ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
দল খারাপ পারফর্ম করলে দায় এড়াতে পারেন না কোচ। আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিকের পর পদত্যাগ করেছেন কুয়াদ্রাত। তবে ফুটবলাররা এভাবে সুযোগ নষ্ট করলে, কোনও টম-ডিক-হ্যারি এই দলের ভাগ্য বদলাতে পারবেন না। আসলে লাল-হলুদ ফুটবলারদের মধ্যে জেতার তাগিদটাই হারিয়ে গিয়েছে। মরশুমের শুরু থেকে উইং ব্যাকের দুর্বলতায় ভুগছে ইস্ট বেঙ্গল। তাই জামশেদপুরের বিরুদ্ধে এই পজিশনে জোর দেন অন্তবর্তীকালীন কোচ বিনো। লালচুংনুঙ্গাকে ডানদিকে রেখে প্রভাত লাকরাকে লেফট উইং-ব্যাকে খেলান তিনি। দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসের অনুপস্থিতিতে আরও একবার ক্লেটন সিলভার উপর আস্থা রাখেন কোচ বিনো। তবে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে ঘিরে হতাশা ক্রমশ বাড়ছে। প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে, প্রথমার্ধেই তাঁর নামের পাশে দু’গোল লেখা থাকত। উল্টে ঘরের মাঠে পরিকল্পিত ফুটবল মেলে ধরে প্রথমার্ধে এক গোলে লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে জামশেদপুর। ২১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডানপায়ের দুরন্ত শটে জাল কাঁপান রেই চিকাওয়া (১-০)। পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে আক্রমণে চাপ বাড়ায় ইস্ট বেঙ্গল। চার মিনিটের মধ্যে ক্লেটনের জোড়া সুযোগ নষ্ট। ৪৫ মিনিটে সুযোগ এসেছিল নন্দ কুমারের সামনে। বক্সের বাঁদিক থেকে নেওয়া তাঁর শট রুখে দলের পতন আটকান জেএফসি দুর্গপ্রহরী। বিরতির পরও ইস্ট বেঙ্গলের খেলায় কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।
কথায় আছে, ভাগ্য সাহসীদের সঙ্গ দেয়। কিন্তু হারতে হারতে হারান হয়ে যাওয়া ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলাররা এখন স্নায়ুর চাপে ভুগছেন। তার জ্বলন্ত প্রমাণ সাউল ক্রেসপো। এদিন পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপাতে ব্যর্থ তিনি। ৬৩ মিনিটে বক্সের মধ্যে ক্লেটনকে ফাউল করেন জাভি হার্নান্ডেজ। সঙ্গে সঙ্গে বাঁশি বাজান রেফারি। তবে স্পটকিক থেকে সাউলের দুর্বল শট সহজেই রোখেন জামশেদপুর গোলরক্ষক। তিন মিনিট বাদেই ক্লেটনের শট পোস্টে লাগে। একের পর এক সুযোগ নষ্টের মাঝেই দ্বিতীয় গোল হজম করে ইস্ট বেঙ্গল। প্রতিপক্ষের শট রুখতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান লালচুংনুঙ্গা (২-০)। পরের মিনিটেই ইউস্তের হেড ক্রসবারে ধাক্কা খায়। শেষের দিকে ডেভিড-আমনদের নামিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালালেও, জামশেদপুরের রক্ষণে ফাটল ধরাতে ব্যর্থ বিনো জর্জ ব্রিগেড।
ইস্ট বেঙ্গল: দেবজিৎ, লালচুংনুঙ্গা (ডেভিড), আনোয়ার, ইউস্তে, প্রভাত, শৌভিক, সাউল, নন্দ (আমন), তালাল, মহেশ (বিষ্ণু) ও ক্লেটন।
(রেই, লালচুংনুঙ্গা-আত্মঘাতী)