Bartaman Patrika
সাপ্তাহিক বর্তমান
 

জয়ন্তীর জঙ্গলে দিনরাত্রি
সোমনাথ  মজুমদার

কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস এন জে পি স্টেশন থেকে যখন ছাড়ল বাইরে মুষল ধারায় বৃষ্টি পড়ছে। ঘণ্টা দেড়েক বৃষ্টির পর আবার আকাশ মেঘমুক্ত। হাসিমারা স্টেশন পার হয়ে গিয়েছে, বক্সার গভীর অরণ্যর মধ্যে এঁকে বেঁকে চলেছে ট্রেন। দরজায় দাঁড়িয়ে দূরের ডিজেল ইঞ্জিনকে দেখা যায়। পাহাড়, নদী, ঝর্ণা পেরিয়ে আঁকাবাঁকা পথে নিজস্ব ছন্দে চলেছে। আলিপুরদুয়ার জংশন মধ্যাহ্নে ১২.১০-এ পৌঁছনোর কথা কিন্তু ঘণ্টাখানেক বিলম্বে চলছে ট্রেন। গতি কম, রাজ্য বনদপ্তরের নির্দেশে ট্রেনের গতি কমাতে হয়েছে। হাতির সঙ্গে ট্রেনের দুর্ঘটনায় হস্তিশাবক সহ পূর্ণবয়স্ক হাতির মর্মান্তিক মৃত্যু ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা, তাতে পর্যটক আরও গভীরভাবে ডুর্য়াসের এই সবুজ জঙ্গলের দৃশ্য উপলব্ধি করতে পারে। একটা নাগাদ আলিপুরদুয়ার পৌঁছলাম। উত্তরবঙ্গের শেষ বড় রেলওয়ে জংশন আলিপুরদুয়ার। এখান থেকে কোচবিহারের দিনহাটা পর্যন্ত একটা রেলপথ আছে আর সোজা লাইন চলে গিয়েছে নিউবনগাঁইগাঁও হয়ে অসমের নানা প্রান্তে। নিউ জলপাইগুড়ি ছাড়ার পর রাস্তায় যে বৃষ্টি পেয়েছিলাম এখানে তার ছিটে ফোঁটা নেই। বেশ চড়া রোদ। স্টেশনের বাইরের দোকান বাজার প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একজন লোককে জিজ্ঞেস করে রাজাভাতখাওয়া যাওয়ার অটোর নিশানা পাই। আলিপুরদুয়ার থেকে রাজাভাতখাওয়ার দূরত্ব চোদ্দো কিলোমিটার। এই স্বল্প পথ আঁকাবাঁকা গভীর জঙ্গলে ঢাকা ছায়াময়। হাতি, ভল্লুক, বুনোশূকরের অবাধ বিচরণ। মাঝে মাঝে শুকনো নালা পড়ে। নালার উপর সেতু। সেতু পার হয়ে চলে অটো। পাহাড়ি নালা। বিস্তর বোল্ডার পড়ে আছে। এর মধ্যে বয়ে চলেছে ক্ষীণ জলধারা। দীর্ঘ জঙ্গল পার হয়ে ছোট জনপদ দেখা যায়। ড্রাইভার বলে এই রাজাভাতখাওয়া। বাঁদিকে ঘুরে রেল লাইন পার হয়ে জঙ্গল ঘেরা পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের বক্সা জঙ্গল লজ। বক্সা জঙ্গল লজের কম্পাউন্ড বিশাল। কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা কম্পাউন্ডের মধ্যে ঘুরলেই সময় কেটে যায়। দীর্ঘক্ষণের নিস্তব্ধতা ভেঙে জঙ্গলের বুক চিরে চলে যায় দূরপাল্লার ট্রেন। তিনটি আলাদা আলাদা ইউনিট আছে বক্সা বন বাংলোয়। আমাদের বুকিং ইউনিট থ্রি-তে। সামনে বারান্দায় জিনিসপত্র রেখে ইজি চেয়ারে গা এলিয়ে দিই। দূরের জঙ্গল দেখে মনের তৃষ্ণা মেটে। সামনের গাছে ময়ূর এসে বসেছে। মাঝে মাঝে কর্কশ শব্দ করে ডেকে ওঠে। কোকিল দেখেছি আগে কিন্তু বনে কোকিল দেখেনি। কুপ কুপ করে মাঝে মাঝে অদ্ভুতভাবে কে ডাকছে? চা দিতে এলেন পারিজাতবাবু। পারিজাত বর্মন। আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা। পারিজাতবাবুকে কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম বন কোকিলের কথা। সাধারণ কোকিলের মতোই তবে সাইজে বেশ বড় লেজশুদ্ধ লম্বা প্রায় আড়াই ফুট। গায়ের রং কালো তবে গলার কাছটা লাল। ঝোপ জঙ্গলে বসে থাকে। গাছের পোকামাকড় প্রধান খাদ্য। পরে পানাগড়ের কাছে দেউল পার্কে এই কোকিলের দর্শন পেয়েছিলাম। 
