বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এদিন প্রদীপবাবুর সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সহ সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল, বাঁকুড়া জেলা কৃষি আধিকারিক সুশান্ত মহাপাত্র প্রমুখ।
প্রদীপবাবু বলেন, প্রথমেই ক্ষতিগ্রস্ত জমি চাষযোগ্য করে তুলতে হবে। তার জন্য শোধন করে কিছুদিন মাটিকে বিশ্রাম দিতে হবে। এই মুহূর্তে বোরো ধান চাষ করা চলবে না। আপাতত বিশেষজ্ঞরা মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তার রিপোর্ট পাওয়ার পর চাষিদের কী করতে হবে তা সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে। তবে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ শতাংশ জমিতে সব্জি, ২০শতাংশ জমিতে তিল ও বাকি ৫৫ শতাংশ জমিতে ধান ও অন্যান্য ফসলের চাষ করতে হবে। তার জন্য বীজ, সার ও আনুষঙ্গিক সুবিধা দেওয়া হবে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার বাঁকুড়ায় ৫২হাজার হেক্টর আলুচাষ হয়েছে। তার মধ্যে বিষ্ণুপুর মহকুমায় ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে জেলায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির আলু নষ্ট হয়েছে। তার মধ্যে পাত্রসায়রেই সবচেয়ে বেশি প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির আলু নষ্ট হয়েছে। ইতিমধ্যে দপ্তরের আধিকারিকরা দফায় দফায় এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবার রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার পাত্রসায়র এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি এদিন তিনি বেলুট-রসুলপুর ও ধামসা মৌজায় যান। চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন।
পাত্রাসায়র পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নবকুমার পাল বলেন, রাজ্য সরকার চাষিদের পাশে রয়েছে। আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টাকে এলাকায় পাঠিয়েছেন। তিনি ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দেবেন। আশা করি, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মুখ্যমন্ত্রী বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেবেন।