Bartaman Patrika
সাপ্তাহিক বর্তমান
 

হার্ট ভালো রাখবেন কী করে?
ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস

হার্টের অসুখকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হার্টের নানারকম অসুখ হয়। সব অসুখ নিয়ে স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব নয়। কী কী নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থাকবে আপনার হার্ট? এই লেখায় মূলত সেই নিয়েই আলোচনা করব। তার আগে ছোট করে বলে নিই সাধারণত কোন কোন হার্টের অসুখে বেশি ভুগি আমরা।  

হার্টের অসুখের প্রকারভেদ
সাধারণত হার্টের অসুখের কথা বললেই প্রথমে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেলিওরের কথা মাথায় আসে। সমগ্র বিশ্বে যত প্রাণহানি হয়, তার বেশিরভাগই হয় হার্টজনিত সমস্যার কারণে। বা আরও পরিষ্কার করে বললে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের কারণে। এর অর্থ হার্ট ও মস্তিষ্কের রক্তবাহী নালীর অসুখ। মূলত রক্তবাহী ধমনীতে কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য চর্বিজাতীয় পদার্থ জমে নালীর অন্দরের গায়ে একটা আস্তরণ তৈরি হয়। ফলে রক্তবাহী নালীপথ সংকীর্ণ ও শক্ত হয়ে যায়। সোজা কথায় কোলেস্টেরলের প্লাক জমে রাস্তাটি সরু হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল হয় না। তার জন্য অক্সিজেন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান হার্টে পৌঁছতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। একে বলে ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজ।
দ্রুত গতিতে হাঁটলে বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে অনেকের বুক ধড়ফড় করে, নিঃশ্বাসের কষ্ট হয়। সঙ্গে বুকে সামান্য ব্যথা বা চাপ অনুভব করতে পারেন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে যা আবার ঠিক হয়ে যায়। একে বলে ক্রনিক স্টেবল অ্যানজাইনা। আবার করোনারি আর্টারিতে হঠাৎ রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে হার্টের মাংসপেশিতে রক্ত সরবরাহ ভীষণভাবে কমে যায় বা একদমই বন্ধ হয়ে যায়। হার্টের মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মাংসপেশি মরে যায়। এই সমস্যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। চলতি কথায় আমরা বলি হার্ট অ্যাটাক।
তাহলে হার্ট ফেলিওর অসুখটি কী? সহজভাবে বোঝার জন্য বলা  যায়— যখন কোনও ব্যক্তির হার্ট শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে রক্ত সরবরাহ করতে পারে না, তখন সেই অবস্থাকে হার্ট ফেলিওর বলে। সাধারণভাবে আমরা মনে করি হার্ট ফেল মানে মারা যাওয়া। কিন্তু ডাক্তারি পরিভাষায় হার্ট ফেলিওর মানেই মৃত্যু নয়। হার্ট ফেলিওরের ফলে ওই ব্যক্তি দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাঁর শ্বাসকষ্ট হতে পারে বা পা ফুলে যেতে পারে। যা ডেকে আনে মৃত্যু।
এ ছাড়াও রয়েছে জন্মগত হার্টের অসুখ, রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিজ, হার্টের ইনফেকশন, পালমোনারি এমবলিজম, পায়ের শিরার অসুখ প্রভৃতি। 

