পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম প্রধান কর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, মাস দুয়েক আগে যেখানে ময়দার দাম ছিল কুইন্টাল পিছু তিন হাজার টাকা, তা এখন বেড়ে চার হাজার টাকায় পৌঁছেছে। ভোজ্য তেল ও বনস্পতির দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিনির দাম বেড়েছে কুইন্টাল প্রতি ৪০০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে ন্যায্যমূল্যে পাউরুটি বিক্রি করা এখন কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আরিফুল ইসলামের কথায়, আমরা জানি, দাম তখনই বাড়ে, যখন কাঁচামালের জোগানের অভাব হয়। কিন্তু একটু খোঁজ করলেই দেখা যাবে, জোগানের কোনও ঘাটতি নেই এবছর। বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হওয়ার পর সেখানে গম, চাল, ডাল, চিনি প্রভৃতি সরাসরি পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ফলে দেশে সেসব পণ্যের জোগান এমনিতেই বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বড় বড় সংস্থাগুলিকে অবাধে পণ্য মজুতের ছাড়পত্র দেওয়ায় সঙ্কট তৈরি হয়েছে খোলা বাজারে। এদেশে ভোজ্য তেল আসে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে। আমাদের দেশে ভোজ্য তেলের যা চাহিদা, তাতে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আমদানি করতেই হয়। ভারত সরকার ভোজ্য তেলের উপর চড়া শুল্ক বসিয়ে আমদানি আটকানোর চেষ্টা করছে। এ থেকেই স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। অন্যান্য শিল্পের সঙ্গেই তার খেসারত দিতে হচ্ছে ছোট বেকারি শিল্পকে। বেকারি শিল্পের কর্তাদের বক্তব্য, অধিকাংশ খাদ্যপণ্যের উপরে ১৮ শতাংশ জিএসটি আরোপ করে এমনিতেই সঙ্কট তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার সঙ্গে কাঁচামালের ইচ্ছাকৃত সঙ্কট তৈরি করে পরিস্থিতি আরও জটিল করা হয়েছে। সারা বছর মূলত পাউরুটির ব্যবসা চালু থাকলেও, শীতকাল ও বড়দিনকে কেন্দ্র করে কেকের চাহিদা অনেকটা বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত বেকারি শিল্পের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, পণ্যের দাম বাড়লে, বাজার মন্দা যাবে। তাতে সব দিক থেকেই ক্ষতি।