দীর্ঘ ট্রেন জার্নির ক্লান্তি দূর হয় স্নিগ্ধ জলে স্নান করার পর, গা যেন জুড়িয়ে যায়। পারিজাতবাবু বলেন, খেতে যাওয়ার কথা। ক্যান্টিন একটু দূরে তবে সুন্দর পরিবেশ। ছিমছাম পরিষ্কার ঝকঝকে। ভাত, ডাল, ঝুরঝুরে আলুভাজা, আলুঝিঙে পোস্ত, চারা পোনা, চাটনি সহযোগে সুন্দর খাওয়া হল। মে মাসে কলকাতায় যখন তীব্র গরম তখন রাজাভাতখাওয়ায় স্নিগ্ধ বাতাসে শরীর জুড়িয়ে যায়। দ্রুত গড়িয়ে যায় বেলা। অপরাহ্ণের আলো ম্লান হয়ে আসছে। গাছের ছায়া দীর্ঘতর হয়। সূর্যের শেষ আলো যাই যাই করে চলে যায়। অন্ধকার বিদীর্ণ করে শুক্লপক্ষের চাঁদ উঠল। চাঁদের আলোয় প্লাবিত বনাঞ্চল আরও স্বচ্ছ আরও সুন্দর।
ভোরবেলা জঙ্গলের পথে হেঁটে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। শুকনো পাতা মাড়িয়ে বুনো গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে হেঁটে যাই জঙ্গলের পথে। ফিরে এসে উষ্ণ চায়ে চুমুক দিতে দিতে দেখি এক্সপ্রেস ট্রেন বাঁশি বাজিয়ে জঙ্গল বিদীর্ণ করে চলে যায়। ট্রেন অদৃশ্য হয় কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিনের ঘস ঘস শব্দ অনেকক্ষণ কানে বাজে। আজ আমরা অর্থাৎ আমি ও আমার দুই বন্ধু যাব জয়ন্তীর জঙ্গলে। চুক্তির ভিত্তিতে গাড়ি ঠিক করা হয়েছে। জয়ন্তীর জঙ্গলে ঢোকার আগে পারমিশন করাতে হয়। সঙ্গে বাধ্যতামূলক গাইড নিতে হয়। দীর্ঘকায় শাল, সেগুন, আকাশমণি, শিরীষ গাছের জঙ্গলের বুক চিরে জিপ যাওয়ার রাস্তা। ভাগ্য ভালো থাকলে হাতি, ভল্লুক, হরিণ, বুনোশূকর দেখতে পাওয়া অসম্ভব নয়। একের পর এক রাস্তা ঘুরে চলে, এক জায়গায় হঠাৎই দেখা মেলে শাবক সহ দুই হস্তীর। রাস্তা পার হয়ে আবার জঙ্গলে ঢুকে যায়। অনেকটা ঘোরার পর জয়ন্তী নদীর ধারে এসে দাঁড়াই। শুকনো নদী বড় বড় পাথর মাঝে ক্ষীণ জলধারা বয়ে চলেছে। দূরে যে পাহাড় দেখা যায় তার ওপারেই ভুটান। গাইড আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলে ওই মেঘের মতো দূরে ওই পাহাড়ের খাঁজে দুর্গম বিখ্যাত মহাকাল মন্দির। গাড়ির মধ্যে খাবার আনা হয়েছে টিফিন ক্যারিয়ারে। জলের বোতল আছে। জয়ন্তীর পাহাড়ে বসে নদীর কূলে দুপুরের খাওয়া পিকনিকের সমতুল্য। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আবার শুরু পথচলা। জয়ন্তীর জঙ্গলে ঢোকার জন্য যে গাইডকে নিয়েছিলাম বেরবার সময় সে নেমে যায়। গেটের বাইরে কতগুলো দোকান। মামুলি চা জলখাবার ওমলেট আর স্থানীয় মিষ্টি পাওয়া যায়। ওমলেট আর চা খেতে খেতেই আকাশের দিকে তাকাই— চারদিক গুমোট। গাছের পাতা নড়ছে না। পশ্চিম আকাশে ঘনকালো মেঘ জমেছে। ওই দিকেই ভুটান ঘাট। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, ড্রাইভার বলে, চলেন বাবু তাড়াতাড়ি ঝড় উঠবে। যাওয়ার পথের শুরুতেই ধুলোঝড় শুরু হল। প্রথমে অল্প অল্প তারপর মুষল ধারায় বৃষ্টি নামল। ক্যামেরার ফ্ল্যাশের মতো বিদ্যুৎ ঝলসে উঠল। আর তখনই দেখলাম রাজাভাতখাওয়া জয়ন্তী মিটারগেজ রেল লাইনের পরিত্যক্ত সেতু। আগে জয়ন্তী অবধি ট্রেন চলত দীর্ঘদিন তা বন্ধ। জয়ন্তী নদীর উপরে সেই পরিত্যক্ত সেতু অক্ষত পড়ে আছে।