শত্রুদের চিহ্নিতকরণ
যে কোনও অসুখের ক্ষেত্রেই কোন জিনিস সেই রোগের কারণ বা আমাদের শত্রু সেটা আগে চিনে নিতে হয়। তাহলেই প্রতিবিধানের পথ অনেকটা পরিষ্কার হয়। যেমন হার্টের রোগের ক্ষেত্রে প্রধান তিনটি শত্রু হল কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস বা সুগার। 
কোলেস্টেরল: রক্তের সঙ্গে প্রবহমান চর্বি বা মোম জাতীয় পদার্থকে আমরা কোলেস্টেরল বলি। প্রতিটি মানুষের শরীরেই এর উপস্থিতি আছে —তবে বিভিন্ন মাত্রায়। রক্তে এর পরিমাণ বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। কোলেস্টেরল জমার ফলে কীভাবে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে সেকথা আগেই বলেছি। তবে সব কোলেস্টেরল মানেই ক্ষতিকর নয়।  
লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করলে আমাদের শরীরে এলডিএল, এইচডিএল, ট্রাইগ্লিসারাইড, টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা জানা যায়। এলডিএল-এর পুরো নাম লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন। চলতি কথায় একে ব্যাড কোলেস্টেরল বা খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে হৃদরোগ বা বিভিন্ন ধমনীর অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের (ধমনীতে কোলেস্টেরল জমার জন্য শক্ত ও সরু হয়ে যাওয়া) জন্য এর ভূমিকাই প্রধান। অন্যদিকে এইচডিএল বা হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনকে আমরা বলি গুড কোলেস্টেরল বা ভালো কোলেস্টেরল। কারণ এই কোলেস্টেরল ধমনীকে সুরক্ষিত রাখে। বিভিন্ন কোলেস্টেরলকে নির্দিষ্ট মাত্রায় না রাখতে পারলে বিপদ। তাহলে নির্দিষ্ট মাত্রা কী? সুস্থ স্বাভাবিক হার্টের জন্য সাধারণভাবে টোটাল কোলেস্টেরল রাখতে হবে ২০০-র নীচে। এলডিএল কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন মাত্রা (তাঁর টোটাল রিফ্র্যাক্টর অনুসারে)। ট্রাইগ্লিসারাইড ১৫০-র নীচে রাখতে পারলে ভালো হয়। অর্থাৎ চিকিৎসকই বিভিন্ন পরিস্থিতি দেখে ঠিক করবেন কার কতটা থাকা উচিত। 
উচ্চ রক্তচাপ: আমাদের শরীরে হার্ট হল একটি পাম্প। অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত পাঠায় হার্ট। ধমনীর মধ্যে দিয়ে যখন রক্ত চলাচল করে, তখন পার্শ্ব দেওয়ালগুলিতে চাপ সৃষ্টি হয়। একেই বলে ব্লাডপ্রেশার বা রক্তচাপ। রক্ত সঞ্চালনের সময় হার্ট যখন সঙ্কুচিত হয় তখন রক্তচাপ সর্বোচ্চ পরিমাণে যায়, তখন তাকে বলে সিস্টোলিক ব্লাডপ্রেশার। আর হার্ট যখন রক্ত গ্রহণ করার জন্য স্ফীত হয়, তখন যে নিম্নতম চাপ অনুভূত হয়, তাকে বলে ডায়াস্টোলিক ব্লাডপ্রেশার। বিভিন্ন পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কোনও ব্যক্তির রক্তচাপের সঠিক মাত্রা নির্ণয় করা হয়। তার মানে এই নয় যে সবসময় এই চাপ থাকবে। যেমন পরিশ্রম করার সময় রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। সেইজন্য বিশ্রামরত অবস্থায় রক্তচাপ মাপা হয়। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে এই রক্তচাপ ১৩০ থেকে ১২০/ ৮০ থেকে ৭০-এর মধ্যে থাকলে ভালো। আদর্শ ব্লাডপ্রেশার কত হওয়া উচিত তাও চিকিৎসকই ঠিক করে দেবেন। আর একটা কথা মনে রাখতে হবে উচ্চ রক্তচাপ কিন্তু নিঃশব্দ ঘাতক—অর্থাৎ রক্তচাপ না মাপলে এর পরিমাণ বোঝা যায় না। হার্ট, মস্তিষ্ক ছাড়াও এ নিঃশব্দে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন চোখ, কিডনির ক্ষতি করে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। 
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হার্টের চেম্বারে চাপ পড়ে। তার জন্য হার্টের ওজন বৃদ্ধি পায় এবং দেওয়াল মোটা হয়ে যায়। হার্ট ফেলিওরের সম্ভাবনা বাড়ে। ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজ ও হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে এবং অ্যাওর্টিক ভালভ, মহাধমনী, পায়ের শিরা প্রভৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
সুগার: এছাড়াও আর একটি অসুখ নিঃশব্দে হার্টের ক্ষতি করে চলে, তা হল, বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস। সুগার থাকলে অনেকসময় হার্ট অ্যাটাক হলেও রোগী বুঝতে পারেন না। শরীরের নার্ভ অসাড় হয়ে পড়ে। তাই বুকে ব্যথা হলেও অনেকসময় রোগী তা বুঝতে পারেন না বা আমল দেন না। ফলে আচমকাই একদিন বড়সড় বিপদ ঘনিয়ে আসে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের চোখ, হার্ট, কিডনির বাড়তি যত্ন নিতে হবে। প্রয়োজনীয় টেস্ট ও হার্ট চেকআপও করাতে হবে নিয়মিত।   
 
হার্ট ভালো রাখতে তাহলে করণীয় কী?

