মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
মঙ্গলবার ম্যাচের আগে টিম লিস্ট দেখে অনেকেই অবাক। লিস্টন, মনবীর, ম্যাকলারেন ও কামিংসকে প্রথম দলে রাখেননি মোহন বাগান কোচ। আসলে আত্মবিশ্বাস ও আত্মতুষ্টির মধ্যে সূক্ষ্ম ফারাক তিনি বোঝেননি। এদিন তারই মাশুল দিল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবটি। মোলিনার ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে অনেক চমক। ব্যাক ফোরের ঠিক উপরে আপুইয়ার সঙ্গী দীপক টাংরি। মাঝমাঠে স্টুয়ার্ট, দিমিত্রি আর অভিষেক সূর্যবংশীকে খেলান স্প্যানিশ কোচ। চেন্নাইয়ান দুর্গে ফাটল ধরাতে সিঙ্গল স্ট্রাইকার সুহেল ভাটের উপর ভরসা রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু বেঞ্চে বসে বসে সুহেল, অভিষেকের মরচে পড়ার দশা। তার উপর জোনাল মার্কিংয়ের জাঁতাকলে ছটফট করলেন স্টুয়ার্ট। সেভাবে বল সাপ্লাই না হওয়ায় দানা বাধেনি খেলা। উইংয়ে মনবীর আর লিস্টনের অভাবও বারবার বোঝা গেল। এরই মধ্যে ১৫ মিনিটে টাংরির দূরপাল্লার শট জমা পড়ে বিপক্ষ গোলকিপারের হাতে। এর দশ মিনিট পর চমৎকার আক্রমণ গড়ে তুলেছিলেন স্টুয়ার্ট। এক্ষেত্রে ফাঁকায় দাঁড়ানো স্কটিশ ফুটবলারকে মাইনাস না করে বল বাইরে মারেন আশিস রাই। গোল করার সুযোগ পেয়েছিল চেন্নাইয়ানও। ২১ মিনিটে শুভাশিসের ভুলে বল ছিনিয়ে নেন কিয়ান। অরক্ষিত উইলিয়াম জর্ডনের শট শরীর ছুড়ে বাঁচালেন টম আলড্রেড। বিরতির আগে কোনর শিল্ডের ক্রস ডানপায়ে রিসিভ করে চকিত টার্ন নেন উইলিয়াম জর্ডন। এক্ষেত্রে তাঁর শট পোস্টে প্রতিহত হয়। বড় চেহারা কাজে লাগিয়ে মোহন বাগান রক্ষণকে ব্যস্ত রাখলেন তিনি।
বেগতিক বুঝে দ্বিতীয়ার্ধে টনক নড়ে মোলিনার। একে একে লিস্টন, মনবীর, সাহালদের মাঠে নামান তিনি। ততক্ষণে অনেক গুছিয়ে নিয়েছেন প্রীতমরা। একবারও কঠিন বল ধরতে হয়নি নওয়াজকে। অন্তিম লগ্নে সুপার-সাব কামিংসকে নামানোর যৌক্তিকতা কোথায়? রোজ রোজ ম্যাজিক হয় না। পেত্রাতোসেরও বোঝা উচিত, দু’বছর খেলেই ব্যারেটো হওয়া যায় না।
মোহন বাগান: বিশাল, আশিস, আলবার্তো, আলড্রেড, শুভাশিস, আপুইয়া, টাংরি (মনবীর), অভিষেক (সাহাল), স্টুয়ার্ট (কামিংস), পেত্রাতোস (ম্যাকলারেন) ও সুহেল (লিস্টন)।
চেন্নাইয়ান-০ : মোহন বাগান- ০