভেষজ চিকিৎসার ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করত। বিশদ

07th  October, 2024
রোগ নিরাময়ে টোটকা?
ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য

হাতের কাছে চট করে পাওয়া যায় এমন ভেষজ যে প্রয়োজনে ছোটখাট অসুখ সারাতে পারে তা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে হয়তো কখনও জানতেন এখন আর মনে পড়ছে না। বিশদ

07th  October, 2024
কেদারনাথ থেকে রামেশ্বরম
কেন এক সরলরেখায় ৭টি শিবলিঙ্গ?

ভারতে এমন সব মন্দির আছে যার রহস্য উদঘাটন আজও কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি। কেউ বলেন এ হল দেব-মহিমা। কারও মতে সবটাই কাকতালীয়। এমনই এক অদ্ভুত ও আকর্ষণীয় বিষয় হল শিবশক্তি রেখা। কী এই শিবশক্তি রেখা? দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় মাঝবরাবর ৭৯° দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত বিখ্যাত ৭টি শিব মন্দির। এই শিবশক্তি রেখা এক রহস্য। যার উত্তরে অবস্থিত কেদারনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ আর দক্ষিণে রামেশ্বরম জ্যোতির্লিঙ্গ।  এই দুইয়ের মাঝে রয়েছে পাঁচটি রহস্যময় পঞ্চভূতেশ্বর শিবলিঙ্গ। কেন শিবশক্তি রেখায় অবস্থিত শৈবক্ষেত্রগুলো? বিজ্ঞান কি বলে এই শিবশক্তি রেখা নিয়ে? লিখেছেন সমুদ্র বসু।
বিশদ

07th  October, 2024
হার্ট ভালো রাখবেন কী করে?
ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস

হার্টের অসুখকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হার্টের নানারকম অসুখ হয়। সব অসুখ নিয়ে স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব নয়। কী কী নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থাকবে আপনার হার্ট? এই লেখায় মূলত সেই নিয়েই আলোচনা করব। তার আগে ছোট করে বলে নিই সাধারণত কোন কোন হার্টের অসুখে বেশি ভুগি আমরা।   বিশদ

07th  October, 2024
হার্ট ভালো 
রাখুন খাবারে
অরিত্র খাঁ

হার্টের শরীর ও স্বাস্থ্যের কথা যদি আমরা মেডিক্যাল ডায়েটের পরিভাষায় বলি তাহলে প্রথমেই উঠে আসবে ‘ডিসলিপিডেমিয়া’(Dyslipidemia)-এর কথা। আমাদের শরীরে লিপিড প্রোফাইল অর্থাৎ কোলেস্টেরলের মাত্রা মাঝেমধ্যে এদিক ওদিক হয়। শরীরে ভালো ও খারাপ দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। বিশদ

07th  October, 2024
ভালো রাখুন আপনার হার্ট
ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল

কীভাবে ভালো রাখবেন হার্ট? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ বলছেন ‘সুপারফুড’ খেতে, আবার কেউ বলছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করতে। এছাড়াও আছে ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিন’-এর নানা চমকদার ‘থেরাপি’। অনেকে ‘গোপন’ টোটকার কথাও বলেন। কিন্তু এর মধ্যে কোনটা কার্যকর? সত্যিই কি হার্ট ভালো রাখার জন্য বিশেষ কিছু করতে হয়? এই নিয়ে আলোচনা করা যাক। 
বিশদ

07th  October, 2024
সাধারণ রোগে কী ডায়েট?

কোন সময়ে কী খাবেন জানালেন পুষ্টিবিদ ডাঃ রঞ্জিনী দত্ত।
  বিশদ

07th  October, 2024
কোন রোগে 
কী পথ্য?

সুস্থ থাকার জন্য যা খাই, তা খাদ্য। রোগীর বেলায় সেটি হয়ে যায় পথ্য। এই পথ্য তখন ওষুধের সঙ্গে মিলেমিশে রোগ সারায়। সেই পথ্যধর্মী খাবার যদি দৈনন্দিন জীবনে খাওয়া যায়, তাহলে শরীর এমনিতেই সুস্থ থাকবে। খাদ্যকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে রোগবালাই পালাবে। সুস্থ মানুষ রোজকার খাবারে কোন কোন পদ কতটা খাবেন? অসুস্থ ব্যক্তি কী খাবার খাবেন, সেই হিসেব কি জানেন? খাদ্য যে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে তা সবাই জানে। ঠিক মতো খাবার খেয়ে সুস্থতা বজায় রাখার উপায় বললেন ডাঃ সুবলকুমার মাইতি। 
বিশদ

07th  October, 2024
বদ্রীনাথ থেকে বসুধারা
প্রসেনজিৎ পোদ্দার

খাদের সীমানা বরাবর গাঁথা পাঁচিলের ঠিক পরেই, প্রায় হাত বাড়ানো দূরত্বে, নীচের সুগভীর গিরিখাত ধরে ছলবলিয়ে প্রবহমানা তীব্র স্রোতস্বিনী অলকানন্দা। তার স্বচ্ছ নীলাভ জলরাশি চলার পথে এখানে-ওখানে পাথরের বুকে ধাক্কা খেয়ে, সফেন ধারায় ছুটে চলেছে সুতীব্র গতিতে। বিশদ

07th  October, 2024
জয়ন্তীর জঙ্গলে দিনরাত্রি
সোমনাথ  মজুমদার

কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস এন জে পি স্টেশন থেকে যখন ছাড়ল বাইরে মুষল ধারায় বৃষ্টি পড়ছে। ঘণ্টা দেড়েক বৃষ্টির পর আবার আকাশ মেঘমুক্ত। হাসিমারা স্টেশন পার হয়ে গিয়েছে, বক্সার গভীর অরণ্যর মধ্যে এঁকে বেঁকে চলেছে ট্রেন। দরজায় দাঁড়িয়ে দূরের ডিজেল ইঞ্জিনকে দেখা যায়। বিশদ

07th  October, 2024
থর মরুভূমিতে এক রাত
ডাঃ অমিতাভ  ভট্টাচার্য

 

আকাশে তখন পূর্ণিমার চাঁদ। মাথায় টুপি আর গায়ে চাদর জড়িয়ে, তাকিয়ায় হেলান দিয়ে, হাতে গড়গড়ার নল নিয়ে চোখের সামনে যখন রাজস্থানি সুন্দরীর লোকনৃত্য দেখছিলাম। আর মাঝে মাঝে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছিলাম, তখন নিজেকে রাজাই মনে হচ্ছিল। থর মরুভূমি থুড়ি জয়সলমিরের রাজা।
বিশদ

07th  October, 2024

Pages: 12345

একনজরে
শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-জামশেদপুর ০ (হাফটাইম)

08:28:00 PM

সিমলার কৃষ্ণনগরে একটি বাড়িতে আগুন, হতাহতের খবর নেই

08:14:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় শুরু উদ্ধারকাজ, অকুস্থলে রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

08:13:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-জামশেদপুর ০ (৩৭ মিনিট)

08:08:00 PM

নিউ আলিপুরে ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় অকুস্থলে দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন

08:07:00 PM

নিউ আলিপুরে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক যানজট, শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে

07:38:00 PM