মনে রাখতে হবে সুস্থ ও স্বাভাবিক হার্ট বজায় রাখতে হলে প্রথমেই জীবনযাত্রা প্রণালীর পরিবর্তন আবশ্যক—যথাযথ খ্যাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, তামাকজাতীয় পদার্থ পরিহার প্রভৃতি। 
•  সুষম খাদ্য:  মাত্রাতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার একদম বর্জন করতে হবে। জিহ্বায় লাগাম দরকার। খাদ্যতালিকা থেকে ছেঁটে ফেলতে হবে কোল্ড ড্রিংকস, আইসক্রিম, চিপস, প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাবার, মিষ্টি, রেড মিট ইত্যাদি। যে কোনও ব্যক্তির ওজন, দৈহিক পরিশ্রম, বয়সের উপর নির্ভর করে কতটা ক্যালরি গ্রহণ তিনি করতে পারবেন। খাদ্যে রাখতে হবে পরিমাণ মতো ভাত, ডাল, মাছ, ডিম বা চিকেন। সাধারণত রেড মিট খেতেই বারণ করা হয়। তবে মাত্রাতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিনও এড়িয়ে চলা উচিত। রোজের খাবারে শাকসব্জি রাখতে হবে। খেতে হবে মরশুমি ফল। পাতে অতিরিক্ত নুন খাওয়া কোনওমতেই চলবে না। রান্নাতেও কমাতে হবে নুনের ব্যবহার। (প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে দৈনিক পরিমাণ ৫ গ্রাম বা তার কম হতে হবে)। কমাতে হবে মিষ্টির ব্যবহারও। 
•  শরীরচর্চা:  সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা দরকার। বয়স্ক লোকের ক্ষেত্রে দ্রুত হাঁটাই যথেষ্ট। কমবয়সিদের দৌড়ঝাঁপ, খেলাধুলা চালু রাখতে হবে। শরীরচর্চা ওজন কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়। হার্ট স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা প্রথম ব্যায়াম বা হাঁটা শুরু করছেন, তাঁরা গোড়ায় অল্প করে শুরু করে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।  
তবে ইতিমধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়ে থাকলে বা হার্টের অন্য কোনও অসুখ অথবা অন্য কোনও সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো হাঁটা বা এক্সারসাইজ করতে হবে।
আবার যাঁরা বয়স্ক বা আর্থ্রাইটিসের রোগী, বেশি হাঁটতে অসুবিধা হয়, তাঁরা নিজেদের উপযুক্ত ব্যায়াম কী হবে তা সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষকের থেকে জেনে নিয়ে শুরু করুন শরীরচর্চা।  
•  ডায়াবেটিস:  সুগার থাকলে ডায়েট কন্ট্রোলের সঙ্গে এক্সারসাইজ মাস্ট। চিকিৎসকের পরামর্শমতো খেতে হবে ওষুধও। ব্যক্তিবিশেষে ডায়াবেটিসের ডায়েট চার্ট আলাদা। 
•  কোলেস্টেরল:  রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে ডায়েট কন্ট্রোল ও ব্যায়ামের সঙ্গে ওষুধও খেতে হবে নিয়মিত।
•  উচ্চ রক্তচাপ:  হাই ব্লাডপ্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপের প্রথম চিকিৎসা হল সুস্থ জীবনযাত্রায় নিজেকে গড়ে তোলা। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ওষুধ খেতে হবে। ওজন কমিয়ে ফেলতে পারলে ব্লাডপ্রেশার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। 
•  কুঅভ্যেস:  ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যেস হার্টের রোগে ভোগার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। তাই এই ধরনের বদভ্যাস অবশ্যই ছাড়তে হবে। অনেকের ধারণা পরিমিত মদ্যপান হৃদরোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। আমি সেকথা একদমই বলব না। আমার সাফ কথা, এই ধরনের কোনও প্রমাণ আমাদের দেশে এখনও নেই। ফলে মদ্যপান না করাই ভালো। তবে যারা প্রচুর পরিমাণে মদ্যপানে আসক্ত, তাদের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে এই প্রবণতা কমিয়ে আনতে হবে।  ধূমপান ও তামাকজাতীয় পদার্থ (বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, পান মশলা, দোক্তা, গুটখা, গুড়াকু ইত্যাদি)  একেবারে বর্জন করতে হবে। কোনওসময় শুরু না করলেই সবচেয়ে ভালো।
 স্থূলকায়: দৈহিক উচ্চতা অনুয়ায়ী একজন মানুষের ওজন কত হওয়া উচিত, সেই চার্ট এখন ইন্টারনেটেও উপলব্ধ। এরমধ্যে একটি মাত্রাকে বলা হয় বিএমআই। এই বিএমআইকে নির্দিষ্ট মাত্রার নীচে রাখতে হবে। তাহলে শুধু হার্ট নয়, বিভিন্ন রোগের কবল থেকে রেহাই সম্ভব। এর জন্যও যথাযথ খাদ্যতালিকা মেনে চলা, ব্যায়াম করা প্রভৃতি জরুরি।  
বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থায় আরও কিছু নতুন ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেই বিষয়গুলিরও নিয়ন্ত্রণ দরকার—
মানসিক চাপ:  কর্মক্ষেত্র হোক বা বাড়ি, স্ট্রেস আমাদের নিত্যসঙ্গী। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে অন্যান্য অসুখও দেহে বাসা বাঁধতে পারে। হতে পারে হার্টের অসুখও। তাই মানসিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। স্ট্রেস থেকে দূরে থাকুন। অবসর সময়ে যা করতে ভালো লাগে করুন। গল্পের বই পড়ুন, বাগান করুন, শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান, পরিবারকে সময় দিন। অর্থাৎ মন ভালো রাখুন। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমও দরকার। 
আক্রান্ত শৈশব:  নজর দিতে হবে শিশুদের দিকেও। আগে বাচ্চারা মাঠে খেলাধুলা করত। এখন পড়ার চাপে হোক বা নানাবিধ কারণে তারা অনেক ক্ষেত্রেই সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত। পরিবর্তে ঘরে বসে টিভি দেখে বা মোবাইলে ভিডিও গেমস খেলে সময় কাটায়। আমাদের সমাজে অন্য আর একটা দিকও আছে। অনেক শিশু বা কিশোর বাধ্য হয়ে শ্রমিকের কাজ করতে। তারা যথাযথ পুষ্টি তো পায়ই না, সঙ্গে বিড়ি সিগারেট খাওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়।  
শরীরচর্চা না করার ফলে ওবেসিটিতে (স্থূলকায়তা) ভুগতে শুরু করে। ছোট থেকেই অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় রক্তবাহী নালীতে। তাই বাচ্চারা যাতে ঘাম ঝরিয়ে মাঠে খেলতে যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে বললেই তো হল না। খেলার ফাঁকা মাঠ পাওয়াও ইদানীং মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক স্কুলেও খেলার মাঠ নেই। এদিকটাতেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। 
দূষণ:  গত কয়েক বছর ধরে হার্টের অসুখের পিছনে বড় ধরনের রিস্ক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে দূষণ। মাত্রাতিরিক্ত পরিবেশ দূষণের ফলে ফুসফুসের সমস্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনই হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ও অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। মনে রাখতে হবে ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানির মতো সমস্যাও হার্টের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। ফলে যতটা সম্ভব দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। 

