পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
সেনকো গোল্ড লিমিটেডের এমডি ও সিইও শুভঙ্কর সেনের কথায়, ‘খুব বেশি পিছনেও তাকাতে হবে না। যদি করোনার ঠিক আগের সময়কে ধরা যায়, সেই সময় সোনার দর ছিল ১০ গ্রাম পিছু ৪০ হাজার টাকার আশপাশে। এখন তা ৮০ হাজার ছুঁইছুঁই। অর্থাৎ এই চার বছরে সোনার দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে যাঁরা গয়না কিনছেন, তাঁরা এটুকু ভরসা পাচ্ছেন যে ভবিষ্যতে আরও বেশি রিটার্ন পাবেন।’ একই যুক্তি স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর দে’রও। তিনি বলেন, ‘এখন বহু ক্রেতাই পুরনো সোনার গয়না নিয়ে আসেন নতুন গয়না গড়াবেন বলে। তাঁরা দেখছেন, এককালে যা অল্প দামে কিনেছিলেন, তার মূল্য এখন অনেক। অর্থাৎ তাঁরা যে মোটা রিটার্ন পাচ্ছেন, তা বোধগম্য হচ্ছে। এই মানসিকতা তাঁদের নতুন করে সোনা কিনতে উৎসাহিত করছে।’ বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দারের দাবি, যাঁদের বাজেট কম, তাঁরা ঝুঁকছেন হাল্কা সোনার দিকে। কম ক্যারেটের চাহিদা তাই বেশি।
দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও সোনার বাজার যে বাড়ছে, তা বলছে আন্তর্জাতিক ধাতু রিসার্চ সংস্থা মেটাল ফোকাস। তাদের বক্তব্য, বড় শহরগুলিতে সোনার বাজার স্থিতিশীল। অর্থাৎ, সেখানে আচমকা দারুণ বিক্রিবাটা না হলেও, বাজার নীচে নামবে না। আবার গ্রামীণ বড় জুয়েলার সংস্থাগুলি তুলনামূলক ছোট শহরে নতুন শোরুম খুলছে। চলতি শোরুমগুলিকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে আসার প্রবণতাও বাড়ছে। রিসার্চ সংস্থাটির দাবি, চলতি আর্থিক বছর, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালে অন্তত ১০ শতাংশ শোরুম বাড়বে ছোট শহরগুলিতে। ওজনের নিরিখে সোনা বিক্রি বাড়বে গড়ে ১৩ শতাংশ। বিক্রিবাটায় সদর্থক ভূমিকা নেবে রিটেল চেন সংস্থাগুলি। ২০১৫ সালে ওই সংস্থাগুলি খুচরো সোনা বাজারের ৩০ শতাংশ দখল করে রেখেছিল। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ৪০ শতাংশে পৌঁছে যায়। রিসার্চ মেটাল ফোকাসের আশা, চলতি আর্থিক বছর শেষে সার্বিকভাবে স্বর্ণবিপণিগুলিতে বিক্রির হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে।