Bartaman Patrika
সাপ্তাহিক বর্তমান
 

সাধারণ রোগে কী ডায়েট?

কোন সময়ে কী খাবেন জানালেন পুষ্টিবিদ ডাঃ রঞ্জিনী দত্ত।

কোন রোগে কী খাওয়া উচিত তা নিয়ে এককথায় বলা একটু মুশকিল। কারণ ডায়েটেটিক্স আর ডিজিজ হাত ধরাধরি করে চলে। নানা রোগে কী পথ্য হওয়া উচিত বা কোন কোন খাবার খাওয়া চলবে না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে কী কী ডায়েটে থাকা উচিত, ঋতু পরিবর্তনের সময় আমরা যে যে সমস্যায় ভুগি এসব নিয়েই মূলত আলোচনা করব। 
আমাদের বাঙালিদের তো কমবেশি রোগব্যাধি লেগেই থাকে। সেই রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ যেমন দরকার, তেমনই সঠিক পথ্যও প্রয়োজন। আবার বেশ কিছু তথ্য যা আমরা চিরাচরিতভাবে জেনে এসেছি ভালো কিন্তু অনেকসময়ই অপ্রয়োজনীয় সেটা নিয়েও কথা বলতে হবে। 

জ্বর-সর্দি-কাশি
সাধারণ জ্বর-সর্দি যেমন হয়, তেমনই আবার অনেকসময় জ্বরের প্রকোপে আমরা মাথা তুলতে পারি না। গা-হাত পায়ে অসহ্য ব্যথা হয়, গলা-বুক জ্বালা করে। খাওয়ায় অরুচি হয়, কিছু খেতেই যেন ভালো লাগে না। এরকম হলে মা-ঠাকুমারা অনেকসময় দুধ সাবু খাওয়ার নিদান দেন। কিন্তু জ্বর পা পেট খারাপ হলে একদমই দুধ সাবু খাওয়া উচিত নয়। কেন? সাবু মূলকন্দ থেকে আসে। দুধ নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু দুধ সম্পূর্ণ আহার নয়। ইংরেজিতে যাকে বলে, ব্যালান্সড ডায়েট নয়। কারণ দুধের মধ্যে আয়রন নেই, ভিটামিন সি নেই। ফাইবার নেই। অনেক মিনারেল বা মাইক্রোনিউট্রেন্টও দুধে খুব কম পরিমাণ উপস্থিত থাকে। দুধের থেকে এসব উপাদান ডিমে অনেক বেশি। সেজন্যই আমরা বলে থাকি একটা নির্দিষ্ট কোনও খাবার ব্যালান্সড ডায়েট হয় না। এম্পটি ক্যালরি কথাটা ইতিমধ্যে আমরা সকলেই জেনে গেছি। এটা এমন একধরনের শর্করা জাতীয় খাবার যার মধ্যে শুধু ক্যালরি ছাড়া আর কিছু নেই। এরমধ্যে চিনি যেমন আছে, সাবুও এর মধ্যে আছে। যখন কারও জ্বর হয় তখন অন্ত্রের গায়ে অনেক ধরনের উৎসেচক লেগে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম ল্যাকটেজ উৎসেচক। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই উৎসেচকের উপর আঘাত নেমে আসে। অনেক ধরনের জীবাণু এই উৎসেচকটি খেতে পছন্দ করে। পেটের রোগ হলে জীবাণু প্রথমেই এই ল্যাকটেজ উৎসেচকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে খেতে শুরু করে। সব শর্করাকেই তো পাচন করতে হয়। এই পাচনক্রিয়ার জন্য দরকার এই উৎসেচক। এই ল্যাকটেজ নষ্ট হয়ে গেলে পেটের অসুখে ভুগতে হয় আমাদের।  
 জ্বর হলে প্রথমেই রোগীকে যথেষ্ট পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানো প্রয়োজন। শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক মাত্রায় নামিয়ে আনার জন্য তরলজাতীয় খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। 
 জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে ভিটামিন সি যুক্ত ফলের রস দেওয়া প্রয়োজন। দুর্বল শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি সংক্রমণ প্রতিরোধের সহায়কও হবে। কমলালেবু, আপেল বা আনারস ছাড়া ডাবের জলও দেওয়া যেতে পারে। চিনি ছাড়া এই রস খেতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। 
 ফলের রসের পাশাপাশি রোগীকে প্রোটিনজাতীয় খাবারও দিতে হবে। এক্ষেত্রে চিকেন স্যুপ দারুণ কার্যকরী। চিকেন স্যুপের সঙ্গে সব্জি দেওয়া গেলে তা থেকে শরীরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ হবে।
 যাঁরা চিকেন খান না, তাঁদের শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ করতে বিভিন্ন সবুজ শাকসব্জির স্যুপ দেওয়া যেতে পারে। 
 ঠান্ডা লেগে সর্দিকাশিজনিত জ্বরে লাল চা অত্যন্ত উপকারী। এক্ষেত্রে চায়ের সঙ্গে আদা থেঁতো করে বা মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তবে দুধ চা নৈব নৈব চ। 
 তরল খাবারের পাশাপাশি রোগীকে নরমজাতীয় খাবারও দিতে হবে। তবে হজমের গণ্ডগোল যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পাতলা খিচুড়ি, সুজি এক্ষেত্রে ফলদায়ক হতে পারে। 
 জ্বর হলে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে রাস্তার ফাস্টফুড, অতিরিক্ত ভাজাভুজি বা মশলাদার খাবার। 
 বোতলবন্দি ফলের রস, সফট ড্রিংক, ক্যানবন্দি বা প্যাকেটজাত মুখরোচক খাবারও এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়।