প্রতিরোধের উপায়
হার্ট ভালো রাখতে উপযুক্ত জীবনযাত্রা নির্বাহ ছাড়াও প্রধানত নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে সুগার, প্রেশার আর কোলেস্টেরল। ডায়াবেটিস রোগীদের অন্তত ৩ মাস অন্তর এইচবিএ১সি (HbA1C) পরীক্ষা করতে হবে। মান রাখার চেষ্টা করতে হবে ৬.৫-এর (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে) মধ্যে। নিয়মিত নজরে রাখতে হবে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা।  বিশেষ করে সুগার বা প্রেশারের তারতম্য হলে রোগীর মাথা ঘোরে, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের। তাঁদের সেই সময় পড়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। এই ধরনের অসুবিধা যাতে না হয়, সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তার জন্য অনেকসময় আমাদের ২৪ ঘণ্টা রক্তচাপ মনিটরিং করতে হয়। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলে এবিপিএম। সেটাও আজকাল করা যায় বাড়িতেই। কোনও একটা সেন্টারে গিয়ে যন্ত্রটা লাগিয়ে রোগী দৈনন্দিন জীবনযাপনে ফিরে যাবেন। পরের দিন আবার সেন্টারে গিয়ে যন্ত্রটা খুলে দিয়ে আসতে হবে। আবার অনেক সংস্থা থেকে এখন বাড়িতে গিয়েও যন্ত্রটা লাগিয়ে দিয়ে আসে। তারপর যন্ত্রটা খুলে রেকর্ডিং কম্পিউটারে দেখে বিশ্লেষণ করতে হবে। চিকিৎসক রিপোর্ট দেখে ঠিক করবেন কোনও সময় খুব বেশি বাড়ছে কি না, বা খুব বেশি কমছে কি না। ওঠা-নামার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য থাকছে কি না ইত্যাদি। এছাড়া অনেক রোগীকে বাড়িতে প্রেশার মনিটরিং করা শিখিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা যাতে দিনের বিভিন্ন সময় বিপি মনিটর করতে পারেন। সবকিছু খতিয়ে দেখে ওষুধের ডোজ চিকিৎসক ঠিক করে দেবেন। 
তার মানে একটা বিষয় পরিষ্কার যে হার্টের অসুখের পিছনে অনেকগুলো রিস্ক ফ্যাক্টর কাজ করে। তাই একটার বদলে যদি আমরা সবগুলো রিস্ক ফ্যাক্টরকেই একযোগে আক্রমণ করি, তাহলে মূল অসুখটিকে পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। এই রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে সেগুলোকে রুখে দিতে পারলে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। আর যাঁদের একবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে, তিনি যেন আবার একটি অ্যাটাকের সম্মুখে না পড়েন, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। (সেকেন্ডারি প্রিভেনশন)