ফরেস্ট বাংলো যখন পৌঁছলাম তুমুল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল ঝড়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। দীর্ঘকায় শাল গাছ মাঝে মাঝে প্রবল ঝড়ের দাপটে নুয়ে পড়ছে। এক্ষুনি বুঝি ভেঙে পড়বে। বলতে বলতেই বিশাল গাছের ডাল ভেঙে পড়ল। দুমদাম শব্দে জানলা বন্ধ হচ্ছে আবার খুলে যাচ্ছে। কেমন গা ছমছম করছে। বাধ্য হয়েই জানলা বন্ধ করে দিতে হয়। জয়ন্তীর জঙ্গলে এইরকম ঝড়বৃষ্টি মার্চ-এপ্রিল মাসে মাঝে মাঝেই হয় আর তার পর দু-একদিন রীতিমতো ঠান্ডা পড়ে যায়। 
ঘণ্টা দুয়েক হয়ে গেল একটানা ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। পারিজাতবাবু ছাতা হাতে নিয়ে ফ্ল্যাক্সে চা বিস্কুট নিয়ে এলেন। বারান্দায় বসে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে এই প্রবল ঝড় বৃষ্টি দেখার আনন্দই আলাদা। পারিজাতের কথায় জানতে পারলাম এই ঝড়বৃষ্টি শুধু ডুর্য়াসে নয়, অসমের বরাক ভ্যালির বিস্তৃীর্ণ অঞ্চলে মার্চ এপ্রিল মাসে এইরকমই ঝড়বৃষ্টি হয়। তার জন্য লামডিং করিমগঞ্জ শিলচর শাখায় প্রায়ই রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পারিজাত জানান রাতে ক্যান্টিনে যেতে হবে না ও খাবার নিয়ে আসবেন। তবে এই গভীর দুর্যোগের রাতে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করতে পারেননি। কেবল ভাত, দিশি মুরগির মাংস আর আলুভাজা সঙ্গে স্যালাড। কোনও ব্যাপার নয়, খিদের মুখে তাই যেন অমৃত! দীর্ঘক্ষণ ঝড়বৃষ্টি একনাগাড়ে চলার পর থামল যখন ঘড়ির কাঁটায় দশটা বেজে গিয়েছে। 
জঙ্গলের মাঝে এটাই গভীর রাত। ঝড়বৃষ্টির দাপট কমেছে। দূরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। অজস্র শুকনো পাতা বারান্দায় উড়ে পড়েছে। ঠান্ডা হাওয়া বইছে, রীতিমতো শীত করছে। পরের দিন সকালে আমাদের বক্সার দুর্গ দেখতে যাওয়ার কথা কিন্তু ড্রাইভার ফোন করে জানায় জঙ্গলের পথে গাছ পড়েছে তাই গাড়ি চলার পথ বন্ধ। বক্সা যাওয়া আর হল না। আরও একটা দিন কেটে যায়। শুনলাম রাজাভাতখাওয়া থেকে আলিপুরদুয়ার যাওয়ার রাস্তাতেও গাছ উপড়ে পড়েছে। সুতরাং অটো-ট্রেকার চলবে না। প্রায় বন্দিদশায় আরও দুটো দিন কেটে গেল। তবে একঘেয়েমি লাগে না। অসাধারণ প্রকৃতির মাঝে আরও দুটো দিন কেটে যায়। পরদিন জিনিস গোছানোর পালা চলে। কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস ধরবার জন্য প্রাইভেট গাড়ির কথা বলেছি। ঠিক সময়ে গাড়ি এসে যায়। রাজাভাতখাওয়া পার হয়ে জঙ্গলের মধ্যে চলতে থাকে গাড়ি।
ছবি : লেখক

