কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
বেতন বৃদ্ধি না-হওয়া এবং কর্মস্থলে শ্রমিক কমিয়ে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানোর প্রতিবাদে ইস্ট কোস্ট এবং গাল্ফ কোস্ট ডাককর্মীরা কয়েকদিন ধরে ৩৬টি বন্দরে ধর্মঘটে গিয়েছেন।
শিল্পমহলের বক্তব্য, এমনিতেই বিশ্ব অর্থনীতি তেমন চাঙ্গা নয়। ভূ-রাজনৈতিক কারণে মার খাচ্ছে বেশিরভাগ দেশের ব্যবসা। এদিকে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতের বৃহত্তম ব্যবসায়িক পার্টনার যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এই ধর্মঘট ভারতের উপর জোরালো প্রভাব ফেলবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বণিকসভা সিআইআইয়ের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, যেসব বন্দরে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে, সেগুলি দিয়েই আমাদের ৫৫ শতাংশ পণ্য যাতায়াত করে। এর মধ্যে রয়েছে মেরিন থেকে টেক্সাস পর্যন্ত ১৪টি অতি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এখানে রপ্তানির পণ্য খালাস না-হওয়া বা সেখানে জাহাজ পৌঁছতে না-পারার অর্থ, রপ্তানির সময়সীমা লঙ্ঘন করা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য পাঠানো রপ্তানির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। এর ফলে যেমন পেনাল্টি বা জরিমানা গুনতে হবে, তেমনই যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারী সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কও নষ্ট হবে। এর নেতিবাচক ফল হবে সুদূরপ্রসারী।
অন্যদিকে, ঘুরপথে পশ্চিমের বন্দরগুলি দিয়ে পণ্য পাঠালেও সমুদ্রপথে যানজট হবে এবং বাড়বে পণ্য পরিবহণের খরচও। এছাড়া ভারতীয় উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি যথাসময়ে এখানে কাঁচামাল না-পেলে ব্যাহত হবে উৎপাদন। তাতে সামগ্রিকভাবে খরচ বাড়বে। ভারতে নতুন করে মাথাচাড়া দেবে মুদ্রাস্ফীতি। দাবি সঞ্জয়বাবুর। তিনি বলেন, শুধু আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কই খারাপ হতে যাচ্ছে না, সামগ্রিকভাবে টালমাটাল হতে চলেছে বিশ্ববাজার। এই মারাত্মক সমস্যার আশু সমাধান না-হলে এই ক্ষতি সামাল দেওয়া মুশকিলই হতে পারে, দাবি তাঁর।