কতদিন পরপর সুগার/ প্রেশার / কোলেস্টেরল মাপা প্রয়োজন
এটা রোগী বিশেষে নির্ভর করে। কারও যদি সুগার খুব বেশি ওঠা-নামা করে, পড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, হঠাৎ ব্লাড সুগার কমে বা বেড়ে গিয়ে সমস্যা দেখা দেয় তাদের একরকম ভাবে চিকিৎসা করতে হবে। আর যাদের সুগারের খুব বেশি তারতম্য হয় না, মাঝে মাঝে দেখতে হয়, তাঁকে হয়তো চিকিৎসক তিন মাস অন্তর মাপার কথা বলবেন।  কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রেও একই কথা। যাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে, কোলেস্টেরল কমানো দরকার, তাঁর ক্ষেত্রে একরকম। আর যার প্রাইমারি প্রিভেনশনের দিকে নজর দিয়েছি তাঁদের ৬ মাসে একবার বা এক বছরে একবার দেখলেই হবে।  প্রেশার মাপাও রোগীর প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে।  

ধূমপায়ী মহিলার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি?
শুধু ধূমপানের দিক দিয়ে তো ভাবলে হবে না, সব দিক বিবেচনা করেই মহিলাদের হার্টের রোগের আলোচনা করা দরকার। মহিলাদের মেন্সট্রুয়েশন যতদিন চলছে, ততদিন হার্টের রোগের সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু ডায়াবেটিস থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা আবার বেড়ে যায়। যাদের তাড়াতাড়ি মেনোপজ হচ্ছে বা মেনোপজ  হয়ে গেল, এই সময়টা কিন্তু পুরুষ-মহিলার একই রকম রিস্ক থাকে। মহিলাদের কিছু কিছু হার্টের অসুখ আলাদাভাবে হতে পারে। যেমন পেরিপার্টাম কার্ডিওমায়োপ্যাথি বলে একটা অসুখ আছে। প্রেগন্যান্সির শেষ দিকে বা বাচ্চা হওয়ার ঠিক পরে পরে দেখা গেল হার্ট ঠিকমতো পাম্প করতে পারছে না, ফেল করছে। এটা মহিলাদের একটা নিজস্ব অসুখ। এই ধরনের কিছু কিছু অসুখ আছে। কিন্তু মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক হয় না বা কম হয়, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। 
ধূমপানের ক্ষেত্রে দুটো দিক দেখেছি। এক যাঁরা নিজেদের ওভারস্মার্ট ভাবেন বা সমাজে নিজেকে খুব স্মার্ট দেখাতে চান, সোসাইটি লেডি বা অল্পবয়সি স্কুল-কলেজের মেয়ে, তাঁরা যেমন ধূমপান করছেন। তেমনই আমাদের দেশে চিরন্তন আর একটা দিকও চলে আসছে। যাঁরা শ্রমজীবী মহিলা, তাঁরাও কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে বিড়ি সিগারেট খান। বাড়ির মহিলারাও অনেকেই দোক্তা বা জর্দা দিয়ে পান খান, গুড়াকু ব্যবহার করে দাঁত মাজেন। এদিকটাও লক্ষ রাখতে হবে। 

সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরলের ওষুধ কি চিরদিন খেতে হবে?
আমাদের একটা ভুল ধারণা আছে যে সুগার, প্রেশার বা কোলেস্টেরলের ওষুধ একবার শুরু করলে আর বন্ধ করা যায় না। মাথায় রাখতে হবে যে অসুখটা তো আর সেরে যাচ্ছে না। সুগার হোক বা প্রেশার, এটাকে ওষুধ দিয়ে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখছি। দু-একটা ব্যতিক্রম ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, ওষুধ ছাড়া কমে না। সেইজন্যই ওষুধটা চালিয়ে যাওয়া জরুরি। এমন নয় যে ওষুধ খেতে একবার শুরু করেছি বলেই খেয়ে যেতে হচ্ছে। ওষুধটা না চালালে কন্ট্রোলে থাকে না বলে চালিয়ে যেতে হয়। অর্থাৎ ওষুধ শুরু করলে আর বন্ধ করতে পারব না, এই ভেবে আমি বসে থাকলাম, সেটা করলে হবে না।
সবশেষে বলি, হৃদরোগ কবে হবে বা কখন তার চিকিৎসা করাবেন তার জন্য বসে না থেকে অল্প বয়স থেকেই সতর্ক হতে হবে। প্রতিবিধানের থেকে প্রতিরোধ অনেক ভালো। তাই প্রথম থেকেই এব্যাপারে সচেতন হয়ে পদক্ষেপ নিলে সুস্থ থাকবেন। 
অনুলিখন: সন্দীপ রায়চৌধুরী    

07th  October, 2024
মৃত্যু কি আগাম
ইঙ্গিত দেয়?

স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন, মৃত্যু চিন্তা ভালো। কারণ এই জগৎ কতটা মিথ্যা সেটা বোঝার জন্য। তবে মৃত্যুভয় ভালো নয়। জগতের বড় বিস্ময় মৃত্যু। মৃত্যুকালে মানুষের শুদ্ধ চেতনাকে আচ্ছন্ন করে দেয় অন্ধকার। সাধক-যোগীরা সেই অন্ধকারকে কাটাতে পারেন। বীরের মতো দেহ ছেড়েছেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, রাম ঠাকুর, বালানন্দ ব্রহ্মচারি, নিগমানন্দ ঠাকুর, পরমহংস যোগানন্দ স্বামী, দুর্গাপুরী মাতাজি। মৃত্যুযোগ যাঁরা অভ্যাস করেন তাঁরাই নিজের মৃত্যুকালটি জানতে পারেন। সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন মৃত্যুকাল আসন্ন? মৃত্যুকালে মানুষের মুখ কেন খোলা থাকে? শাস্ত্রে আছে, কারও যদি মনে হয় সূর্যের তেজ কমে আসছে, তাহলে তার আয়ু বেশিদিন নেই। রয়েছে আরও কিছু পূর্ব লক্ষণ। মৃত্যুর পূর্বে মানুষ নানারকম স্বপ্ন দেখেন, কী সেই স্বপ্ন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।
বিশদ

07th  October, 2024
আত্মার উপস্থিতি কীভাবে
অনুভব করা যায়?

আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে অনেক কথা শোনা যায়। আশ্চর্যের বিষয়, মহাপুরুষ থেকে সাধারণ মানুষও আত্মার উপস্থিতি বুঝতে পারেন। আচার্য শঙ্করাচার্য থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ, আবার রাম ঠাকুর থেকে নিগমানন্দ সরস্বতী এমনকী বিশ্বের তাবড় মনীষীরাও স্বীকার করেন আত্মার অস্তিত্ব। জীবন ফুরিয়ে গেলেই তা শেষ হয়ে যায় না। এ বিষয়ে গীতা থেকে ভারতীয় অধ্যাত্মশাস্ত্র কী বলে? প্ল্যানচেটে অাত্মা আনা সম্ভব। কলকাতায় এক সময় এটি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু আত্মারা কখনও স্বইচ্ছায় আসেন তাঁর প্রিয়জনের কাছে! তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী হন। কোন পরিস্থিতিতে আত্মারা আসেন? কীভাবে বুঝবেন তাঁদের উপস্থিতি? কী সহায়তা করেন তাঁরা? লিখেছেন সোমব্রত সরকার। 
বিশদ

07th  October, 2024
অপদেবতা কি ক্ষতি করে?

অপদেবতা মানুষের ক্ষতি না উপকার করে? লিখেছেন অগ্নিশ্বর সরকার। বিশদ

07th  October, 2024
ঘরোয়া টোটকায় কী কী রোগ সারে?
শম্পা চক্রবর্তী

হাজার হাজার বছর আগে যখন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি ঘটেনি, মানুষজনের কাছে অ্যালোপ্যাথি বা হোমিওপ্যাথি ওষুধেরও কোনও ধারণা ছিল না। তখন থেকেই মানুষজন বিভিন্ন অসুখবিসুখের মোকাবিলায় প্রাকৃতিক বা ভেষজ চিকিৎসার ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করত। বিশদ

07th  October, 2024
রোগ নিরাময়ে টোটকা?
ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য

হাতের কাছে চট করে পাওয়া যায় এমন ভেষজ যে প্রয়োজনে ছোটখাট অসুখ সারাতে পারে তা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে হয়তো কখনও জানতেন এখন আর মনে পড়ছে না। বিশদ

07th  October, 2024
কেদারনাথ থেকে রামেশ্বরম
কেন এক সরলরেখায় ৭টি শিবলিঙ্গ?

ভারতে এমন সব মন্দির আছে যার রহস্য উদঘাটন আজও কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি। কেউ বলেন এ হল দেব-মহিমা। কারও মতে সবটাই কাকতালীয়। এমনই এক অদ্ভুত ও আকর্ষণীয় বিষয় হল শিবশক্তি রেখা। কী এই শিবশক্তি রেখা? দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় মাঝবরাবর ৭৯° দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত বিখ্যাত ৭টি শিব মন্দির। এই শিবশক্তি রেখা এক রহস্য। যার উত্তরে অবস্থিত কেদারনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ আর দক্ষিণে রামেশ্বরম জ্যোতির্লিঙ্গ।  এই দুইয়ের মাঝে রয়েছে পাঁচটি রহস্যময় পঞ্চভূতেশ্বর শিবলিঙ্গ। কেন শিবশক্তি রেখায় অবস্থিত শৈবক্ষেত্রগুলো? বিজ্ঞান কি বলে এই শিবশক্তি রেখা নিয়ে? লিখেছেন সমুদ্র বসু।
বিশদ

07th  October, 2024
হার্ট ভালো 
রাখুন খাবারে
অরিত্র খাঁ

হার্টের শরীর ও স্বাস্থ্যের কথা যদি আমরা মেডিক্যাল ডায়েটের পরিভাষায় বলি তাহলে প্রথমেই উঠে আসবে ‘ডিসলিপিডেমিয়া’(Dyslipidemia)-এর কথা। আমাদের শরীরে লিপিড প্রোফাইল অর্থাৎ কোলেস্টেরলের মাত্রা মাঝেমধ্যে এদিক ওদিক হয়। শরীরে ভালো ও খারাপ দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। বিশদ

07th  October, 2024
ভালো রাখুন আপনার হার্ট
ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল

কীভাবে ভালো রাখবেন হার্ট? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ বলছেন ‘সুপারফুড’ খেতে, আবার কেউ বলছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করতে। এছাড়াও আছে ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিন’-এর নানা চমকদার ‘থেরাপি’। অনেকে ‘গোপন’ টোটকার কথাও বলেন। কিন্তু এর মধ্যে কোনটা কার্যকর? সত্যিই কি হার্ট ভালো রাখার জন্য বিশেষ কিছু করতে হয়? এই নিয়ে আলোচনা করা যাক। 
বিশদ

07th  October, 2024
যোগচর্চায় সুস্থ রাখুন হার্ট
আশীষ সেন

হার্টকে সুস্থ রাখতে যোগচর্চার জুড়ি নেই। ‘হৃদযন্ত্র’ শব্দটিকে বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় বুকের মধ্যস্থিত স্পন্দনশীল রক্ত সঞ্চালক শারীরিক যন্ত্র বিশেষ। শুধুমাত্র মানবজীবন নয় সমস্ত প্রাণীর ক্ষেত্রেই এই ‘শারীরিক যন্ত্র’ প্রাণকে আমৃত্যু সচল রাখে। বিশদ

07th  October, 2024
সাধারণ রোগে কী ডায়েট?

