প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ ‘এ’-তে ইস্ট বেঙ্গল বনাম নেজমা ম্যাচ কার্যত ফাইনাল। দুই ম্যাচে লেবাননের দলের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। অন্যদিকে, সমসংখ্যক ম্যাচে দু’পয়েন্টে পিছিয়ে তালালরা। অর্থাৎ পরের রাউন্ডে পৌঁছতে গেলে ব্রুজোঁ ব্রিগেডকে জিততেই হবে। অন্যথায় অন্য গ্রুপের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই। পক্ষান্তরে ড্র করলেই পরের রাউন্ডে নিশ্চিত নেজমা। কঠিন পরিস্থিতিতেও লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ চাপ নিতে নারাজ। তাঁর মন্তব্য, ‘ফুটবলাররা খোলা মনে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিক। এটুকুই চাই।’ উল্লেখ্য, গত ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেন নন্দকুমাররা। নেজমার বিরুদ্ধেও শুরুতে ঝাঁকুনি দিতে মরিয়া ব্রুজোঁ। ইস্ট বেঙ্গল দ্রুত লক্ষ্যভেদ করতে পারলে পাল্টা চাপে পড়বে নেজমা।
ক্লেটনদের দায়িত্ব নিয়ে পালস বোঝার চেষ্টা করেছেন অস্কার। ফিটনেসের পাশাপাশি মানসিকভাবেও ঝিমিয়ে ছিল গোটা দল। রাতারাতি ফিটনেস গ্রাফ বদলানো অসম্ভব। তবে কয়েকটা স্পেলে বেশ ধারালো দেখাচ্ছে নন্দ, মহেশদের। এবিষয়ে ব্রুজোঁর মন্তব্য, ‘গোটা ম্যাচেই ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে।’ তবে স্প্যানিশ কোচ নিজেও জানেন, টানা প্রেসিং ফুটবলের স্ট্র্যাটেজি নিলে ডুবতে হবে। প্রথমার্ধে লাগামছাড়া আক্রমণের নীতি হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই অঙ্ক কষে আক্রমণ শানানোর বার্তা দিয়েছেন ফুটবলারদের। নেজমা রক্ষণের স্তম্ভ ঘানার ডিফেন্ডার। জাল কাঁপাতে হলে বাড়তি তাগিদ দেখাতে হবে দিয়ামানতাকোসকে। গ্রিক স্ট্রাইকার শেষ তিন ম্যাচেই গোল পেয়েছেন। আগের চেয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসী তিনি। পাশাপাশি লেফট উইং-হাফে খেলানোয় অনেক সপ্রতিভ নন্দকুমার। ক্রমাগত জায়গা অদল বদল করবেন নাওরেম মহেশ আর নন্দ। পায়ে বলে ক্লিক করলে দীপাবলির বিকেলে লাল-হলুদ মশাল জ্বলতেই পারে।
বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে অনেকটাই গোছানো লেবাননের নেজমা। মেহদি জেইন, হাসান কুরানিরা দীর্ঘদিন পাশাপাশি খেলছেন। আক্রমণের প্রধান শক্তি দুই উইং হাফ। স্পেস পেলে ছারখার করার ক্ষমতা রাখেন। এদিকে, এএফসি’র নির্দেশে একঘণ্টা এগিয়ে আনা হল ইস্ট বেঙ্গল বনাম নেজমা ম্যাচের কিক অফ।
ভারতীয় সময় ম্যাচ শুরু বিকেল ৩-৩০ মিনিটে।