হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
জেমি ম্যাকলারেন আসল জেম। এই মুহূর্তে তাঁর নামের পাশে ১০ টি লক্ষ্যভেদ। নেহাত ইঞ্জিন গরম হতে একটু দেরি হয়েছে। না হলে ম্যাকা সত্যিই বড় স্ট্রাইকার। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাজিক গোলের পর হাওয়ায় উড়ছেন। অজি বিশ্বকাপারের মন্তব্য, ‘কেরিয়ারের সেরা দশের মধ্যেই রাখব ওই গোলকে। তবে ডার্বিতে জাল কাঁপিয়েও বাড়তি আনন্দ পেয়েছি। সবুজ-মেরুন জার্সিতে মাঠে নামা সত্যিই গর্বের।’ এদিন ম্যাকলারেন ও মোলিনার হাত দিয়ে যুব দলের দুই উদীয়মান ফুটবলারের হাতে বুট তুলে দিল সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট। প্রেম হাঁসদা, রাজদীপ পালের চোখ উৎসাহে চকচকে। জুনিয়রদের জন্য ম্যাকার বার্তা, ‘প্র্যাকটিসে ফাঁকি দিও না। বাড়তি পরিশ্রমই সাফল্য এনে দেয়।’ বিশ্বকাপারের টিপস মনে রাখা উচিত রাজদীপদের।
উৎসবের আবহেও মোহন বাগান কোচ বেশ সাবধানী। কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার ভরসার হাত তাঁর পিঠে। এর আগে মোলিনার কোচিংয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হন হিউমরা। কিন্তু মুঠো মুঠো আবেগের বিস্ফোরণ সেবার ছিল না। স্প্যানিশ কোচ ঠান্ডা গলায় বললেন, ‘জিততে হবে। তিন পয়েন্ট প্রয়োজন। ওড়িশা কিন্তু বেশ শক্তিশালী।’ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের পরিবর্তে পালতোলা নৌকোর দায়িত্ব নেন মোলিনা। ম্যান ম্যানেজমেন্টে লেটার মার্কস পাবেন। তারকাখচিত দল সামলানো মোটেও সহজ নয়। কোন স্ট্র্যাটেজিতে ম্যাচ জেতার অঙ্ক কষছেন মোলিনা? এদিন প্র্যাকটিসে রাইট উইং ব্যাকে দীপ্যেন্দুর পরিবর্তে আশিস রাইকে অনুশীলন করানো হয়। মাঝমাঠে কামিংস না স্টুয়ার্ট? কিছুটা হলেও পাল্লা ভারী স্কটিশ মিডিওর দিকে।
এদিকে, মেগা ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা খেল ওড়িশা। বিনা মেঘে বাজ পড়ার মতো হঠাৎই দল ছাড়লেন আহমেদ জাহু। তীব্র জটিলতা অব্যাহত। ২১ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে লোবেরা ব্রিগেড। মহানদীর পাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজির উপর রোলার চালাতে তৈরি মোহন বাগান।
যুবভারতীতে ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটে। সরাসরি সম্প্রচার স্পোর্টস ১৮ ও স্টার স্পোর্টসে।