মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। ওপেনার টম কোহেলরকে (১০) ফেরান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। যশস্বী জয়সওয়াল অবশ্য আশা জিইয়ে রেখেছিলেন। তবে তাঁকে ফিরিয়ে রাজস্থানকে বড় ধাক্কা দেন শাহবাজ। যশস্বীর ২১ বলে ৪২ রানের ইনিংস সাজানো ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কায়। এই পর্বে রীতিমতো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন হায়দরাবাদের স্পিনাররা। সঞ্জু স্যামসনকে (১০) ফেরান অভিষেক শর্মা। রিয়ান পরাগ (৬) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনও (০) দলকে ভরসা জোগাতে ব্যর্থ। দু’জনই শাহবাজের শিকার। তবে শেষ দিকে মরিয়া লড়াই চালালেন ধ্রুব জুরেল। কিন্তু তাঁর ঝোড়ো অর্ধশতরানও দলের হার বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৩৫ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংসের পথে জুরেল মারেন সাতটি চার ও দু’টি ছক্কা। হায়দরাবাদের শাহবাজ ছাড়াও বল হাতে নজর কেড়েছেন অভিষেক শর্মা (২-২৪)।
এদিকে, টস জিতে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম ওভারেই অভিষেক শর্মাকে (১২) ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে রাহুল ত্রিপাঠি ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। পাঁচটি বাউন্ডারির পাশাপাশি দু’টি ওভার বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। ত্রিপাঠি যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তা চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল রাজস্থানকে। কিন্তু বোকার মতো শট খেলে বোল্টের বলে শর্ট থার্ডম্যানে চাহালের হাতে ধরা পড়েন ৩৭ রানে। একই ওভারে ফেরেন মার্করামও (১)। পর পর উইকেট পতনে রানের গতিও মন্থর হয়। আসলে ট্রাভিস হেড (৩৪) হঠাৎই অফ ফর্মে। গত দু’টি ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। আশা ছিল, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ঝলসে উঠবে তাঁর ব্যাট। কিন্তু শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ায় সাহসী শট খেলার ঝুঁকি নেননি ট্রাভিস। চাপের মুখে ঠান্ডা মাথায় ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান হেনরিখ ক্লাসেন। ৩৪ বলে তাঁর ৫০ রানের ইনিংস হায়দরাবাদের টানাটানির সংসারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। আসলে নীতীশ রেড্ডি (৫) ও আব্দুল সামাদ (০) পর পর আউট হওয়ায় হায়দরাবাদের মিডল অর্ডার কেঁপে যায়। দু’জনকেই ফেরান আভেশ খান। দুরন্ত ফর্মে এই ভারতীয় পেসার। টি-২০ বিশ্বকাপে এই ছন্দ ধরে রাখতে পারলে সুবিধা হবে টিম ইন্ডিয়ার। স্রোতের বিপরীতে হেঁটে ক্লাসেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে শেষ পর্যন্ত বোল্ড হন সন্দীপ শর্মার বলে। প্রথম আট ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রান রেট ছিল এগারোর উপরে। কিন্ত সেটা ক্রমশ নীচের দিকে নামতে থাকে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে মূল্যবান ১৮ রান যোগ করেন শাহবাজ আহমেদ। তিনটি করে উইকেট নেন রাজস্থানের ট্রেন্ট বোল্ট ও আভেশ খান।