শিশুদের ক্ষেত্রে—
খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির শিশুদের কথাও। কারণ জ্বর হলে শিশুরা একদমই কিছু খেতে চায় না। মুখে স্বাদ আনতে বাড়িতে তৈরি খাবারই দিতে হবে। খুব অল্প তেলে ভাজা পরোটা বা সব্জি মিশিয়ে খিচুড়ি দেওয়া যেতে পারে। শিশুরা চিপস বা পিত্জা খাওয়ার জন্য বায়না করে আর আমরা বড়রাও অনেকসময় তা দিয়ে দিই। এটা একদম মাথায় গেঁথে নিন যে জ্বরের সময় কোনও অবস্থাতেই শিশুকে বাইরের খাবার দেওয়া যাবে না। চাল, ডাল, সব্জি দিয়ে তৈরি করা খিচুড়িতে চিকেন মিশিয়েও খাওয়ানো যেতে পারে। আবার পরোটার সঙ্গেও চিকেন স্ট্যু দিতে পারেন। একদমই ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে অবশ্য চাল-ডালের খিচুড়ি দেওয়াটাই ভালো। কারণ জ্বরের সঙ্গে অনেক সময় পেটখারাপের প্রকোপও বাড়ে। তাই বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে এদিকটাও মাথায় রাখা জরুরি। 

সাধারণ জ্বর বা গা-হাত-পা ম্যাজম্যাজ করলে
জ্বরকে প্রায়শই সাধারণ অসুখ ভেবে ভুল করি।  জ্বরের অনেকরকম লক্ষণ হতে পারে। মানে অনেক অন্য রোগের জন্যও জ্বর হতে পারে। তাই চিকিৎসার ভাষায় জ্বর কোনও রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র। আর জ্বরের কারণে গা, হাত-পা ম্যাজম্যাজ করে, মাথাযন্ত্রণাও হয়। দেহের তাপমাত্রা নির্দিষ্ট মানের থেকে বেশি হলে তাকে জ্বর বলে থাকি। দিনের বিভিন্ন সময়ে আমাদের দেহের তাপমাত্রা বাড়ে-কমে। এটা জ্বর নয়। এর জন্য চিকিৎসারও প্রয়োজন হয় না। আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে যেমন জ্বর হয়, তেমনই হজমের গণ্ডগোল বা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকেও জ্বর হতে পারে। তাই ঠিক কী কারণে জ্বর হচ্ছে সেটা নির্ণয় করা প্রথমে জরুরি। 
জ্বর হলে আমাদের মা-ঠাকুমাদের দেখেছি দুধ দিয়ে সাবু বা বার্লি খাওয়াতে। এগুলো খাওয়ানোর কোনও দরকারই নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি দেহের সঠিক পুষ্টির চাহিদা বজায় রাখতে হবে। জ্বর হলে অধিকাংশ রোগীর খেতে ইচ্ছে করে না। খাওয়ায় অরুচি হয়। দেহের চাহিদা মতো পুষ্টি বজায় রাখাটা জরুরি।  

ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস
বাড়ি থেকে খুব সাজগোজ করে বেরচ্ছেন। হঠাৎ পেটটা মোচড় দিয়ে উঠল। ফ্লাইটের টাইম হয়ে যাচ্ছে, ট্যাক্সি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে— এই সময় মনে হল একবার বাথরুমে না গেলেই নয়! এটাই ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা সোজা কথায় পেট খারাপ। এসব সমস্যা এড়াতে অনেকেই হালকা খাওয়ার নিদান দেন। তাতে আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু তারমধ্যে একদমই দুধ-সাবুর কম্বিনেশন খাওয়া ঠিক নয়। বরং দই খেতে পারেন। নেহাতই কিছু খেতে না ইচ্ছে হলে বাড়িতে পাতা টক দই আর কর্নফ্লেক্স খেতে পারেন। আর তা না হলে মাছ-ভাত খাওয়াই ভালো। 

ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন
এক্ষেত্রে নিজেকে যেমন পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন তেমনই সঠিক পথ্য খেতে হবে। যেমন প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। ক্র্যানবেরি জুস বা কালোজামের রস এক্ষেত্রে খুব ফলদায়ক। 

মেনস্ট্রুয়েশনের সময় ডায়েট
ক্র্যাম্পস বা ডিসমেনোরিয়া হলে এই সময় ব্লিডিং বেশি হয়। আর রক্ত বেরিয়ে যাওয়া মানে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাওয়া। তাই জল বা তরল পদার্থ এইসময় বেশি করে খেতে হবে। চা খেতে পারেন। গ্রিন টি বা ক্যারোমাইল টি মেনস্ট্রুয়াল ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে। এই চা মাসল রিলাক্স করতে সাহায্য করে। এবং সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। গ্রিন টি-এর বিষয়ে একটা কথা মনে রাখবেন। এই চা কখনও গরম জলে ফুটিয়ে খাওয়া যায় না। চুল পড়ার সমস্যা, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে গ্রিন টি। ঈষদুষ্ণ জলে  চা পাতা ফেলে পান করতে হয়। গ্রিন টির সঙ্গে দুধ বা চিনি মেশানো যায় না। যে কোনও চায়ের সঙ্গে দুধ বা চিনি না মেশানোই ভালো। গ্রিন টির ক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখবেন। যে কাপে চা খাচ্ছেন, সেই কাপেই অন্তত তিন কাপ জল খাবেন, তবেই এই চায়ের সমস্ত উপকারিতা পাওয়া যাবে। 

