চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
পাঞ্জাব এফসি ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশনে এদিন দু’টি বদল আনেন অস্কার। ডেভিড আর নাওরেম মহেশের পরিবর্তে যথাক্রমে দিয়ামানতাকোস আর বিষ্ণুকে প্রথম একাদশে খেলালেন লাল-হলুদ কোচ। কেরালাইট বিষ্ণু এই দলের ট্রাম্প কার্ড। মূলত বাঁ প্রান্ত থেকেই চাপ বাড়ালো অস্কার ব্রিগেড। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে বিষ্ণুর বিপজ্জনক মাইনাস পা ঠেকাতে পারেননি কেউই। তিন মিনিট পরেই বাঁপায়ে কামান দাগেন আনোয়ার। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট পোস্টে প্রতিহত হয়। উল্টোদিকে প্রতি-আক্রমণে সহজ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন সিভেরিও তোরো। জামশেদপুরের এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের ভলি সাইড নেটে আছড়ে পড়ে। এরপর চোট পেয়ে রাকিপ বেরিয়ে যেতেই স্ট্র্যাটেজিতে বদল আনলেন অস্কার। এক্ষেত্রে আনোয়ারকে রাইট উইং ব্যাকে পাঠিয়ে মাঝমাঠে জিকসনকে নামান স্প্যানিশ হেডস্যার। ৩৬ মিনিটে নন্দকুমার সহজতম সুযোগ হেলায় না হারালে লিড পেতে পারতো মশাল বাহিনী। আনোয়ারের লং বল রিসিভ করে সাজিয়ে দেন ক্লেটন। সামনে ফাঁকা গোল। সবাইকে অবাক করে নন্দর দুর্বল শট প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের হাতে জমা পড়ে। রিপ্লে দেখলে নিজেই লজ্জা পাবেন তিনি। স্লো মোশন ফুটবল গোটা দলের ছন্দ নষ্ট করছে। নন্দকুমার এখন নিরানন্দের কারণ। বিরতির আগে ইস্ট বেঙ্গলের চাপে দিশাহারা খালিদের রক্ষণ। কিন্তু লক্ষ্যভেদ অধরাই রইল। গোল ছাড়া ফুটবল যেন নুনহীন তরকারি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও গোল নষ্টের প্রদর্শনী। দিয়ামানতাকোসের মিস দেখে ডাগ-আউটে মাথায় হাত দিলেন অস্কার। এর মধ্যেই ৫৯ মিনিটে বহু কাঙ্ক্ষিত লিড পায় ইস্ট বেঙ্গল। এক্ষেত্রে ক্লেটনের পাস ধরে মাইনাস করেন নন্দ। গড়ানো পাসে বিষ্ণু পা ঠেকাতে না পারলেও ছোট্ট পুশে জাল কাঁপান দিয়ামানতাকোস (১-০)। ৬৮ মিনিটে বিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে টলিয়ে জামশেদপুর বক্সে নেওয়া বিষ্ণুর শট ক্রসবারে লাগে। কেরালাইট ফুটবলার আনকাট হিরে। টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত যত্ন করে মুড়ে রাখা। আলাদা করে বলতেই হয় ক্লেটন সিলভার কথা। মাঝমাঠ থেকে বল সাপ্লাইয়ের মূল দায়িত্ব এদিন নিজের কাঁধে তুলে নিলেন তিনি। অস্কার জমানায় অভিজ্ঞ ক্লেটন নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন। শেষ লগ্নে মাথা গরম করে হলুদ কার্ড দেখেন হেক্টর। হায়দরাবাদ ম্যাচে নেই তিনি।
ইস্ট বেঙ্গল: গিল, রাকিপ (জিকসন), হেক্টর, হিজাজি, লালচুংনুঙ্গা, আনোয়ার, শৌভিক, ক্লেটন, নন্দ (মহেশ), বিষ্ণু, দিয়ামানতাকোস এবং (ডেভিড)।
(দিয়ামানতাকোস)