বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
১৫৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারতীয় ইনিংসে দুই অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন মাত্র দু’জন— যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋষভ পন্থ। বাকিরা কেউ দশের গণ্ডি পেরোননি। এমন নির্লজ্জ আত্মসমর্পণ দেখে ভয় হয়, ভারতীয় ক্রিকেটের পিছনে হাঁটা শুরু হল না তো! দেশে-বিদেশে মিলিয়ে শেষ সাত টেস্টে এটি পঞ্চম হার রোহিত ব্রিগেডের। একমাত্র জয়টি এসেছিল বুমরাহর নেতৃত্বে পারথ টেস্টে। অন্য ম্যাচটি ড্র হয় ব্রিসবেনে বৃষ্টির বদান্যতায়। পারফরম্যান্সের আচমকা পাতাল প্রবেশের জেরে কার্যত শেষ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার আশা। অথচ প্রাথমিক ধাক্কা সামলে যশস্বী-ঋষভ যখন দ্বিতীয় সেশন কাটিয়ে দিয়েছিলেন, মনে হচ্ছিল ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। চতুর্থ উইকেটে দু’জনে ৩২ ওভার খেলে ৮৮ রান যোগ করেন। কিন্তু তারপরই পন্থের হারাকিরি। যথারীতি স্বভাবসিদ্ধ ‘স্টুপিড’ স্টাইলে পার্ট-টাইম বোলারকে উইকেট উপহার দিলেন আইপিএল নিলামে সর্বোচ্চ দরের রেকর্ড গড়া কিপার ব্যাটসম্যান। আর সেঞ্চুরির অদূরে যশস্বীকে ফিরতে হল তৃতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে। এরপর তাসের ঘরের মতো ধসে যায় দ্বিতীয় ইনিংস।
অন্তিম সেশনেই পড়ে শেষ সাতটি উইকেট, তাও আবার মাত্র ৩৪ রানে। ডনের দেশে টানা তৃতীয়বার টেস্ট সিরিজ জেতার স্বপ্নও চুরমার। প্যাট কামিন্স বাহিনী ২-১ এগিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি ধরে রাখতে হলে সিডনিতে শেষ টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করতে হবে ভারতকে। কিন্তু এভাবে দুরমুশ হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন। তার উপর দু’জন ডামি ক্রিকেটার নিয়ে খেলতে হচ্ছে ম্যাচের পর ম্যাচ। রোহিত ও বিরাট তো স্রেফ আয়ারাম-গয়ারাম। টেকনিক ভুলে যাওয়ার পাশাপাশি উভয়কেই বিপর্যস্ত দেখাচ্ছে মানসিকভাবে। নাহলে কামিন্সকে দেখলেই কেন বারবার কেঁপে গিয়ে উইকেট জমা দিচ্ছেন হিটম্যান? আর তাঁর সিনিয়র পার্টনার কোহলি অফস্টাম্পের বাইরের বল দেখলেই আকর্ষিত হচ্ছেন চুম্বকের মতো! এমন জোড়া বোঝা নিয়ে সিরিজ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখাই বিলাসিতা।
পঞ্চমদিন সকালে যশপ্রীত বুমরাহ বেশি সময় নেননি অজি ইনিংসে দাঁড়ি ফেলতে। আরও একবার পাঁচ উইকেট হল তাঁর। চলতি সিরিজে বুমবুমের নামের পাশে এখন ৩০টি উইকেট। মজার ব্যাপার হল, এই সিরিজে রোহিতের মোট সংগ্রহ ৩১ রান! এমন টলমল করতে থাকা নেতা নিয়ে যুদ্ধ জেতা অসম্ভব।
ব্যাটিংয়ের স্ট্র্যাটেজিতেও ফুটে উঠেছে গলদ। ম্যাচ ড্র করার তাগিদে ইনিংসের শুরু থেকে খোলসে ঢুকে পড়েন ভারতীয় ব্যাটাররা। আর তাতেই মাথায় চেপে বসে কামিন্স-বোল্যান্ড জুটি। যশস্বী ৮৪ রান করলেন ২০৮ বল খেলে। আর ১০৪ বলে পন্থের অবদান ৩০। নেতা রোহিতই ট্রেন্ডটা সেট করে দিয়েছিলেন ৪০ বলে মাত্র ৯ রান করে। এটা ঠিক যে, ৯২ ওভারে ৩৪০, টার্গেট হিসেবে রীতিমতো কঠিন। তাই বলে মারার বলকেও এমন সমীহ! ব্যর্থতার কানাগলিতে আটকা পড়া অধিনায়কের মতোই দিশাহীন দেখাচ্ছে কোচ গৌতম গম্ভীরের রণনীতিকে।