07th  October, 2024
মৃত্যু কি আগাম
ইঙ্গিত দেয়?

স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন, মৃত্যু চিন্তা ভালো। কারণ এই জগৎ কতটা মিথ্যা সেটা বোঝার জন্য। তবে মৃত্যুভয় ভালো নয়। জগতের বড় বিস্ময় মৃত্যু। মৃত্যুকালে মানুষের শুদ্ধ চেতনাকে আচ্ছন্ন করে দেয় অন্ধকার। সাধক-যোগীরা সেই অন্ধকারকে কাটাতে পারেন। বীরের মতো দেহ ছেড়েছেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, রাম ঠাকুর, বালানন্দ ব্রহ্মচারি, নিগমানন্দ ঠাকুর, পরমহংস যোগানন্দ স্বামী, দুর্গাপুরী মাতাজি। মৃত্যুযোগ যাঁরা অভ্যাস করেন তাঁরাই নিজের মৃত্যুকালটি জানতে পারেন। সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন মৃত্যুকাল আসন্ন? মৃত্যুকালে মানুষের মুখ কেন খোলা থাকে? শাস্ত্রে আছে, কারও যদি মনে হয় সূর্যের তেজ কমে আসছে, তাহলে তার আয়ু বেশিদিন নেই। রয়েছে আরও কিছু পূর্ব লক্ষণ। মৃত্যুর পূর্বে মানুষ নানারকম স্বপ্ন দেখেন, কী সেই স্বপ্ন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।
বিশদ

07th  October, 2024
আত্মার উপস্থিতি কীভাবে
অনুভব করা যায়?

আত্মার অস্তিত্ব নিয়ে সারা বিশ্বজুড়ে অনেক কথা শোনা যায়। আশ্চর্যের বিষয়, মহাপুরুষ থেকে সাধারণ মানুষও আত্মার উপস্থিতি বুঝতে পারেন। আচার্য শঙ্করাচার্য থেকে শ্রীরামকৃষ্ণ, আবার রাম ঠাকুর থেকে নিগমানন্দ সরস্বতী এমনকী বিশ্বের তাবড় মনীষীরাও স্বীকার করেন আত্মার অস্তিত্ব। জীবন ফুরিয়ে গেলেই তা শেষ হয়ে যায় না। এ বিষয়ে গীতা থেকে ভারতীয় অধ্যাত্মশাস্ত্র কী বলে? প্ল্যানচেটে অাত্মা আনা সম্ভব। কলকাতায় এক সময় এটি জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু আত্মারা কখনও স্বইচ্ছায় আসেন তাঁর প্রিয়জনের কাছে! তাঁদের সুখ-দুঃখের সাথী হন। কোন পরিস্থিতিতে আত্মারা আসেন? কীভাবে বুঝবেন তাঁদের উপস্থিতি? কী সহায়তা করেন তাঁরা? লিখেছেন সোমব্রত সরকার। 
বিশদ

07th  October, 2024
অপদেবতা কি ক্ষতি করে?

