ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় জার্মানিতে তখন নেমেছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। দেশের জার্সিতে শেষ ম্যাচ হেরে বিধ্বস্ত টনি ক্রুজ। কিংবদন্তির কেরিয়ারের মধুরেণ সমাপয়েত্ আর হল কোথায়? টমাস মুলার কোনওক্রমে কান্না চেপে রয়েছেন। কিন্তু রিত্জ, মুসিয়ালার মতো তরুণের আবেগ যে বাঁধভাঙা। গ্যালারিতেও বেদনার বাজনা। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর আয়োজক জার্মানি ফের ফুটবল উত্সবে মুখর হয়েছিল। ১৯৯৬ সালের পর ফের ইউরোপ সেরার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যান। কিন্তু এই জার্মানির যে সেই রসদ নেই।
শুক্রবার স্টুটগার্ট এরিনায় বুদ্ধি, স্কিল বা ফিটনেস— সবেতেই জার্মানিকে টেক্কা দিয়েছে স্পেন। প্রথম থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত পরিকল্পনামাফিক ফুটবল খেলেই বাজিমাত স্প্যানিশ আর্মাডার। শুরুতেই মাঝমাঠের স্তম্ভ পেড্রি চোট পাওয়ায় কোচ ফুয়েন্তের ঝুলি থেকে বেরল প্ল্যান ‘বি’। ড্যানি ওলমোকে নামিয়ে জার্মানির বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন তিনি। আসলে এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড লিপজিগে খেলেন। তাই জার্মান ফুটবলের হাল-হকিকত তাঁর জানা। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই দলকে জয় এনে দিলেন। স্কোরশিটে নাম তোলার পাশাপাশি মিকেলকে দিয়ে জয়সূচক গোলটিও করালেন। ম্যাচের পর নায়ক বলেন, ‘এই জয় পেড্রিকে উত্সর্গ করছি। তবে এখনও কাজ শেষ হয়নি। কাপ জেতাই মূল লক্ষ্য আমাদের।’ তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ড্যানি কার্ভাহালের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড চিন্তা বাড়িয়েছে স্প্যানিশ কোচের। কারণ, চোটের কবলে পেড্রি। কার্ড সমস্যায় নেই ডিফেন্ডার নোরম্যান্ড। সেমি-ফাইনালে এই তিন ফুটবলারের অভাব মেটানো সহজ হবে না।
অন্যদিকে, জার্মানি কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যানের সবচেয়ে বড় শত্রু তিনি নিজেই। শুক্রবার তাঁর প্রথম একাদশ চয়নেই প্রশ্ন উঠছে। প্রতিযোগিতায় দুরন্ত ফর্মে থাকা ফ্লোরিয়ান রিত্জকে বসিয়ে কোন যুক্তিতে লেরয় সানেকে খেলালেন। আর অফ ফর্মে থাকা সানেকে প্রথমার্ধের বেশি মাঠেও রাখতে পারেননি। পরিবর্ত হিসেবে নেমে সেই রিত্জ গোল করেই ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান। তাছাড়া কাই হাভার্টজের মতো মধ্যম মানের ফুটবলারকে মাঠে রাখলে জয়ের আশা না দেখাই ভালো। তাঁর চেয়ে ফুলক্রুগ অনেক বেশি কার্যকরী। স্পেনের বিরুদ্ধে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি টনি ক্রুজকেও। জার্মান কোচ অবশ্য হারের পর রেফারিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। নাগেলসম্যানের কথায়, ‘ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমরা।’