নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-টু’এ আর নেই মোহন বাগান। ইরানের ক্লাব ট্রাক্টর এফসি’র বিরুদ্ধে দল মাঠে না নামানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিল এএফসি। সোমবার এক প্রেস বিবৃতিতে এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-টু প্রতিযোগিতার নিয়মবিধির ৫.২ ধারা অনুযায়ী ধরে নেওয়া হয়েছে যে, মোহন বাগান প্রতিযোগিতা থেকে তাদের নাম তুলে নিয়েছে। কারণ, তারা ২ অক্টোবর ইরানের ক্লাব ট্রাক্টর এফসি’র বিরুদ্ধে দল নামায়নি। একইসঙ্গে ৫.৬ ধারা অনুসারে তাদের পরবর্তী সব ম্যাচ বাতিল করা হল। আগের ম্যাচের কোনও পয়েন্ট ও গোল হিসেবে ধরা হবে না।’ উল্লেখ্য, নিরাপত্তা ইস্যুতে ইরানের ক্লাব ট্রাক্টর এফসি’র বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে রাজি ছিলেন না দলের ৩৫ জন ফুটবলার। সেই মর্মে টিম ম্যানেজমেন্টকে চিঠিও দেন দিমিত্রি-কামিংসরা। এরপরই ফুটবলারদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ইরানে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনকী, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনেরও অনুরোধ করেন মোহন বাগান কর্তারা। তবে তাদের সেই আবেদন নাকচ করেও এদিন এএফসি’র পক্ষ থেকে মোহন বাগানকে ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করা হয়।
ইরানে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক দল সেখানে খেলতে যেতে রাজি হয়নি। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরের। তারপরেও মোহন বাগানের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হয়নি বলেই ফুটবলমহলের ধারণা। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফাও সবসময় ফুটবলারদের নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। একইসঙ্গে দল মাঠে না নামানোর জন্য মোহন বাগানের আদৌও কোনও শাস্তির মুখে পড়তে হবে কিনা, তা পরিষ্কার নয়। গোটা বিষয়টাই আপাতত এএফসি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে মোহন বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানান, ‘পুরো বিষয়টাই আমাদের লিগাল সেলকে পাঠিয়েছি। তারা পর্যালোচনা করছে। আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ, ফুটবলারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। যে দেশে যুদ্ধের দামামা বেজেছে, সেখানে দল পাঠানোর প্রশ্নই নেই। এর পিছনে অনেক রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, যা বলতে চাই না। লিগাল সেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’