সংবাদদাতা, চাঁচল: খুব কম বয়স থেকে ফুটবলের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। স্কুল ছুটির পর বাড়িতে ঘাড়ের ব্যাগ ফেলে ছুটতেন মাঠে। তাঁর আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম কাপাশিয়া ফুটবলের জন্য খ্যাতি রয়েছে। এই গ্রাম থেকে বহু যুবক ফুটবল টুর্নামেন্টে সুনাম অর্জন করেছেন। চাষির ছেলে প্রদীপ টুডুও এই পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে এবার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ালেন একাদশের এই আদিবাসী তরুণ। বাংলা অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলে নিজের জায়গা করে নিয়েছে মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের কাপাশিয়া গ্রামের প্রদীপ। তবে শুধু প্রদীপই নয়, তালিকায় রয়েছেন ইংলিশবাজার থানার কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অভীক গোস্বামীও। দুই তরুণ ফুটবলারের সাফল্যে খুশি জেলাজুড়ে। প্রদীপের বাবা লক্ষ্মীরামের সারাদিন কাটে মাঠে। কাঁধে গামছা নিয়ে সকাল থেকে লেগে পড়েন চাষাবাদে। অভাবের সংসারে পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবলে ডুবে থাকতেন প্রদীপ। বাংলা অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলে ছেলে প্রদীপের সুযোগ মেলায় খুশিতে চোখে জল বাবা লক্ষ্মীরামের। বলেছেন, ছেলে এতদূর পৌঁছবে, ভাবতে পারিনি। যতই কষ্ট হোক, ছেলের পাশে আছি।
প্রদীপ জানান, ২ জুন থেকে হরিয়ানায় আমাদের টুর্নামেন্ট শুরু হবে। ২৮ মে দলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সুযোগ পেয়েছি, আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব। আরেক ফুটবলার অভীক গোস্বামীর বলেন, প্রাথমিক বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত দল নির্ধারণের জন্য আমাদের দিঘায় ডাকা হয়েছিল। সেখানে জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলাররা ছিলেন নির্বাচক হিসেবে। নির্বাচিত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বাংলা দলের ম্যানেজার দীপকুমার মাহাত বলেন, জাতীয় স্তরের ফুটবল প্রতিভা খুঁজতে প্রতিবছর অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করে নাইন এ সাইড ফুটবল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। চলতি বছরে এই প্রতিযোগিতা হরিয়ানার ফতেয়াবাদ জেলার দরিয়াপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রদীপ টুডু।-নিজস্ব চিত্র