বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
পারথ টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসের সেঞ্চুরি বাদ দিলে বাকি ছয় ইনিংসে তাঁর মোট সংগ্রহ মাত্র ৬৭। তার চেয়েও তাৎপর্যের হল, যে ছয়বার আউট হয়েছেন, তার প্রতিটাই ঘটেছে অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, স্কট বোল্যান্ডরা কভার ড্রাইভের লোভ দেখিয়ে ফাঁদ পাতছেন প্রত্যেক টেস্টে। আর জেনেশুনে বিষপানের মতো তাতে পা দিচ্ছেন কোহলি। টেস্টে ন’হাজারের বেশি রানের মালিকের থেকে যা একেবারেই প্রত্যাশিত নয়। যদি একই ভুল তিনি বারবার করতে থাকেন, দুর্বলতা শুধরে নিতে ব্যর্থ হন, তবে আর কেন তাঁকে ‘গ্রেট’ বলা হবে? কেনই বা চিহ্নিত হবেন ‘ফ্যাব ফোর’ হিসেবে?
পরিসংখ্যান অনুসারে ২০২০ সাল থেকে টেস্টে বিরাটকে সেরা ছন্দে পাওয়া যায়নি। করোনার ফলে সেই বছর টেস্ট মাত্র ৬টি টেস্ট খেলার সুযোগ ঘটেছিল। সেই থেকেই ছন্দপতন। তখন থেকে মোট ৩৭ টেস্টের ৬৪ ইনিংসে কোহলির রানসংখ্যা ১৯৬৪। গড় মোটে ৩১.৬৭। এই কয়েক বছরে টেস্টে শতরানের সংখ্যা তিনটি। তার মধ্যে একটাও দ্বিশতরান নেই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রে ১২ ম্যাচের ২১ ইনিংসে ৩৬.১৫ গড়ে কোহলির সংগ্রহ ৬৮৭ রান। আর ২০২৪ সাল তো টেস্ট কেরিয়ারে তাঁর দ্বিতীয় জঘন্যতম। ২০২০ সালে ১৯.৩ গড়ের পর এবারের মতো (২৪.৫) দশা কখনও হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট মহলে রোহিত শর্মার সঙ্গে বিরাটের অবসর নিয়েও চর্চা তুঙ্গে। দুই সিনিয়রই ক্রমাগত ব্যর্থতা সত্ত্বেও জায়গা আটকে রেখেছেন, বলছেন অনেকে। আবার রবি শাস্ত্রী, সঞ্জয় মঞ্জরেকরের মতো প্রাক্তনরা টেস্টে রোহিত, বিরাটকে এক বন্ধনীতে রাখতে নারাজ। তাঁদের মতে, আরও কয়েক বছর টেস্টে খেলার ক্ষমতা ধরেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তার জন্য ৩৬ বছর বয়সিকে অফস্টাম্প করিডোরে খোঁচা দেওয়ার প্রবণতা অবিলম্বে ছেঁটে ফেলতে হবে। সেই সংযম ও মনের জোর কিন্তু এই সিরিজে এথনও পর্যন্ত অদৃশ্যই দেখাচ্ছে। অন্ধকার কাটিয়ে আলোয় ফেরার পথ কিন্তু সহজ নয়।