বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিএনএ, বর্ধমান ও সংবাদদাতা, গুসকরা: গত তিনদিনের বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৪১ হাজার ২৭৫ হেক্টর আলুর জমি ক্ষতিগ্রস্ত। পাশাপাশি ২২০০ হেক্টর জমির সর্ষে, ৩৩৫০ হেক্টর জমির পেঁয়াজ, ১৩ হাজার ৯৫৬ হেক্টর জমির বোরো ধান ৩৬৫০ হেক্টর জমিতে থাকা সব্জি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবারই ক্ষয়ক্ষতির ওই রিপোর্ট কৃষি দপ্তরের জেলা উপ অধিকর্তা (প্রশাসন) জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় রাজ্য কৃষি অধিকর্তার অফিসে পাঠিয়েছেন। জেলায় মোট ৫০ হাজার ৮১১ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে। তারমধ্যে ৪১ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত। মাঠ থেকে আলু তোলার মুখে এই বিপর্যয়ে হাজার হাজার চাষি মুষড়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালপুর ব্লকে ১২ হাজার হেক্টর, মেমারি-১ ব্লকে ১০ হাজার হেক্টর, গলসি-২ ব্লকে ১২০০ হেক্টর, আউশগ্রাম-১ ব্লকে ১০০০ হেক্টর, মেমারি-২ ব্লকে ১০০০ হেক্টর, রায়না-২ ব্লকে ১০০০ হেক্টর, কালনা-১ ব্লকে ৪৮২৫ হেক্টর, কালনা-২ ব্লকে ৫২৫০ হেক্টর, পূর্বস্থলী-১ ব্লকে ১৩৮০ হেক্টর, পূর্বস্থলী-২ ব্লকে ১১২৫ হেক্টর ও মন্তেশ্বরে ১০৫০ হেক্টর আলুর জমি ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়াও কাটোয়া-১ ও ২, কেতুগ্রাম-১ ও ২, মঙ্গলকোট, বর্ধমান-১ ও ২ সহ ২১টি ব্লকে আলুচাষ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি দপ্তর রিপোর্ট পাঠিয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় শুধুমাত্র কালনা মহকুমা এলাকায় ৭৬১০ হেক্টর সর্ষে চাষ হয়েছে। ওই মহকুমার অন্তর্গত পাঁচটি ব্লকে ২২০০ হেক্টরর জমির সর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার অন্য কোথাও সর্ষেচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে কৃষি দপ্তরের অফিসারদের দাবি। কালনা-১ ব্লকে ৮০০ হেক্টর, কালনা-২ ব্লকে ১০০ হেক্টর, পূর্বস্থলী-১ ব্লকে ৮৫০ হেক্টর, পূর্বস্থলী-২ ব্লকে ২৫০ হেক্টর ও মন্তেশ্বরে ২০০ হেক্টর জমিতে থাকা সর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্ষেচাষে ক্ষয়ক্ষতির ওই রিপোর্টও রাজ্য কৃষি অধিকর্তার অফিসে পাঠানো হয়েছে।
জেলায় মোট ৩৩৫০ হেক্টর জমির পেঁয়াজচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবটাই কালনা মহকুমার অন্তর্গত পাঁচ ব্লকে হয়েছে। কালনা-১ ও ২ ব্লকে যথাক্রমে ১২০০ ও ৭০০হেক্টর, পূর্বস্থলী-১ ও ২ ব্লকে যথাক্রমে ৯৫০ ও ৩৫০হেক্টর এবং মন্তেশ্বর ব্লকে ১৫০হেক্টর পেঁয়াজচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রাজ্যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ১৩ হাজার ৯৫৬ হেক্টর জমির বোরোধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে কালনা মহকুমায় ৩৩৫০ হেক্টর ও কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত পাঁচ ব্লকে ১০ হাজার ৬০৬ হেক্টর বোরো ধান চাষের জমি রয়েছে। এছাড়াও কালনা ও কাটোয়া মহকুমা এলাকায় ৩৬৯০ হেক্টর সব্জিচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি দপ্তরের উপ অধিকর্তা (প্রশাসন) বলেন, জেলায় প্রায় ৪১ হাজার হেক্টর আলুর জমি ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়াও কিছু জায়গায় বোরো, সব্জি, সর্ষে ও পেঁয়াজ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা রাজ্য কৃষি দপ্তরে রিপোর্ট পাঠিয়েছি।