জন্ডিস
জন্ডিস হল লিভারের সমস্যার একটি উপসর্গ মাত্র। জন্ডিস হলে দু’ধরনের বিলিরুবিন টেস্ট হয়— কনজুগেটেড আর নন-কনজুগেটেড বিলিরুবিন। নন-কনজুগেটেড বেশি হলে তাকে বলে হেপাটাইটিস। তবে মাত্রা ১.১-এর বেশি হতে হবে। আর কনজুগেটেড বিলিরুবিন বেশি হলে খুব সম্ভবত আপনার গলব্লাডারে স্টোন হয়েছে। কিংবা গলব্লাডারের অন্য কোনও অসুখ দেখা দিয়েছে। আবার প্যাংক্রিয়াসের সমস্যাও হতে পারে। কনজুগেটেড বিলিরুবিন বেশি থাকলে ফ্যাট জাতীয় খাবার একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। অন্যদিকে নন কনজুগেটেড বিলিরুবিন বেশি হলে ফ্যাট জাতীয় খাবার অতটা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই। জন্ডিস হলে ফ্যাট ফ্রি ব্ল্যাঙ্ক ডায়েট খাওয়ারও প্রয়োজন নেই। কারণ জল ছাড়া সবকিছুতেই ফ্যাট আছে। স্যুপ খাবেন না। এর মধ্যে গ্লুটেন আর কর্নফ্লাওয়ার ছাড়া কিছু নেই। এতে রোগী ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। তার থেকে বরং হালকা খাবার দিন। রোগীকে হালকাভাবে বানানো মাছের ঝোল দিতে পারেন, বড়ির ঝোল দিতে পারেন। নিরামিষ খাবার খাওয়ারও কোনও দরকার নেই। সেদ্ধ বা ফ্যাট ফ্রি খাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে হ্যাঁ, পাঁঠার মাংস খাবেন তা নয়। অ্যানিমাল প্রোটিন বাদ দেওয়াই ভালো। অর্থাৎ ফ্যাট লেস বা কম ফ্যাট আছে এমন খাবার খান। বেশি করে শাকসব্জি খান। এটা ভাইরাস ঘটিত রোগ। তাই কোনও অ্যান্টিবায়োটিকে কিন্তু জন্ডিস সারবে না। 

হাই ব্লাডপ্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার পিছনে বংশগত একটা কারণ থাকে। অর্থাৎ কারও পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের রোগী থাকলে, ওই পরিবারের সুস্থ সদস্যটিকে সতর্ক থাকতে হবে। ৩০ বছর বয়সের পরে প্রতি ছ’মাস অন্তর একবার রক্তচাপ পরীক্ষা করিয়ে দেখতে হবে।
 কাঁচা নুন বা রান্নার নুনের মধ্যে কোনও পার্থক্য আছে, এরকম কোনও ব্যাপার নেই। ড্যাশ (ডায়েটারি অ্যাপ্রোচ টু স্টপ হাইপারটেনশন) ডায়েট অনুসারে নুনের পরিমাণ নির্ধারণ করুন। এই বিশেষ ধরনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত কী পরিমাণ নুন আপনি খেতে পারবেন তা আপনার ডায়েটেশিয়ানের কাছ থেকে জেনে নেবেন। সেটুকুই আপনার সারাদিনের বরাদ্দ। সেটা রান্নায় বা পাতে যেভাবেই খান না কেন।  এছাড়া প্রিজারভেটিভ দেওয়া খাদ্য, যে কোনও ধরনের স্যস খাওয়া কমিয়ে ফেলুন যতখানি সম্ভব।  ওজন বাড়তে দেবেন না। নিয়মিত ব্যায়াম বা অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা প্রয়োজন। 

