কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
আগের দু’টি ম্যাচে দশ গোল হজম করেছিল জামশেদপুর। চাপে থাকা প্রতিপক্ষকে ঘাড়ে চড়তে দিতে চাননি হোসে মোলিনা। শুরুতে ধাক্কা দেওয়াই লক্ষ্য ছিল মোহন বাগানের স্প্যানিশ হেডস্যারের। ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে উইং থেকে ঝড় তোলার পরিকল্পনা স্পষ্ট। ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেত্রাতোসের ফ্রি-কিক প্রতিপক্ষ গোলকিপারের হাতে জমা পড়ে। তবে লিড পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৫ মিনিটে পেত্রাতোসের কর্নার আংশিক বিপন্মুক্ত হয়। রক্ষণের জঙ্গলে আলগা বল আলবার্তো হেড করার পর তা দুরন্ত শটে জাল কাঁপান আলড্রেড (১-০)। ২৪ মিনিটে পেত্রাতোসের জোরাল শট জামশেদপুর গোলরক্ষকের হাতে লেগে ছিটকে আসে। ফিরতি বল গোলে ঠেলতে ব্যর্থ ম্যাকলারেন। পর মুহূর্তে শুভম সারঙ্গিকে ইনসাইড, আউটসাইড ডজে টপকে বক্সে ঢুকে পড়েন লিস্টন। অরক্ষিত পেত্রাতোস বা ম্যাকলারেনকে মাইনাস করার বদলে গোলের নেশায় শট নিলেন তিনি। লক্ষ্যভেদ না হলেও গোয়ানিজ ফুটবলার বুঝিয়ে দিলেন দিনটা তাঁরই। বিরতির আগে ব্যবধান বাড়িয়ে ম্যাচটা মোলিনার হাতে তুলে দিলেন লিস্টন (২-০)।
দু’গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও সাবলীল মোহন বাগান। ৭৫ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল ম্যাকলারেনের। এক্ষেত্রে দীপক টাংরির লং বল খুঁজে নেয় মনবীরকে। তাঁর মাইনাস ফাঁকা গোলে ঠেলেন অজি বিশ্বকাপার (৩-০)। শেষলগ্নে লিস্টনের শট পোস্টে প্রতিহত না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। সবমিলিয়ে ছবির মতো ফুটবলে পয়সা উসুল সমর্থকদের। মাঠের বাইরে তাঁদের পারফরম্যান্সও ঝলসাচ্ছে। সবচেয়ে বড় টিফোর পাশাপাশি গ্যালারিতে হাজির কিংবদন্তি শৈলেন মান্নার মুখ। ঐতিহ্য, আবেগ, বনেদিয়ানায় আবহমান মোহন বাগান।
মোহন বাগান: বিশাল, দীপ্যেন্দু, আলড্রেড, আলবার্তো, শুভাশিস, আপুইয়া (অনিরুদ্ধ), টাংরি (অভিষেক), লিস্টন (সাহাল), মনবীর (আশিক), পেত্রাতোস ও ম্যাকলারেন (কামিংস)।
(আলড্রেড, লিস্টন, ম্যাকলারেন)