আউশগ্রাম-১ ও ২ ব্লক এলাকার পাম্পসেট চালিয়ে জলমগ্ন আলুর জমি থেকে জল বের করার চেষ্টা করছেন চাষিরা। কিন্তু, তাতে কতটা শেষরক্ষা হবে তা নিয়ে চাষিরা উদ্বিগ্ন। আউশগ্রাম-১ ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা দেবতনু মাইতি বলেন, এবার ব্লকে প্রায়১৫০০ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছিল। তারমধ্যে প্রায় ৫০০হেক্টর এলাকায় মাঠে জল জমে গিয়েছে। আউশগ্রাম-২ ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা সুমনা ঘোষ বলেন, ব্লকে প্রায় ১০০০ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালপুর ব্লকে ১২ হাজার হেক্টর, মেমারি-১ ব্লকে ১০ হাজার হেক্টর, গলসি-২ ব্লকে ১২০০ হেক্টর, আউশগ্রাম-১ ব্লকে ১০০০ হেক্টর, মেমারি-২ ব্লকে ১০০০ হেক্টর, রায়না-২ ব্লকে ১০০০ হেক্টর, কালনা-১ ব্লকে ৪৮২৫ হেক্টর, কালনা-২ ব্লকে ৫২৫০ হেক্টর, পূর্বস্থলী-১ ব্লকে ১৩৮০ হেক্টর, পূর্বস্থলী-২ ব্লকে ১১২৫ হেক্টর ও মন্তেশ্বরে ১০৫০ হেক্টর আলুর জমি ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়াও কাটোয়া-১ ও ২, কেতুগ্রাম-১ ও ২, মঙ্গলকোট, বর্ধমান-১ ও ২ সহ ২১টি ব্লকে আলুচাষ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি দপ্তর রিপোর্ট পাঠিয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় শুধুমাত্র কালনা মহকুমা এলাকায় ৭৬১০ হেক্টর সর্ষে চাষ হয়েছে। ওই মহকুমার অন্তর্গত পাঁচটি ব্লকে ২২০০ হেক্টরর জমির সর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার অন্য কোথাও সর্ষেচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে কৃষি দপ্তরের অফিসারদের দাবি। কালনা-১ ব্লকে ৮০০ হেক্টর, কালনা-২ ব্লকে ১০০ হেক্টর, পূর্বস্থলী-১ ব্লকে ৮৫০ হেক্টর, পূর্বস্থলী-২ ব্লকে ২৫০ হেক্টর ও মন্তেশ্বরে ২০০ হেক্টর জমিতে থাকা সর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্ষেচাষে ক্ষয়ক্ষতির ওই রিপোর্টও রাজ্য কৃষি অধিকর্তার অফিসে পাঠানো হয়েছে।
জেলায় মোট ৩৩৫০ হেক্টর জমির পেঁয়াজচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবটাই কালনা মহকুমার অন্তর্গত পাঁচ ব্লকে হয়েছে। কালনা-১ ও ২ ব্লকে যথাক্রমে ১২০০ ও ৭০০হেক্টর, পূর্বস্থলী-১ ও ২ ব্লকে যথাক্রমে ৯৫০ ও ৩৫০হেক্টর এবং মন্তেশ্বর ব্লকে ১৫০হেক্টর পেঁয়াজচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রাজ্যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ১৩ হাজার ৯৫৬ হেক্টর জমির বোরোধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে কালনা মহকুমায় ৩৩৫০ হেক্টর ও কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত পাঁচ ব্লকে ১০ হাজার ৬০৬ হেক্টর বোরো ধান চাষের জমি রয়েছে। এছাড়াও কালনা ও কাটোয়া মহকুমা এলাকায় ৩৬৯০ হেক্টর সব্জিচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি দপ্তরের উপ অধিকর্তা (প্রশাসন) বলেন, জেলায় প্রায় ৪১ হাজার হেক্টর আলুর জমি ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়াও কিছু জায়গায় বোরো, সব্জি, সর্ষে ও পেঁয়াজ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা রাজ্য কৃষি দপ্তরে রিপোর্ট পাঠিয়েছি।
আউশগ্রাম-১ ও ২ ব্লক এলাকার পাম্পসেট চালিয়ে জলমগ্ন আলুর জমি থেকে জল বের করার চেষ্টা করছেন চাষিরা। কিন্তু, তাতে কতটা শেষরক্ষা হবে তা নিয়ে চাষিরা উদ্বিগ্ন। আউশগ্রাম-১ ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা দেবতনু মাইতি বলেন, এবার ব্লকে প্রায়১৫০০ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছিল। তারমধ্যে প্রায় ৫০০হেক্টর এলাকায় মাঠে জল জমে গিয়েছে। আউশগ্রাম-২ ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা সুমনা ঘোষ বলেন, ব্লকে প্রায় ১০০০ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে।
