গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
প্রথম কোয়ালিফায়ারে কলকাতার সামনে কার্যত দাঁড়াতে পারেনি হায়দরাবাদ। নাইটদের বিপক্ষে ব্যাটিং-বোলিং কোনও কিছুই ক্লিক করেনি দক্ষিণের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। ৮ উইকেটে হেরে মাঠ ছেড়েছিল কামিন্সের দল। তবে লিগে প্রথম দুয়ে থাকার সুবাদে তাদের কাছে আরও একটি সুযোগ রয়েছে ফাইনালের টিকিট পাকা করার জন্য। শুক্রবার তার সদ্ব্যবহারে মরিয়া হায়দরাবাদ। তবে দুই ওপেনার অভিষেক ও ট্রাভিসের উপর বড্ড বেশি নির্ভরশীল এই দল। এই দু’জনে পাওয়ার প্লে’তে ঝড় তুললে বড় স্কোর খাড়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ১৯৯.৬২ স্ট্রাইক রেটে হেড ৫৩৩ রান করেছেন। আর ২০৭.৪ স্ট্রাইক রেটে অভিষেকের সংগ্রহ ৪৭০। তবে এই জুটি ব্যর্থ হলেই সমস্যায় পড়ছে হায়দরাবাদের মিডল অর্ডার। স্বাভাবিকভাবেই রাজস্থানের লক্ষ্য থাকবে দুই ওপেনারকে দ্রুত ফেরানো। তার জন্য স্যামসনের বড় ভরসা অশ্বিন-চাহালের দ্বিফলা স্পিন অস্ত্র। কারণ, চিপকের স্লো উইকেটে এমনিতেই বল থেমে থেমে আসে। তার উপর চেন্নাইয়ে বেড়ে ওঠার সুবাদে চিপকের প্রতিটি ঘাস অশ্বিনের চেনা। তাছাড়া আরসিবি’র বিরুদ্ধে এলিমিনেটর ম্যাচের অন্যতম নায়ক তিনিই। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে তুলে নিয়েছিলেন ২টি উইকেট। লেগ স্পিনার চাহালও ছন্দে আছেন। তাই পাওয়ার প্লে’তে স্যামসন এই দুই স্পিনারের একজনকে ব্যবহার করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
হায়দরাবাদকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে রাহুল ত্রিপাঠির রানে ফেরা। এছাড়া হেনরিখ ক্লাসেনও ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে সক্ষম। নীতীশ রেড্ডিও নিয়মিত রান পাচ্ছেন। তবে আইডেন মার্করাম, আব্দুল সামাদ, শাহবাজ আহমেদরা ধারাবাহিক নন। বোলিংয়ে হায়দরাবাদের মূল শক্তি পেস বিভাগ। প্যাট কামিন্স ও ভুবনেশ্বর কুমারের মতো অভিজ্ঞ বোলারের পাশাপাশি ফর্মে আছেন বাঁহাতি টি নটরাজন। তবে হায়দরাবাদের স্পিন বিভাগ বেশ দুর্বল। মায়াঙ্ক মারকান্ডে বা শাহবাজ চলতি আসরে সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি।
অন্যদিকে, টানা হারের ধাক্কা কাটিয়ে এলিমিনেটরে সাফল্যের পথে ফিরেছে রাজস্থান। ব্যাটিংয়ে তাদের প্রধান ভরসা ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন। ১৫ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত রয়্যালস অধিনায়কের সংগ্রহ ৫২১। পাশাপাশি ছন্দে ফিরেছেন যশস্বী জয়সওয়ালও। এতে শুধু রাজস্থান নয়, ভারতীয় দলও স্বস্তিতে। কারণ, আগামী মাসেই টি-২০ বিশ্বকাপের আসর বসবে। এছাড়া চলতি আইপিএলের নিজেকে নতুনভাবে মেলে ধরেছেন রিয়ান পরাগ। রাজস্থানের মিডল অর্ডারের স্তম্ভ তিনি। আরসিবি’র বিরুদ্ধে জয়েও ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন তরুণ তুর্কি। পাশাপাশি চোট সারিয়ে ফিরেছেন শিমরন হেটমায়ার। রাজস্থানের বোলিংও বেশ শাক্তিশালী। দুই স্পিনার অশ্বিন-চাহালের পাশাপাশি পেস বিভাগে আছেন ট্রেন্ট বোল্ট, আভেশ খান, সন্দীপ শর্মা।