কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
ম্যাচ জিততে লক্ষ্যভেদের পাশাপাশি মজবুত রক্ষণ প্রয়োজন। কিন্তু লাল-হলুদে গোড়ায় গণ্ডগোল। দলের হায়েস্ট পেইড ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। স্টেটাস কমিটির সিদ্ধান্তের উপর ভাগ্য ঝুলছে। কবে খেলবে, কবে নির্বাসনের খাঁড়া নামবে কেউ জানে না। আনোয়ারকে নিয়ে অহেতুক হাইপ তোলা হয়েছে। গড়পড়তা, মধ্যবিত্ত ফুটবলার। টেনেটুনে তারকা বানানো হচ্ছে। একটা সময় লাল-হলুদ জার্সিতে চীনের প্রাচীর ছিল মনা-তরুণ জুটি। গ্যালারির ভরসা, বিশ্বাস ‘আমাগো মনা।’ বিপদের দিনে রক্ষাকর্তা। সেই জেদ, তাগিদ কোথায়? আনোয়ারের মধ্যে সেই ডাকাবুকো ভাব নেই। বিপক্ষ চাপ দিলেই কেঁপে যাচ্ছে ডিফেন্স। চার ডিফেন্ডারের মধ্যে তালমিলের অভাব স্পষ্ট। হেক্টরকে পাশে নিয়ে ‘লিড’ করুক আনোয়ার। আরে ভাই, চার ম্যাচে আট গোল হজম করেছে ইস্ট বেঙ্গল। এতো কল্পনার অতীত। রক্ষণ জমাট থাকলে খারাপ দিনেও ম্যাচ ড্র হয়। পকেটে থাকে অন্তত এক পয়েন্ট। ইস্ট বেঙ্গল রক্ষণে বল গেলেই ‘গেল গেল’ রব। মনে পড়ছে, আনোয়ারের হাতে লাল-হলুদ জার্সি তুলে দিয়েছিল দীপক মণ্ডল। ওর মতো ট্যাকেল, কভারিং থাকলে বর্তে যেত আনোয়ার। ওর উচিত অবিলম্বে মনাদার পরামর্শ নেওয়া। এই দলের বোঝা লালচুংনুঙ্গা। খুঁজলে ময়দানের খোলা মাঠেও ওর বিকল্প পাওয়া যাবে। বর্ষীয়ান ক্লেটন সিলভাও হতাশ করছে। বাণপ্রস্থে পা বাড়ানো ব্রাজিলিয়ানকে স্কোয়াডে রাখা বড় ভুল।
শক্তিশালী দল গড়তে এবার কোনও কার্পণ্য করেনি টিম-ম্যানেজমেন্ট। মাঝে মাঝে কড়া হাতে রাশ ধরা দরকার। হাওয়ায় টাকা উড়ছে। অথচ পারফরম্যান্স লবডঙ্কা। নন্দ, হিজাজি, ক্রেসপোর মতো কাগুজে বাঘদের কাছে জবাবদিহি চাওয়া উচিত। দলটার নাম ইস্ট বেঙ্গল। জার্সিতে গর্বের লাল-হলুদ রং ছাড়া এই ইস্ট বেঙ্গল আমার অচেনা।