ব্যবসায়িক কাজকর্মের প্রসার, কেনাবেচা বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি। আঘাত ও রক্তপাতের সম্ভাবনা আছে। ... বিশদ
লায়োনেল মেসি ক্লাব ছাড়ার পর একটা সময় রীতিমতো ধুঁকছিল বার্সেলোনা। বিপুল অর্থ খরচ করে মেম্ফিস ডিপে, অবামেয়াংদের দলে নিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বরং নিজেদের ঘরানা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছিল কাতালন ক্লাবটি। রোগ সারাতে লা মাসিয়া থেকে লামিনে ইয়ামাল, গাবির মতো তরুণদের সুযোগ দেন কোচ জাভি। তাতেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে থাকে বার্সা। কিন্তু আচমকা তাল কাটে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে চাকরি যায় ঘরের ছেলের। দায়িত্বে আসেন হ্যান্স ফ্লিক। জাভির গড়ে দেওয়া ভিতের উপর ইমারত মজবুত করেছেন তিনি। শনিবার এল ক্লাসিকোতে তেমন ঝলকই চোখে পড়ল। বার্সার তারুণ্যের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন এমবাপেরা। প্রথমার্ধে ফ্লিকের হাইলাইন ডিফেন্সে লুকানো অফসাইডের ফাঁদে পা দিয়েই খেই হারিয়ে ফেলে রিয়াল। তারমধ্যে একবার এমবাপে জাল কাঁপালেও বাতিল হয় গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঝুলি থেকে প্ল্যান ‘বি’ বের করেন বার্সা কোচ। ফারমিন লোপেজকে তুলে ফ্র্যাঙ্কি ডে জং নামাতেই মোড় ঘুরে যায় ম্যাচে। ৫৪ থেকে ৫৬— মাত্র তিন মিনিটের ঝড়ে জোড়া লক্ষ্যভেদে বার্সাকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন লিওয়ানডস্কি। তরুণ কাসাদোর থ্রু বল ধরে দুরন্ত প্লেসমেন্টে প্রথম গোল পোলিশ স্ট্রাইকারের (১-০)। দু’মিনিটের মধ্যেই বাঁ দিক থেকে বালডের ঠিকানা লেখা ক্রস মাথার বিষাক্ত ছোবলে জাল কাঁপান লিওয়ানডস্কি (২-০)। এই পর্বে পেড্রিদের হাইপ্রেসিং ফুটবলে রিয়ালের রক্ষণ একেবারে কেঁপে যায়। রাইট-ব্যাক ড্যানি কার্ভাহালের অভাব হাড়েহাড়ে টের পেলেন রিয়াল কোচ। অবস্থা বেগতিক দেখে চৌমেনিকে তুলে অভিজ্ঞ মডরিচকে নামিয়ে মাঝমাঠ দখলের চেষ্টা করেন আনসেলোত্তি। তারপরেই দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু ফরাসি স্ট্রাইকারের জোরালো শট দুরন্ত তত্পরতায় রুখে দেন বার্সা কিপার পেনা। এরপর কাসাদোকে তুলে ড্যানি ওলমোকে নামিয়ে ফের চমক দিলেন ফ্লিক। তারই সুফল আরও দু’টি গোল। ৭৭ মিনিটে রাফিনহার পাস বক্সে পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে ৩-০ করেন লামিনে। আর ৮৪ মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত লবে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন রাফিনহা (৪-০)। ম্যাচ শেষে মেজাজ হারাতে দেখা গেল আনসেলোত্তিকে। সেটাই স্বাভাবিক। লা লিগায় তাঁদের ৪২ ম্যাচের অপরাজেয় দৌড় যে থেমে গেল!
(লিওয়ানডস্কি-২, লামিনে, রাফিনহা)