ডায়েটের সঙ্গে রক্তচাপের যোগ—
 রক্তচাপ বাড়া কমার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকে সোডিয়াম। আর সোডিয়াম মেলে নুন থেকে। তাই এটা একটা বাচ্চাও বুঝতে পারবে যে নুন বেশি খেলে রক্তচাপ বাড়বে।
 খেয়াল করলে দেখা যাবে, রক্তচাপের গণ্ডগোলের সঙ্গে সাধারণত অন্যান্য অসুখও থাকে। উদাহরণ হিসেবে স্থূলত্ব, ডায়াবেটিসের কথা বলা যায়। সাধারণত সংযমী না হয়ে উল্টোপাল্টা খাওয়ার কারণে ওজন বাড়ে। আর ওজন বাড়লে রক্তচাপের ভারসাম্যেরও গণ্ডগোল হয়ে যায়। অতএব দৈহিক উচ্চতা অনুযায়ী কতটা ওজন থাকা বাঞ্ছনীয়, তা বুঝে নিন আগে। ওজন বেশি থাকলে কমান।
 ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ঠিক সময় ব্যবস্থা না নিলে রক্তচাপের ভারসাম্যেরও সমস্যা দেখা দেয়।
 মানসিক চাপ একটা বড় বিষয়। আজকাল মানুষের স্ট্রেস কাটাতে রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া করা বা মদ্যপান করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। জীবনযাপনে এমন লাগামছাড়া অভ্যেস আসলে ঘুরিয়ে রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
 আচার, স্যস, প্রিজারভেটিভ দেওয়া নোনতা খাবার নিয়মিত খেলে রক্তচাপ বাড়ার আশঙ্কা  থেকেই যায়।
 সাধারণ অবস্থায় একজন ব্যক্তি ৫ থেকে ৬ গ্রাম নুন প্রতিদিন খেতে পারেন রান্নায়। তবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে রান্নায় নুনের পরিমাণ অর্ধেক করে দেওয়াই ভালো। আর পাতে কাঁচা নুন একেবারে বাদ দিতে হবে।
 বাজার চলতি বিভিন্ন রকমের লো সোডিয়াম লবণ পাওয়া যায়। এটা বিজ্ঞাপনী চমক, এতে বিভ্রান্ত হবেন না। তাতে সোডিয়ামের পরিবর্তে অন্যান্য খনিজ লবণ থাকে, যেমন পটাশিয়াম যা পরোক্ষে আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে। 
 শুধু ডায়েট নয়, প্রতিদিন রক্তচাপের ওষুধ খেতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়ম মেনে।

বিজ্ঞাপনী চমকে ভুলবেন না 
বিজ্ঞাপনের চমক নিয়ে আরও একটু বিশদ বলা প্রয়োজন। রোগী, রোগ আর পথ্যের মধ্যে লেবেল রিডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন কারও শরীর খারাপ হলেই বা অসুস্থ হলেই অনেকে বাজারচলতি হেলথ ড্রিঙ্ক বা হেলথ সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন। এর কোনও দরকার নেই। যে কোনও অসুখেই আমাদের ধারণা আছে একটা হেলথ ড্রিঙ্ক খেলে বা একটা আপেল বা বেদানা খেলে উপকার হবে। তা ঠিক নয়। দরকার মতো খেতে হবে আয়রন বা প্রোটিন জাতীয় খাবার। তেলের প্যাকেটে যেমন জিরো কোলেস্টেরল লেখা থাকে। কিন্তু প্রাণিজ পদার্থ থেকে তৈরি না হওয়া কোনও জিনিসে কোলেস্টেরল থাকা সম্ভব নয়। এগুলি বিজ্ঞাপনী চমক। তাই লেবেল রিড করুন। প্যাকেটের গায়ে লেখা অতি ক্ষুদ্র জিনিসগুলো খুঁটিয়ে পড়ুন। বুঝতে না পারলে গুগল করুন। 

লিক্যুইড ডায়েট বা তরল খাবার
দুই ধরনের লিক্যুইড ডায়েট হয়— ক্লিয়ার ফ্লুইড আর ফুল ফ্লুইড। যে খাবারের কোনও ধ্বংসাবশেষ হয় না তাকে বলে ক্লিয়ার ফ্লুইড। যেমন মুসাম্বির রস করে ছেঁকে নিলে যা পাওয়া যায় তাতে আর কিছু ফেলে দেওয়ার মতো থাকে না। এরকমই ডাবের জল, চায়ের জল সবই ক্লিয়ার ফ্লুইড ডায়েট। ইলেকট্রোলাইটস ব্যালান্স ঠিক রাখতে এই ডায়েট দেওয়া হয়। খেয়াল রাখতে হবে রোগী যেন ৩-৪ দিনের বেশি ক্লিয়ার ডায়েটে না থাকে। যদি রাখতেই হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর যে খাবার পুরোপুরি পেস্ট করে বা গলিয়ে খেতে পারবেন, সেটাই ফুল ফ্লুইড ডায়েট। এই ডায়েট কিন্তু সবসময় একজন রোগীকে দেওয়া যেতে পারে।
শেষ কথা : বর্তমানে রোগ সারাতে ডায়েট নিয়ে নানা স্তরের গবেষণা চলছে। বিশেষ করে আইসিইউতে ভর্তি থাকা রোগীর ডায়েট কীভাবে রোগীর সুস্থতা ত্বরান্বিত করতে পারে তা নিয়ে হয়েছে একাধিক গবেষণা। এমনকী হাসপাতালে ভর্তি সাধারণ রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে যে ডায়েটের ভূমিকা বিরাট তা ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত। সবচাইতে বড় কথা, খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের দেহে নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ প্রবেশ করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সুতরাং বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পরেও খাদ্য যে রোগ প্রতিরোধে আমাদের সাহায্য করবে তা বলাই যায়। অতএব রোগে পড়লে খাদ্য গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করবেন না। ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ মতো খাবার খান। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
লেখক কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের ডায়েটেটিক্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক।
অনুলিখন: সন্দীপ রায়চৌধুরী

