পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
প্রশ্ন: আপনি তো সুযোগ পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। এটা কী শুধুই ফুটবল থেকে একঘেঁয়েমি কাটাতে?
কামিংস: আমি ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। তাই দু’দিনের ব্রেক পেলেও বান্ধবীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। বলতে পারেন, মানসিকভাবে এটা অনেকটাই তরতাজা থাকতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: ভারতে প্রায় দু’বছর কাটিয়ে ফেললেন। শুরুর দিকে দিনগুলি কতটা কঠিন ছিল?
কামিংস: আমি একাধিক দেশে খেলেছি। তাই নতুন পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। ভারতে শুরুর দিনগুলি সহজ ছিল না। তবে সতীর্থরা খুবই সাহায্য করেছে। কখনও মনে হয়নি, নিজের দেশ থেকে দূরে রয়েছি।
প্রশ্ন: স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার ক্লাবে খেলে মোহন বাগানে যোগ দেন আপনি। এই দু’বছরে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ণ কী?
কামিংস: (একটু ভেবে) সত্যি বলতে, ফুটবলের প্রতি এখানকার মানুষের আবেগ সিম্পলি ভাবা যায় না। বিশ্বের অন্য কোনও লিগে এতটা উন্মাদনা চোখে পড়েনি। তবে হ্যাঁ, ফুটবলের নিরিখে অনেক পার্থক্য রয়েছে। গতি, স্কিল, স্টাইল সবকিছুই আলাদা। আর অবশ্যই রেফারিং।
প্রশ্ন: গত ম্যাচ জিতে আপনারা লিগ শীর্ষে উঠে এসেছেন। এখনও কোন কোন জায়গায় দলের উন্নতির প্রয়োজন?
কামিংস: উন্নতির কোনও মাপকাঠি হয় না। প্রতিদিনই নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। মনে রাখতে হবে, শীর্ষে পৌঁছনো সহজ। ধরে রাখা কঠিন। ফলে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। আগামী দিনে এভাবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন: মনবীর আর লিস্টনের পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলবেন?
কামিংস: ওরা দলের অন্যতম দুই স্তম্ভ। গোল করছে, গোলের জন্য বল বাড়াচ্ছে। এই মুহূর্তে ওরা ভারতের অন্যতম দুই সেরা উইঙ্গার।
প্রশ্ন: আর বিশাল কাইথ?
কামিংস: কেরিয়ারে অনেক গোলরক্ষকের সঙ্গে ও বিরুদ্ধে খেলেছি। তবে বিশাল সেই তালিকায় অনেকটাই উপরে থাকবে।
প্রশ্ন: এবার কোচ আপনাকে পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করছেন। এটা কি কোনওভাবে পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে?
কামিংস: আমার কাছে এসব গুরুত্বহীন। অবশ্য প্রত্যেক ফুটবলারের লক্ষ্য মাঠে নেমে সেরাটা উজাড় করে দেওয়া। তবে আমার জায়গায় যদি ম্যাকলারেন বা দিমি গোল করে দলকে জেতায়, তাহলে আমিই সবচেয়ে বেশি খুশি হবো। দলের স্বার্থে পরিবর্ত হিসেবে খেলতেও অসুবিধা নেই।
প্রশ্ন: মোহন বাগান ছাড়া এবারের লিগে কোন কোন দলকে খেতাবি দৌড়ে দেখছেন?
কামিংস: সতি বলতে, গতবার কয়েকটি দলের মধ্যেই লড়াই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এবার লড়াইটা আরও কঠিন। প্রতি সপ্তাহেই লিগ টেবিলে পরিবর্তন ঘটছে। তাই একাধিক দলকে গুরুত্ব দিতে হবে। পিছিয়ে থাকা দলগুলিও চেষ্টা করবে পয়েন্ট কাড়ার।
প্রশ্ন: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্ট বেঙ্গল সম্পর্কে কী বলবেন?
কামিংস: অবশ্যই ওরা এবার ভালো দল গড়েছে। তবে তার প্রভাব পারফরম্যান্সে এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। তবে কলকাতা ডার্বির মেজাজই আলাদা। তুলনাহীন।