গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
গোলরক্ষক হিসেবে তাঁর পছন্দ গিয়ানলুইগি বুফোঁ। আনসেলোত্তির কোচিংয়ে পারমা ও জুভেন্তাসে খেলেছেন এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক। রাইট ব্যাকে কাফু। এসি মিলানে আনসেলোত্তির দলের রক্ষণের অন্যতম ভরসা ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জেতেন তাঁরা। দুই সেন্টার ব্যাক থিয়াগো সিলভা ও জন টেরি। উল্লেখ্য, ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চেলসির প্রশিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন আনলেসোত্তি। সেই সময় তাঁর রক্ষণের অন্যতম ভরসা ছিলেন জন টেরি। ২০১০ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়েরও স্বাদ পায় দ্য ব্লুজ। আর লেফট ব্যাক পাওলো মালদিনি। এই ইতালিয়ান তারকার নাম নিতে দু’বারও ভাবেননি আনসেলোত্তি। ওয়ান ইজ টু ওয়ান সিচুয়েশনে মালদিনিকে পরাস্ত করা খুবই কঠিন। অসাধারণ ডিফেন্সিভ স্কিলের পাশাপাশি তাঁর পজিশন জ্ঞানও দারুণ। মিডফিল্ডার বাছতে গিয়ে অবশ্য কিছুটা সমস্যায় পড়তে দেখা গিয়েছে আনসেলোত্তিকে। আন্দ্রে পিরলোর সঙ্গে তিনি রেখেছেন ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ও লুকা মডরিচকে। রিয়াল মাদ্রিদে এখনও তাঁর কোচিংয়ে খেলছেন ক্রোট মিডিও। পাশাপাশি থিয়াগো আলকান্তারার কথাও উল্লেখ করেছেন ইতালিয়ান কোচ। অ্যাটাকিং মিডিও হিসেবে জিনেদিন জিদান ও কাকার মধ্যে আনসেলোত্তির পছন্দ ব্রাজিলিয়ানকে। তাঁর মন্তব্য, ‘জিদানের ড্রিবল বা বল কন্ট্রোল মারাত্মক। তবে কার্যকারিতার নিরিখে আমি কাকাকে নম্বর ১০-পজিশনে রাখব।’ আর দুই স্ট্রাইকার আন্দ্রে শেভচেঙ্কো ও জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও তাঁর অধীনে খেলেছেন। তবে তাঁর সেরা একাদশে সিআরসেভেনের জায়গা হয়নি।
কার্লো আনসেলোত্তির ফুটবল কেরিয়ারও বেশ বর্ণাঢ্য। ১৯৭৪ সালে পারমাতে পেশাদারি শুরু হয় এই ইতালিয়ান মিডফিল্ডারের। এরপর এএস রোমা ও এসি মিলানেও দাপিয়ে খেলেছেন তিনি। পাশাপাশি জাতীয় দলের জার্সিতেও ২৬টি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেন আনসেলোত্তি। ১৯৯১ সালে বুট জোড়ো তুলে রাখেন তিনি। আর অবসরের পরের বছরই অর্থাত্, ১৯৯২ সালে কোচিং কেরিয়ার শুরু তাঁর। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ইতালির জাতীয় দলে কোচ আরিগো সাক্কির সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। টেকনিক্যালি মাস্টারমাইন্ড সাক্কির থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তিনি। তারপর রেগিয়ানা, পারমা, জুভেন্তাস, এসি মিলান সহ অনেক বড় বড় ক্লাবে কোচ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। উল্লেখ্য, প্রথম কোচ হিসেবে ইউরোপের পাঁচ বড় লিগ জেতার রেকর্ডের মালিক কার্লো আনসেলোত্তি।