কোন সময়ে কী খাবেন জানালেন পুষ্টিবিদ ডাঃ রঞ্জিনী দত্ত।
  বিশদ

07th  October, 2024
কোন রোগে 
কী পথ্য?

সুস্থ থাকার জন্য যা খাই, তা খাদ্য। রোগীর বেলায় সেটি হয়ে যায় পথ্য। এই পথ্য তখন ওষুধের সঙ্গে মিলেমিশে রোগ সারায়। সেই পথ্যধর্মী খাবার যদি দৈনন্দিন জীবনে খাওয়া যায়, তাহলে শরীর এমনিতেই সুস্থ থাকবে। খাদ্যকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে রোগবালাই পালাবে। সুস্থ মানুষ রোজকার খাবারে কোন কোন পদ কতটা খাবেন? অসুস্থ ব্যক্তি কী খাবার খাবেন, সেই হিসেব কি জানেন? খাদ্য যে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে তা সবাই জানে। ঠিক মতো খাবার খেয়ে সুস্থতা বজায় রাখার উপায় বললেন ডাঃ সুবলকুমার মাইতি। 
বিশদ

07th  October, 2024
বদ্রীনাথ থেকে বসুধারা
প্রসেনজিৎ পোদ্দার

খাদের সীমানা বরাবর গাঁথা পাঁচিলের ঠিক পরেই, প্রায় হাত বাড়ানো দূরত্বে, নীচের সুগভীর গিরিখাত ধরে ছলবলিয়ে প্রবহমানা তীব্র স্রোতস্বিনী অলকানন্দা। তার স্বচ্ছ নীলাভ জলরাশি চলার পথে এখানে-ওখানে পাথরের বুকে ধাক্কা খেয়ে, সফেন ধারায় ছুটে চলেছে সুতীব্র গতিতে। বিশদ

07th  October, 2024
জয়ন্তীর জঙ্গলে দিনরাত্রি
সোমনাথ  মজুমদার

কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস এন জে পি স্টেশন থেকে যখন ছাড়ল বাইরে মুষল ধারায় বৃষ্টি পড়ছে। ঘণ্টা দেড়েক বৃষ্টির পর আবার আকাশ মেঘমুক্ত। হাসিমারা স্টেশন পার হয়ে গিয়েছে, বক্সার গভীর অরণ্যর মধ্যে এঁকে বেঁকে চলেছে ট্রেন। দরজায় দাঁড়িয়ে দূরের ডিজেল ইঞ্জিনকে দেখা যায়। বিশদ

07th  October, 2024
থর মরুভূমিতে এক রাত
ডাঃ অমিতাভ  ভট্টাচার্য

 

আকাশে তখন পূর্ণিমার চাঁদ। মাথায় টুপি আর গায়ে চাদর জড়িয়ে, তাকিয়ায় হেলান দিয়ে, হাতে গড়গড়ার নল নিয়ে চোখের সামনে যখন রাজস্থানি সুন্দরীর লোকনৃত্য দেখছিলাম। আর মাঝে মাঝে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছিলাম, তখন নিজেকে রাজাই মনে হচ্ছিল। থর মরুভূমি থুড়ি জয়সলমিরের রাজা।
বিশদ

07th  October, 2024

Pages: 12345

একনজরে
শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সিমলার কৃষ্ণনগরে একটি বাড়িতে আগুন, হতাহতের খবর নেই

08:14:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় শুরু উদ্ধারকাজ, অকুস্থলে রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

08:13:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-জামশেদপুর ০ (৩৭ মিনিট)

08:08:00 PM

নিউ আলিপুরে ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় অকুস্থলে দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন

08:07:00 PM

নিউ আলিপুরে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক যানজট, শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে

07:38:00 PM

পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ, হতাহতের খবর নেই

07:38:00 PM