সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক ... বিশদ
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঘরের মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটে আধিপত্য দেখিয়ে আসছে ভারত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্পিনাররা গড়ে দিয়েছেন ম্যাচের ভাগ্য। আচমকা সেই পথ বদলাতে গিয়েই বিপদে পড়েছে টিম ইন্ডিয়া। তাই পুনেতে ফের স্পিন অস্ত্রেই কিউয়িদের ঘায়েল করার পরিকল্পনা নিয়েছেন কোচ গৌতম গম্ভীর। স্লো টার্নিং উইকেট চাওয়া হয়েছে ভারতীয় শিবিরের পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত পিচ কেমন আচরণ করবে, তা বল গড়ালে জানা যাবে। তবে দুই দলই অতিরিক্ত স্পিনার খেলানোর দিকে ঝুঁকে। ভারত অবশ্য প্রথম টেস্টেই তিন স্পিনারে খেলেছিল। এই ম্যাচেও অশ্বিন, জাদেজার সঙ্গে কুলদীপকে দেখা যেতে পারে। তবে পেস আক্রমণে বুমরাহর সঙ্গী হিসেবে সিরাজের জায়গায় আকাশ দীপের নামও শোনা যাচ্ছে। কারণ, বাংলা দলের ক্রিকেটারটি অল্পস্বল্প ব্যাট করতে পারেন। নিউজিল্যান্ডও দারুণ হোমওয়ার্ক করে এসেছে। আজাজ প্যাটেল, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধির মতো স্পিনার রয়েছে তাদের। কিউয়িদের পেস আক্রমণও বেশ ঝাঁঝালো।
এদিকে, ঋষভ পন্থ ও শুভমান গিলের ফিট হয়ে ওঠা স্বস্তি দিয়েছে ভারতীয় শিবিরকে। তাতে অবশ্য সমস্যাও বেড়েছে। গত ম্যাচে গিলের পরিবর্ত হিসেবে নেমে সরফরাজ খান দেড়শো হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু গিল এখন ফিট। তিনি আবার লিডারশিপ গ্রুপের অংশ। তাঁকে বাদ দেওয়া সহজ ব্যাপার নয়। গিল খেললে সরফরাজের কী হবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। অফ ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুলের জায়গায় সরফরাজকে খেলানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তাতেও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে লোকেশের হয়ে গম্ভীর ব্যাট ধরায়।
টেস্ট জেতার জন্য যেমন দরকার ২০টি উইকেট, তেমনি সেই লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজন ভালো পুঁজিও। তার জন্য বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে টপ অর্ডারকে। রোহিত-যশস্বী জুটি যদি শুরুটা ভালো করতে পারেন, তাহলে পরের দিকে গিল, কোহলিরা অনেক চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবেন। তাতে স্কোরবোর্ড সচল থাকবে। চাপে পড়বে প্রতিপক্ষ।
তবে প্রথম টেস্ট জেতায় দারুণ চনমনে কিউয়িরা। ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের বড় ভরসা ডেভন কনওয়ে, উইল ইয়ং, রাচীন রবীন্দ্র। অভিজ্ঞ উইলিয়ামসনের অভাব ঢাকা পড়েছে তাঁদের সাফল্যে। মিডল অর্ডারে রয়েছেন ড্যারিল মিচেল, টম ব্লান্ডেল ও অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপ। গত ম্যাচে তিন পেসার খেলিয়েছিল কিউয়িরা। পুনেতে স্পিন সহায়ক উইকেট হলে সাউদি কিংবা ও’রৌরকির মধ্যে একজন হয়তো সুযোগ পাবেন।
ম্যাচ শুরু সকাল ৯-৩০ মিনিটে।
সরাসরি সম্প্রচার স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে।