যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে রবিবার প্রস্তুতি ম্যাচে পিঙ্ক বলে এক উইকেট নেন তিনি। এর আগে গোলাপি বলে কোনও ম্যাচ খেলেননি ৩০ বছর বয়সি। এই ম্যাচ তাই হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ। সিরাজ বলেছেন, ‘গোলাপি বলের সিন্থেটিক অনুভূতি রয়েছে। লাল বলের তুলনায় যা অনেকটাই আলাদা। এর সিম খুব শক্ত। রীতিমতো উজ্জ্বলও। তাই এই বল ধাঁধায় ফেলতে পারে। মানিয়ে নেওয়ার জন্য অনুশীলনে সময় দেওয়া জরুরি। একটা ম্যাচই যথেষ্ট নয়। অনুশীলনের মাধ্যমেই এই বলের সঙ্গে ধাতস্থ হয়ে উঠব। মনে হল, ব্যাক অব দ্য লেংথ বল করাই সুবিধাজনক। কারণ সামনে বল করলেও খুব একটা সুইং হচ্ছে না। তাই হিট দ্য ডেক বল করে সিম মুভমেন্টে ভরসা রাখা যায়।’ গোধূলিতে গোলাপি বল বেশি সুইং করে বলে শুনেছেন সিরাজ। কিন্তু ফ্লাডলাইটের আলোয় তিনি বল করেননি রবিবার। তাঁর কথায়, ‘সন্ধ্যায় গোলাপি বলে হাত ঘোরানোর অভিজ্ঞতা নেই। অ্যাডিলেডে অবশ্য সেভাবে প্র্যাকটিস করব।’
ছন্দে ফেরার জন্য সতীর্থ যশপ্রীত বুমরাহ, টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন বোলিং কোচ ভরত অরুণের কাছে কৃতজ্ঞ তিনি। বুমরাহ তাঁকে নির্দিষ্ট লাইনে ধারাবাহিকভাবে বল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। উপভোগ করতেও বলেছেন বোলিং। সেভাবেই এসেছে উইকেট। ভরত অরুণের টিপস, ‘উইকেটের পিছনে দৌড়ে লাভ নেই, তুমি শুধু বোলিংয়ের আনন্দটা পুরোদমে নাও।’ ভারতীয় দলের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের কাছে সিরাজ আবার ‘যোদ্ধা’। উইকেট ঠিকই আসবে, ক্রমাগত বলে গিয়েছেন প্রোটিয়া কোচ। পারথের সাফল্য তাই স্বস্তি জোগাচ্ছে সিরাজকে।