শিল্পকর্মে সাফল্য, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
নয়াদিল্লি: রাজধানী থেকে ঘণ্টা দেড়েকের পথ হরিয়ানার ঝজ্জর। ‘ধন্যি মেয়ে’র সৌজন্যে রাতারাতি বিখ্যাত গোরিয়া গ্রাম। ওলিম্পিকসের একই আসরে জোড়া পদক জিতে ইতিমধ্যেই ইতিহাসে মানু ভাকের। ভাংড়া নাচ আর মিষ্টিমুখে তাই বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছে তাঁর গ্রাম। মঙ্গলবার সকাল থেকেই অবশ্য সেখানে চাপা উত্তেজনা। প্রবল উদ্বেগে টেলিভিশনের সুইচ অন করেনি পরিবার। মেয়ের শুভকামনায় ঠাকুরঘরে প্রার্থনায় বসেছিলেন মা সুমেধাদেবী। প্রতিবেশীদের হইচই আর সেলিব্রেশন কানে আসতেই বোঝেন মেয়ের আরও একটি পদক নিশ্চিত। হাতের তেলোয় চোখ মোছেন আবেগাপ্লুত মা। সুমেধাদেবীর মন্তব্য, ‘সবই ঈশ্বরের আশীর্বাদ। উদ্বেগে টিভির পর্দায় চোখ রাখতে সাহস হয়নি। পাড়ায় নাকাড়া বাজতেই বুঝে যাই, প্রার্থনা কাজে এসেছে।’ ততক্ষণে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছে গোটা বাড়ি। আবেগে বিহ্বল মানুর বাবা রাম কিষাণও। টোকিওর ব্যর্থতা মুছে ফেলে প্যারিসে মেয়ের শাপমুক্তি। রাম কিষাণ বললেন, ‘যাবতীয় কৃতিত্ব কোচ যশপাল রানার। টোকিওর ব্যর্থতার পর বিপর্যস্ত মানুকে উনিই ফিরিয়ে আনেন। রানার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’ উল্লেখ্য, চার বছর আগে টোকিও ওলিম্পিকসে মানুর স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এমনকী কোচ যশপাল রানার সঙ্গেও তৈরি হয় দূরত্ব। কিন্তু কঠিন সময়ে অভিমান ভুলে ছাত্রীর পাশে দাঁড়ান তিনি। ইগো ঝেড়ে মানু ভাকেরও ডুব দেন কঠোর ট্রেনিংয়ে।
আম্বালার সরবজ্যোৎ সিংয়ের উত্থানও কম আকর্ষণীয় নয়। ছোটবেলায় ফুটবল মাঠেই বেশি দেখা যেত তাঁকে। তবে পরে চেপে বসে শ্যুটিংয়ের নেশা। ছেলের একঘেয়ে বায়নাক্কায় বিরক্ত হয়ে শ্যুটিং প্রশিক্ষণে ভর্তি করে দেন বাবা। ভাগ্যিস বিরক্ত হয়েছিলেন। নাহলে প্যারিসের পোডিয়ামে সরবজ্যোৎকে হয়তো দেখা যেত না। কীভাবে ওলিম্পিকসের প্রস্তুতি সারেন তিনি? পাঞ্জাব কি পুত্তরের ড্রেসিং-রুমের কাহিনিও বেশ চমকপ্রদ। মনঃসংযোগ বাড়াতে নিয়মিত ধ্যান করেন সরবজ্যোৎ। কখনও অন্ধকার ঘরে মোমবাতির জ্বলন্ত শিখার দিকে চেয়ে থাকতেন। বাহ্যিক আড়ম্বরের মাঝে এ যেন সাধনায় মগ্ন সাধক।
গতবছর শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জেতার পর সরবজ্যোৎকে নিয়ে প্রত্যাশা তুঙ্গে ওঠে। এশিয়ান গেমসে দলগত ইভেন্টে সোনাজয় তাঁর মুকুটে রঙিন পালক। প্যারিস ওলিম্পিকসে ব্যক্তিগত বিভাগে অনেকেরই বাজি ছিলেন সরবজ্যোৎ। তিনি ছিটকে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরাও বিস্মিত। সমালোচকদের বক্তব্য, চাপের মুখে নার্ভ ধরে রাখতে ব্যর্থ তিনি। তবে মিক্সড ইভেন্টে সরবজ্যোৎ দেখালেন সেই ব্যর্থতা ‘ওয়ান ব্যাড ডে ইন অফিস’। মিক্সড ইভেন্টে পদক জয়ে তিনিই সিং ইজ কিং। তাঁদের সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকরও এক্স হ্যান্ডলে প্রশংসায় ভরিয়েছেন।
আম্বালার সরবজ্যোৎ সিংয়ের উত্থানও কম আকর্ষণীয় নয়। ছোটবেলায় ফুটবল মাঠেই বেশি দেখা যেত তাঁকে। তবে পরে চেপে বসে শ্যুটিংয়ের নেশা। ছেলের একঘেয়ে বায়নাক্কায় বিরক্ত হয়ে শ্যুটিং প্রশিক্ষণে ভর্তি করে দেন বাবা। ভাগ্যিস বিরক্ত হয়েছিলেন। নাহলে প্যারিসের পোডিয়ামে সরবজ্যোৎকে হয়তো দেখা যেত না। কীভাবে ওলিম্পিকসের প্রস্তুতি সারেন তিনি? পাঞ্জাব কি পুত্তরের ড্রেসিং-রুমের কাহিনিও বেশ চমকপ্রদ। মনঃসংযোগ বাড়াতে নিয়মিত ধ্যান করেন সরবজ্যোৎ। কখনও অন্ধকার ঘরে মোমবাতির জ্বলন্ত শিখার দিকে চেয়ে থাকতেন। বাহ্যিক আড়ম্বরের মাঝে এ যেন সাধনায় মগ্ন সাধক।
গতবছর শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জেতার পর সরবজ্যোৎকে নিয়ে প্রত্যাশা তুঙ্গে ওঠে। এশিয়ান গেমসে দলগত ইভেন্টে সোনাজয় তাঁর মুকুটে রঙিন পালক। প্যারিস ওলিম্পিকসে ব্যক্তিগত বিভাগে অনেকেরই বাজি ছিলেন সরবজ্যোৎ। তিনি ছিটকে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরাও বিস্মিত। সমালোচকদের বক্তব্য, চাপের মুখে নার্ভ ধরে রাখতে ব্যর্থ তিনি। তবে মিক্সড ইভেন্টে সরবজ্যোৎ দেখালেন সেই ব্যর্থতা ‘ওয়ান ব্যাড ডে ইন অফিস’। মিক্সড ইভেন্টে পদক জয়ে তিনিই সিং ইজ কিং। তাঁদের সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকরও এক্স হ্যান্ডলে প্রশংসায় ভরিয়েছেন।