07th  October, 2024
মৃত্যু কি আগাম
ইঙ্গিত দেয়?

স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন, মৃত্যু চিন্তা ভালো। কারণ এই জগৎ কতটা মিথ্যা সেটা বোঝার জন্য। তবে মৃত্যুভয় ভালো নয়। জগতের বড় বিস্ময় মৃত্যু। মৃত্যুকালে মানুষের শুদ্ধ চেতনাকে আচ্ছন্ন করে দেয় অন্ধকার। সাধক-যোগীরা সেই অন্ধকারকে কাটাতে পারেন। বীরের মতো দেহ ছেড়েছেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, রাম ঠাকুর, বালানন্দ ব্রহ্মচারি, নিগমানন্দ ঠাকুর, পরমহংস যোগানন্দ স্বামী, দুর্গাপুরী মাতাজি। মৃত্যুযোগ যাঁরা অভ্যাস করেন তাঁরাই নিজের মৃত্যুকালটি জানতে পারেন। সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন মৃত্যুকাল আসন্ন? মৃত্যুকালে মানুষের মুখ কেন খোলা থাকে? শাস্ত্রে আছে, কারও যদি মনে হয় সূর্যের তেজ কমে আসছে, তাহলে তার আয়ু বেশিদিন নেই। রয়েছে আরও কিছু পূর্ব লক্ষণ। মৃত্যুর পূর্বে মানুষ নানারকম স্বপ্ন দেখেন, কী সেই স্বপ্ন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।
বিশদ

07th  October, 2024
আত্মার উপস্থিতি কীভাবে
অনুভব করা যায়?

আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে অনেক কথা শোনা যায়। আশ্চর্যের বিষয়, মহাপুরুষ থেকে সাধারণ মানুষও আত্মার উপস্থিতি বুঝতে পারেন। আচার্য শঙ্করাচার্য থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ, আবার রাম ঠাকুর থেকে নিগমানন্দ সরস্বতী এমনকী বিশ্বের তাবড় মনীষীরাও স্বীকার করেন আত্মার অস্তিত্ব। জীবন ফুরিয়ে গেলেই তা শেষ হয়ে যায় না। এ বিষয়ে গীতা থেকে ভারতীয় অধ্যাত্মশাস্ত্র কী বলে? প্ল্যানচেটে অাত্মা আনা সম্ভব। কলকাতায় এক সময় এটি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু আত্মারা কখনও স্বইচ্ছায় আসেন তাঁর প্রিয়জনের কাছে! তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী হন। কোন পরিস্থিতিতে আত্মারা আসেন? কীভাবে বুঝবেন তাঁদের উপস্থিতি? কী সহায়তা করেন তাঁরা? লিখেছেন সোমব্রত সরকার। 
বিশদ

07th  October, 2024
অপদেবতা কি ক্ষতি করে?

