দুবাই: রানে ফিরতে মরিয়া বিরাট কোহলি। আর সেটা তাঁর কেরিয়ারের পক্ষে ভীষণই জরুরি। শেষ আন্তর্জাতিক শতরান পারথে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম ম্যাচে। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলি দিন। টেস্ট ফরম্যাটে ক্রমাগত পতন ঘটেছে তাঁর পারফরম্যান্স গ্রাফ। অনেকে আশা করেছিলেন, ওয়ান ডে ফরম্যাটে স্বমহিমায় ফিরবেন ভিকে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে একদিনের সিরিজের শেষ ম্যাচে কোনওক্রমে একটা হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া পাতে দেওয়ার মতো কিছু নেই। বরং বার বার স্পিনের বিরুদ্ধে তাঁর আত্মসমর্পণ চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতীয় শিবিরে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যর্থ তিনি। শুরুটা ভালো করেও আউট হয়েছিলেন ২২ রানে। এক্ষেত্রে স্পিন বুঝতে তাঁর অসুবিধা হয়েছিল। সামনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রবিবারের মহারণ। এই ম্যাচ শুধু দলের নয়, কোহলির কেরিয়ারের ক্ষেত্রেও অ্যাসিড টেস্ট। ব্যর্থ হলে তীব্র হবে সমালোচনা। ভবিষ্যৎ ঢাকা পড়বে অনিশ্চিয়তার কালো মেঘে। তাই সতর্ক ভিকে। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করতে নারাজ তিনি। ভুল শুধরে রানে ফিরতে তিনি কতটা উদগ্রীব, সেটা বোঝা গেল দেড় ঘণ্টা আগে তাঁর অনুশীলনে নেমে পড়ার দৃশ্যে। আগের রাতেই টিম ইন্ডিয়ার মিডিয়া ম্যানেজার জানিয়ে রেখেছিলেন স্থানীয় সময় দুপুর একটায় রোহিত শর্মা-শুভমান গিলদের অনুশীলন শুরু হবে। সেই মতো মাঠ কর্মীরা প্রস্তুতি সারছিলেন। আচমকাই সাড়ে এগারটার সময় বিরাট কোহলিকে মাঠে ঢুকতে দেখে হতবাক সকলেই। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক, থ্রোডাউন স্পেশালিস্ট নুয়ান সেনাবীরত্নে এবং ডি রাঘবেন্দ্র। কয়েকজন স্থানীয় ক্রিকেটারও যোগ দিয়েছিলেন কোহলির মহড়ায়। স্পেশাল প্র্যাকটিসে বেশ চনমনে লেগেছে তাঁকে। স্পিনারদের বিরুদ্ধে বেশি সময় ব্যয় করেন তিনি। মহাতারকার এককাট্টা প্রয়াসের মুহূর্তগুলি ভেসে ওঠে সম্প্রচারকারী চ্যানেলের পর্দায়।
এই বয়সেও কোহলির খিদে দেখে বিস্মিত সঞ্জয় মঞ্জেরেকর। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও খুশি। তিনি বলেছেন, ‘একটা, দুটো ইনিংস খারাপ যেতেই পারে। মনে রাখতে হবে কোহলি ম্যাচ উইনার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ও ভালো খেলবে বলেই আমার বিশ্বাস। টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা রইল।’ তবে অনুশীলনের মাঝপথে কোহলিকে বাঁ পায়ে আইস প্যাক বাঁধা দেখে আতঙ্ক ছাড়ায় ভক্তদের মধ্যে। তিনি নাকি বলের আঘাত পেয়েছেন। তবে সেটা গুরুতর নয়, এমনটাই জানা গিয়েছে শিবির থেকে।