ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
গত শনিবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। সাতদিন পর সেই ভারতকেই হতদরিদ্র দেখাল। সেটাও এমন দলের বিরুদ্ধে যারা টি-২০ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনই করেনি। তাৎপর্যের, কাপজয়ের পরের ম্যাচেই লজ্জিত হল ভারতীয় ক্রিকেট। রোহিত, বিরাটদের উত্তরসূরিরা বোঝালেন, তাঁরা এখনও মশাল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি নন। ১১৬ রানের পুঁচকে লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েই কোটিপতি লিগের রথী-মহারথীরা খেলেন হোঁচট। ১৯.৫ ওভারে ১০২ রানে দাঁড়ি পড়ল ইনিংসে। গিল (২৯ বলে ৩১), ওয়াশিংটন সুন্দর ( ৩৪ বলে ২৭), আভেশ খান (১২ বলে ১৬) ছাড়া কেউ দুই অঙ্কের রান পাননি। তিন অভিষেককারী অভিষেক শর্মা, রিয়ান পরাগ ও ধ্রুব জুরেলের সংগ্রহ যথাক্রমে ০, ২ ও ৬। চরম ব্যর্থ ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (৭), রিঙ্কু সিং (০)। অথচ, সিনিয়রদের স্কোয়াডে সুযোগ না পেলে তাঁরাই মুখ ফুলিয়ে ঘোরেন!
ওয়াশিংটনের মধ্যে আবার ক্রিকেটবুদ্ধির অভাব স্পষ্ট। ৮৬ রানে ৯ উইকেট পড়ার পর খলিল আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৮ রান। কিন্তু অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ওয়াশিংটনকে আটকে রাখলেন জিম্বাবোয়ের বোলাররা। সেই জাল ছিড়ে বেরনোর চেষ্টাই দেখা গেল না বাঁ হাতির মধ্যে। দু’রান নিয়ে লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছনোর তাগিদ উধাও। একের পর এক ডট বল খেলে চললেন তিনি। অবশ্য প্রশ্নের মুখে পড়ছে বাকিদের শট বাছাই। এমন দায়সারা মানসিকতাই বা কেন, শুরু হয়েছে চর্চা।
গিলদের ব্যর্থতায় দাম পেল না রবি বিষ্ণোইয়ের কেরিয়ারের সেরা বোলিং। মাত্র ১৩ রানে চার উইকেট নিলেন তিনি। ৯০ রান ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছিল জিম্বাবোয়ের। কিন্তু শেষ উইকেটে ২৫ রান তোলেন মাদান্দে ও ছাতারা। সেটাই তফাত গড়ে দিল। ২৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা অবশ্য সিকান্দার রাজা। ব্যাট হাতে জিম্বাবোয়ে ক্যাপ্টেন করলেন ১৭। রাজার জয়ের দিনে ফকিরে পরিণত হল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা!