ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
(টাই-ব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জয়ী ইংল্যান্ড)
ডুসেলডর্ফ: চলতি ইউরোতে আরও এক ম্যাচ গড়াল টাই-ব্রেকারে। শনিবার তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে পেনাল্টি শুট-আউটে শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ড। ৫-৩ ব্যবধানে সুইৎজারল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করে গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা। টাই-ব্রেকারে ইংল্যান্ডের হয়ে জাল কাঁপান যথাক্রমে পালমার, বেলিংহ্যাম, সাকা, ইভান টনি ও আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। পক্ষান্তরে, প্রতিপক্ষের একটি শট রুখে দেন জর্ডন পিকফোর্ড। উল্লেখ্য, ম্যাচে লিড নিয়েও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ সুইসরা। ইংল্যান্ডের হয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন বুকায়ো সাকা। সুইসদের হয়ে একমাত্র গোলটি ব্রেল এমবোলোর।
অন্যতম ফেভারিট হিসেবে ইউরোর অভিযান শুরু করলেও প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স মেলে ধরতে ব্যর্থ ইংল্যান্ড। পক্ষান্তরে, ইতালিকে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করেছিল সুইৎজারল্যান্ড। তাই শনিবার লড়াইটা যে সহজ হবে না, তা ভালোই জানতেন ইংল্যান্ড কোচ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আক্রমণভাগে কেন-ফোডেনদের বোঝাপড়ার অভাব বারবার চোখে পড়েছিল। এদিনও তার কোনও পরিবর্তন ঘটল না। উইং থেকে সাকা-ট্রিপাররা আক্রমণ গড়ার চেষ্টা করলেও, বক্সে তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ বেলিংহ্যামরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচে গতি প্রকৃতিতে খুব একটা পরিবর্তন ঘটেনি। ৭৫ মিনিটে সুইসদের কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন ব্রেল এমবোলো। বক্সের ডানদিক থেকে এনডোয়ের ক্রস থেকে মার্কার কাইল ওয়ার্কারকে টপকে বল জালে জড়ান তিনি (১-০)। ম্যাচে পিছিয়ে পড়তেই একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তনের পথে হাঁটেন ইংল্যান্ড কোচ, যা অনেকটাই কাজে দেয়। ৮০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বাঁপায়ের বাঁক খাওয়ানো দুরন্ত শটে জাল কাঁপান বুকায়ো সাকা (১-১)। নির্ধারিত সময়ে স্কোর-লাইনে আর কোনও পরিবর্তন না ঘটায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই পর্বেও দুই দলই রক্ষণ সামলে আক্রমণের পথে হাঁটে। শেষের দিকে বেশ কয়েকবার ইংল্যান্ড গোলরক্ষককে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানালেও দ্বিতীয় গোলের দেখা পায়নি সুইৎজারল্যান্ড।