অপদেবতা মানুষের ক্ষতি না উপকার করে? লিখেছেন অগ্নিশ্বর সরকার। বিশদ

07th  October, 2024
ঘরোয়া টোটকায় কী কী রোগ সারে?
শম্পা চক্রবর্তী

হাজার হাজার বছর আগে যখন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত উন্নতি ঘটেনি, মানুষজনের কাছে অ্যালোপ্যাথি বা হোমিওপ্যাথি ওষুধেরও কোনও ধারণা ছিল না। তখন থেকেই মানুষজন বিভিন্ন অসুখবিসুখের মোকাবিলায় প্রাকৃতিক বা ভেষজ চিকিৎসার ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করত। বিশদ

07th  October, 2024
রোগ নিরাময়ে টোটকা?
ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য

হাতের কাছে চট করে পাওয়া যায় এমন ভেষজ যে প্রয়োজনে ছোটখাট অসুখ সারাতে পারে তা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে হয়তো কখনও জানতেন এখন আর মনে পড়ছে না। বিশদ

07th  October, 2024
কেদারনাথ থেকে রামেশ্বরম
কেন এক সরলরেখায় ৭টি শিবলিঙ্গ?

ভারতে এমন সব মন্দির আছে যার রহস্য উদঘাটন আজও কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি। কেউ বলেন এ হল দেব-মহিমা। কারও মতে সবটাই কাকতালীয়। এমনই এক অদ্ভুত ও আকর্ষণীয় বিষয় হল শিবশক্তি রেখা। কী এই শিবশক্তি রেখা? দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় মাঝবরাবর ৭৯° দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত বিখ্যাত ৭টি শিব মন্দির। এই শিবশক্তি রেখা এক রহস্য। যার উত্তরে অবস্থিত কেদারনাথ জ্যোতির্লিঙ্গ আর দক্ষিণে রামেশ্বরম জ্যোতির্লিঙ্গ।  এই দুইয়ের মাঝে রয়েছে পাঁচটি রহস্যময় পঞ্চভূতেশ্বর শিবলিঙ্গ। কেন শিবশক্তি রেখায় অবস্থিত শৈবক্ষেত্রগুলো? বিজ্ঞান কি বলে এই শিবশক্তি রেখা নিয়ে? লিখেছেন সমুদ্র বসু।
বিশদ

07th  October, 2024
হার্ট ভালো রাখবেন কী করে?
ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস

হার্টের অসুখকে ভয় পান না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। হার্টের নানারকম অসুখ হয়। সব অসুখ নিয়ে স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব নয়। কী কী নিয়ম মেনে চললে সুস্থ থাকবে আপনার হার্ট? এই লেখায় মূলত সেই নিয়েই আলোচনা করব। তার আগে ছোট করে বলে নিই সাধারণত কোন কোন হার্টের অসুখে বেশি ভুগি আমরা।   বিশদ

07th  October, 2024
হার্ট ভালো 
রাখুন খাবারে
অরিত্র খাঁ

হার্টের শরীর ও স্বাস্থ্যের কথা যদি আমরা মেডিক্যাল ডায়েটের পরিভাষায় বলি তাহলে প্রথমেই উঠে আসবে ‘ডিসলিপিডেমিয়া’(Dyslipidemia)-এর কথা। আমাদের শরীরে লিপিড প্রোফাইল অর্থাৎ কোলেস্টেরলের মাত্রা মাঝেমধ্যে এদিক ওদিক হয়। শরীরে ভালো ও খারাপ দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। বিশদ

07th  October, 2024
ভালো রাখুন আপনার হার্ট
ডাঃ রুদ্রজিৎ পাল

কীভাবে ভালো রাখবেন হার্ট? এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কেউ বলছেন ‘সুপারফুড’ খেতে, আবার কেউ বলছেন ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করতে। এছাড়াও আছে ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিন’-এর নানা চমকদার ‘থেরাপি’। অনেকে ‘গোপন’ টোটকার কথাও বলেন। কিন্তু এর মধ্যে কোনটা কার্যকর? সত্যিই কি হার্ট ভালো রাখার জন্য বিশেষ কিছু করতে হয়? এই নিয়ে আলোচনা করা যাক। 
বিশদ