অপদেবতা মানুষের ক্ষতি না উপকার করে? লিখেছেন অগ্নিশ্বর সরকার। বিশদ

07th  October, 2024
ঘরোয়া টোটকায় কী কী রোগ সারে?
শম্পা চক্রবর্তী

হাজার হাজার বছর আগে যখন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি ঘটেনি, মানুষজনের কাছে অ্যালোপ্যাথি বা হোমিওপ্যাথি ওষুধেরও কোনও ধারণা ছিল না। তখন থেকেই মানুষজন বিভিন্ন অসুখবিসুখের মোকাবিলায় প্রাকৃতিক বা ভেষজ চিকিৎসার ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করত। বিশদ

07th  October, 2024
রোগ নিরাময়ে টোটকা?
ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য

হাতের কাছে চট করে পাওয়া যায় এমন ভেষজ যে প্রয়োজনে ছোটখাট অসুখ সারাতে পারে তা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে হয়তো কখনও জানতেন এখন আর মনে পড়ছে না। বিশদ

07th  October, 2024
কেদারনাথ থেকে রামেশ্বরম
কেন এক সরলরেখায় ৭টি শিবলিঙ্গ?

ভারতে এমন সব মন্দির আছে যার রহস্য উদঘাটন আজও কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি। কেউ বলেন এ হল দেব-মহিমা। কারও মতে সবটাই কাকতালীয়। এমনই এক অদ্ভুত ও আকর্ষণীয় বিষয় হল শিবশক্তি রেখা। কী এই শিবশক্তি রেখা? দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় মাঝবরাবর ৭৯° দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত বিখ্যাত ৭টি শিব মন্দির। এই শিবশক্তি রেখা এক রহস্য। যার উত্তরে অবস্থিত কেদারনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ আর দক্ষিণে রামেশ্বরম জ্যোতির্লিঙ্গ।  এই দুইয়ের মাঝে রয়েছে পাঁচটি রহস্যময় পঞ্চভূতেশ্বর শিবলিঙ্গ। কেন শিবশক্তি রেখায় অবস্থিত শৈবক্ষেত্রগুলো? বিজ্ঞান কি বলে এই শিবশক্তি রেখা নিয়ে? লিখেছেন সমুদ্র বসু।
বিশদ

07th  October, 2024
হার্ট ভালো রাখবেন কী করে?
ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস

হার্টের অসুখকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হার্টের নানারকম অসুখ হয়। সব অসুখ নিয়ে স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব নয়। কী কী নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থাকবে আপনার হার্ট? এই লেখায় মূলত সেই নিয়েই আলোচনা করব। তার আগে ছোট করে বলে নিই সাধারণত কোন কোন হার্টের অসুখে বেশি ভুগি আমরা।   বিশদ

07th  October, 2024
হার্ট ভালো 
রাখুন খাবারে
অরিত্র খাঁ

হার্টের শরীর ও স্বাস্থ্যের কথা যদি আমরা মেডিক্যাল ডায়েটের পরিভাষায় বলি তাহলে প্রথমেই উঠে আসবে ‘ডিসলিপিডেমিয়া’(Dyslipidemia)-এর কথা। আমাদের শরীরে লিপিড প্রোফাইল অর্থাৎ কোলেস্টেরলের মাত্রা মাঝেমধ্যে এদিক ওদিক হয়। শরীরে ভালো ও খারাপ দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। বিশদ

07th  October, 2024
ভালো রাখুন আপনার হার্ট
ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল

কীভাবে ভালো রাখবেন হার্ট? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ বলছেন ‘সুপারফুড’ খেতে, আবার কেউ বলছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করতে। এছাড়াও আছে ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিন’-এর নানা চমকদার ‘থেরাপি’। অনেকে ‘গোপন’ টোটকার কথাও বলেন। কিন্তু এর মধ্যে কোনটা কার্যকর? সত্যিই কি হার্ট ভালো রাখার জন্য বিশেষ কিছু করতে হয়? এই নিয়ে আলোচনা করা যাক। 
বিশদ

07th  October, 2024
যোগচর্চায় সুস্থ রাখুন হার্ট
আশীষ সেন

হার্টকে সুস্থ রাখতে যোগচর্চার জুড়ি নেই। ‘হৃদযন্ত্র’ শব্দটিকে বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় বুকের মধ্যস্থিত স্পন্দনশীল রক্ত সঞ্চালক শারীরিক যন্ত্র বিশেষ। শুধুমাত্র মানবজীবন নয় সমস্ত প্রাণীর ক্ষেত্রেই এই ‘শারীরিক যন্ত্র’ প্রাণকে আমৃত্যু সচল রাখে। বিশদ

07th  October, 2024
কোন রোগে 
কী পথ্য?

