পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
যশস্বী জয়সওয়ালের উত্থান এমনই অবিশ্বাস্য। উত্তর প্রদেশের ভাদোহি থেকে ট্রেনে চেপে মাত্র ১১ বছর বয়সে মুম্বইয়ে আসা। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দু’চোখে নিয়ে সেই শুরু স্ট্রাগল। আজাদ ময়দানের তাঁবুতে মালিদের পাশে শুয়ে রাত কাটাতে হয়েছে। সন্ধে থেকে ফুচকা বিক্রিও করেছেন জীবনধারণের জন্য। আর এই লড়াই তাঁকে মানসিক শক্তি জুগিয়েছে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টে ১৬১ রানের ইনিংসে শোরগোল ফেলে দেওয়া বাঁ হাতি ওপেনার বলেছেন, ‘আত্মবিশ্বাসের ভাঁড়ার আমার পুষ্ট। কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারার ক্ষমতা রয়েছে। আমি সবসময় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবি। উপভোগ করি লড়াইটাকে। এবং জেতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি।’
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটাই ছিল যশস্বীর প্রথম টেস্ট। খাতাই খুলতে পারেননি প্রথম ইনিংসে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর সামনে নির্বিষ দেখায় প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কদের। ২২ বছর বয়সি আরও বলেন, ‘জীবনে যা পেয়েছি তার জন্য কৃতজ্ঞ। কঠিন দিনগুলি আমায় অনেক কিছু শিখিয়েছে। নিজের উপর আস্থা জন্মেছে। জীবনের নানা পর্যায়ের মোকাবিলার ক্ষমতা পেয়েছি। এই সবকিছুর জন্যই উপরওয়ালাকে ধন্যবাদ।’
যশস্বীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অজি ক্রিকেট মহল। অতীতে ভারতের কোচ থাকা গ্রেগ চ্যাপেল রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তাঁর মতে, ‘এই তরুণ ওপেনার একেবারে ভয়ডরহীন। শচীন তেন্ডুলকর ও বিরাট কোহলির পর ভারতীয় ব্যাটিং ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার বহন করার ক্ষমতা ধরে। বিশ্ব ক্রিকেটে কেন ভারত এগিয়ে তা যশস্বীর মতো ক্রিকেটার উঠে আসার মধ্যেই প্রতিফলিত। একদম কম বয়সে ও মুম্বইয়ে চলে এসেছিল প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠতে। আর সেভাবেই দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন সফল করেছে। ওর মানসিক জোর অসাধারণ। ভারতে প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু প্রতিভাধর অনেকেই রাজ্য দলের হয়েও খেলতে পারে না। যশস্বী কিন্তু সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ে এই জায়গায় পৌঁছেছে।’
যশস্বীর সঙ্গে পারথ টেস্টে অভিষেককারী অজি ওপেনার নাথান ম্যাকসুইনির তুলনা করেছেন গ্রেগ। বলেছেন, ‘এই বয়সে যশস্বী ১৪ টেস্ট, ৩০টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, ৩২টা লিস্ট এ ম্যাচ, ৫৩টা আইপিএলের ম্যাচ খেলেছে। অথচ, ২৫ বছর বয়সে ম্যাকসুইনি সবে টেস্টে অভিষেক করল। আসলে রাহুল দ্রাবিড়ের সৌজন্যে ভারতের জুনিয়র ক্রিকেটের পরিকাঠামো দুর্দান্ত।’