07th  October, 2024
যোগচর্চায় সুস্থ রাখুন হার্ট
আশীষ সেন

হার্টকে সুস্থ রাখতে যোগচর্চার জুড়ি নেই। ‘হৃদযন্ত্র’ শব্দটিকে বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় বুকের মধ্যস্থিত স্পন্দনশীল রক্ত সঞ্চালক শারীরিক যন্ত্র বিশেষ। শুধুমাত্র মানবজীবন নয় সমস্ত প্রাণীর ক্ষেত্রেই এই ‘শারীরিক যন্ত্র’ প্রাণকে আমৃত্যু সচল রাখে। বিশদ

07th  October, 2024
সাধারণ রোগে কী ডায়েট?

কোন সময়ে কী খাবেন জানালেন পুষ্টিবিদ ডাঃ রঞ্জিনী দত্ত।
  বিশদ

07th  October, 2024
কোন রোগে 
কী পথ্য?

সুস্থ থাকার জন্য যা খাই, তা খাদ্য। রোগীর বেলায় সেটি হয়ে যায় পথ্য। এই পথ্য তখন ওষুধের সঙ্গে মিলেমিশে রোগ সারায়। সেই পথ্যধর্মী খাবার যদি দৈনন্দিন জীবনে খাওয়া যায়, তাহলে শরীর এমনিতেই সুস্থ থাকবে। খাদ্যকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারলে রোগবালাই পালাবে। সুস্থ মানুষ রোজকার খাবারে কোন কোন পদ কতটা খাবেন? অসুস্থ ব্যক্তি কী খাবার খাবেন, সেই হিসেব কি জানেন? খাদ্য যে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে তা সবাই জানে। ঠিক মতো খাবার খেয়ে সুস্থতা বজায় রাখার উপায় বললেন ডাঃ সুবলকুমার মাইতি। 
বিশদ

07th  October, 2024
বদ্রীনাথ থেকে বসুধারা
প্রসেনজিৎ পোদ্দার

খাদের সীমানা বরাবর গাঁথা পাঁচিলের ঠিক পরেই, প্রায় হাত বাড়ানো দূরত্বে, নীচের সুগভীর গিরিখাত ধরে ছলবলিয়ে প্রবহমানা তীব্র স্রোতস্বিনী অলকানন্দা। তার স্বচ্ছ নীলাভ জলরাশি চলার পথে এখানে-ওখানে পাথরের বুকে ধাক্কা খেয়ে, সফেন ধারায় ছুটে চলেছে সুতীব্র গতিতে। বিশদ

07th  October, 2024
থর মরুভূমিতে এক রাত
ডাঃ অমিতাভ  ভট্টাচার্য

 

আকাশে তখন পূর্ণিমার চাঁদ। মাথায় টুপি আর গায়ে চাদর জড়িয়ে, তাকিয়ায় হেলান দিয়ে, হাতে গড়গড়ার নল নিয়ে চোখের সামনে যখন রাজস্থানি সুন্দরীর লোকনৃত্য দেখছিলাম। আর মাঝে মাঝে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছিলাম, তখন নিজেকে রাজাই মনে হচ্ছিল। থর মরুভূমি থুড়ি জয়সলমিরের রাজা।
বিশদ

07th  October, 2024

Pages: 12345

একনজরে
শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

ফের বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল মণিপুরে। এবারও সেই ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি জেলা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার নুংব্রাম এবং লাইরোক ভইেপেই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সিমলার কৃষ্ণনগরে একটি বাড়িতে আগুন, হতাহতের খবর নেই

08:14:00 PM

মোহালিতে নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় শুরু উদ্ধারকাজ, অকুস্থলে রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

08:13:00 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গল ০-জামশেদপুর ০ (৩৭ মিনিট)

08:08:00 PM

নিউ আলিপুরে ঝুপড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় অকুস্থলে দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন

08:07:00 PM

নিউ আলিপুরে আগুন লাগার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক যানজট, শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে

07:38:00 PM

পাঞ্জাবের মোহালিতে ভেঙে পড়ল একটি নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের একাংশ, হতাহতের খবর নেই

07:38:00 PM