সুস্থ থাকার জন্য যা খাই, তা খাদ্য। রোগীর বেলায় সেটি হয়ে যায় পথ্য। এই পথ্য তখন ওষুধের সঙ্গে মিলেমিশে রোগ সারায়। সেই পথ্যধর্মী খাবার যদি দৈনন্দিন জীবনে খাওয়া যায়, তাহলে শরীর এমনিতেই সুস্থ থাকবে। খাদ্যকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে রোগবালাই পালাবে। সুস্থ মানুষ রোজকার খাবারে কোন কোন পদ কতটা খাবেন? অসুস্থ ব্যক্তি কী খাবার খাবেন, সেই হিসেব কি জানেন? খাদ্য যে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে তা সবাই জানে। ঠিক মতো খাবার খেয়ে সুস্থতা বজায় রাখার উপায় বললেন ডাঃ সুবলকুমার মাইতি। 
বিশদ

07th  October, 2024
বদ্রীনাথ থেকে বসুধারা
প্রসেনজিৎ পোদ্দার

খাদের সীমানা বরাবর গাঁথা পাঁচিলের ঠিক পরেই, প্রায় হাত বাড়ানো দূরত্বে, নীচের সুগভীর গিরিখাত ধরে ছলবলিয়ে প্রবহমানা তীব্র স্রোতস্বিনী অলকানন্দা। তার স্বচ্ছ নীলাভ জলরাশি চলার পথে এখানে-ওখানে পাথরের বুকে ধাক্কা খেয়ে, সফেন ধারায় ছুটে চলেছে সুতীব্র গতিতে। বিশদ

07th  October, 2024
জয়ন্তীর জঙ্গলে দিনরাত্রি
সোমনাথ  মজুমদার

কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস এন জে পি স্টেশন থেকে যখন ছাড়ল বাইরে মুষল ধারায় বৃষ্টি পড়ছে। ঘণ্টা দেড়েক বৃষ্টির পর আবার আকাশ মেঘমুক্ত। হাসিমারা স্টেশন পার হয়ে গিয়েছে, বক্সার গভীর অরণ্যর মধ্যে এঁকে বেঁকে চলেছে ট্রেন। দরজায় দাঁড়িয়ে দূরের ডিজেল ইঞ্জিনকে দেখা যায়। বিশদ

07th  October, 2024
থর মরুভূমিতে এক রাত
ডাঃ অমিতাভ  ভট্টাচার্য

 

আকাশে তখন পূর্ণিমার চাঁদ। মাথায় টুপি আর গায়ে চাদর জড়িয়ে, তাকিয়ায় হেলান দিয়ে, হাতে গড়গড়ার নল নিয়ে চোখের সামনে যখন রাজস্থানি সুন্দরীর লোকনৃত্য দেখছিলাম। আর মাঝে মাঝে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছিলাম, তখন নিজেকে রাজাই মনে হচ্ছিল। থর মরুভূমি থুড়ি জয়সলমিরের রাজা।
বিশদ

07th  October, 2024

Pages: 12345

একনজরে
শুক্রবার ভোরে কালীগঞ্জের বড়চাঁদঘর পঞ্চায়েতের তেজনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মোবাইল দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা লক্ষাধিক টাকার মোবাইল চুরি করে ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সিমলার কৃষ্ণনগরে একটি বাড়িতে আগুন, হতাহতের খবর নেই

08:14:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় শুরু উদ্ধারকাজ, অকুস্থলে রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

08:13:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-জামশেদপুর ০ (৩৭ মিনিট)

08:08:00 PM

নিউ আলিপুরে ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় অকুস্থলে দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন

08:07:00 PM

নিউ আলিপুরে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক যানজট, শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে

07:38:00 PM

পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ, হতাহতের খবর নেই

07:38:00 PM