যে কোনও কাজকর্মে সকালের দিকে বিশেষ উন্নতির যোগ। বিকেলের দিকে অবশ্য কিছু বাধা আসতে পারে। ... বিশদ
এদিনের ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। সদ্য দ্বিতীয়বার পিতা হয়েছেন তিনি। সেজন্য ছুটি নেওয়ায় পারথ টেস্টে খেলেননি। তাই অ্যাডিলেড টেস্টের আগে রোহিতের ফর্ম পরখ করে নিতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই লক্ষ্যে প্রাপ্তি শুধুই হতাশা। চার নম্বরে নেমে ৩ রানে আউট হন হিটম্যান। তাতে অবশ্য টিম ইন্ডিয়ার জয় আটকায়নি। যশস্বী জয়সওয়াল (৪৫), লোকেশ রাহুল (২৭), তিন নম্বরে নেমে শুভমান গিল (৫০), মিডল অর্ডারে নীতীশ রেড্ডি (৪২), ওয়াশিংটন সুন্দর (অপরাজিত ৪২) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (২৭) রান পান। রাহুল ও গিল উঠে আসেন পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। তবে রোহিতের মতোই হতাশ করলেন সরফরাজ খান (১)। ৪৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় ভারত। তবে জয়ের পরও ৪৬ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেন সুন্দররা। ম্যাচ শেষে ট্রফি তুলে দেওয়া হয় রোহিতের হাতে।
পরের টেস্টে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার কেমন হতে পারে, এই ম্যাচ থেকে তার কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া গেল। পারথ টেস্টের মতো রবিবারও যশস্বীর সঙ্গে রাহুল ওপেন করলেন। পারথে দ্বিতীয় ইনিংসে জমকালো ইনিংস খেলেছিলেন যশস্বী। বড় রান পেয়েছিলেন লোকেশও। দেখে মনে হচ্ছে, কোচ গৌতম গম্ভীর তাঁদের উপর ভরসা রাখছেন। রোহিতের কামব্যাকে এই জুটির ভবিষ্যৎ যদিও প্রশ্নের মুখে। তবে রোহিত প্র্যাকটিস ম্যাচে নামেন চার নম্বরে। তিনে আসেন শুভমান গিল। কিন্তু কোহলি না থাকায় রোহিত চারে খেলার সুযোগ পেলেও দ্বিতীয় টেস্টে ছবিটা এরকম নাও হতে পারে। লোকেশ যদি ওপেনার হিসেবেই খেলেন, তাহলে তিনে রোহিত, চারে কোহলি ও তারপর গিলকে পাঠানো হতে পারে। এই ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটতে সময় লাগবে। হয়তো ম্যাচের দিন টসের পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে গিলের ফিট হয়ে ওঠা এবং রোহিতের কামব্যাক ভারতীয় শিবিরের মনোবল বাড়িয়েছে।