বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পদ্মাপাড়ের দলকে বড় ব্যবধানে হারানোর নায়ক অতি অবশ্যই রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ শতরান করেছিলেন প্রথম দিন। এরপর বল হাতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামালেন তারকা অফ স্পিনার। তাঁর একারই সংগ্রহ ছয় উইকেট। এই নিয়ে চতুর্থবার একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিলেন অ্যাশ। টেস্ট কেরিয়ারে এটা আবার তাঁর ৩৭তম পাঁচ উইকেট। কিংবদন্তি রিচার্ড হ্যাডলিকে (৩৬) টপকে শেন ওয়ার্নকে (৩৭) স্পর্শ করলেন তিনি। সামনে এখন শুধুমাত্র মুত্তাইয়া মুরলীধরন (৬৭)। পাশাপাশি টেস্টে সর্বাধিক উইকেট শিকারীর তালিকায় আট নম্বরে উঠলেন অশ্বিন (৫২২)। এদিন সাকিবকে ফেরানোর সঙ্গে সঙ্গে ৩৮ বছর বয়সি টপকে গেলেন কোর্টনি ওয়ালশকে (৫১৯)।
সকালে চার উইকেটে ১৫৮ নিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টায় কোনও উইকেট পড়েনি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ৪৮ রান। ড্রিঙ্কসের পর অশ্বিন আক্রমণে আসতেই দ্রুত পাল্টে যায় ছবি। তাঁর বৈচিত্র্যের সামনে উইকেট দেন সাকিব, মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। উল্টোদিকে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজাও। তিনি ফেরান লিটন দাস, শান্ত ও হাসান মাহমুদকে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও পরের সেশন পর্যন্ত খেলা টেনে নিয়ে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮২ রানে আউট হন তিনি।
স্কোরবোর্ড: ভারত প্রথম ইনিংস ৩৭৬। বাংলাদেশ প্রথম ইমিংস ১৪৯। ভারত দ্বিতীয় ইনিংস ২৮৭-৪ (ডিঃ)। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস (১৫৮-৪ এর পর)- শান্ত ক বুমরাহ বো জাদেজা ৮২, সাকিব ক যশস্বী বো অশ্বিন ২৫, লিটন ক রোহিত বো জাদেজা ১, মেহেদি ক জাদেজা বো অশ্বিন ৮, তাসকিন ক সিরাজ বো অশ্বিন ৫, হাসান বো জাদেজা ৭, নাহিদ অপরাজিত ১২, মোট (৬২.১ ওভারে) ২৩৪। উইকেট পতন: ৫-১৯৪, ৬-২০৫, ৭-২২২, ৮-২২২, ৯-২২৮, ১০-২৩৪। বোলিং: বুমরাহ ১০-২-২৪-১, সিরাজ ১০-৫-৩২-০, আকাশ ৬-০-২০-০, অশ্বিন ২১-০-৮৮-৬, জাদেজা ১৫.১-২-৫৮-৩।
-ভারত ২৮০ রানে জয়ী।
-ম্যাচের সেরা অশ্বিন।