হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
ওই যুগলের পরিবার জানিয়েছে, তাদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও পরিবারেরই আপত্তি ছিল না। তারপরেও কেন এঘটনা ঘটল, সেটা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। এটি আত্মহত্যা, না এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে, তা জানতে দুবরাজপুর থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে।
পুলিস জানিয়েছে, ওই মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। গোপাল পেশায় দিনমজুর। তিনি ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। ১০দিন ধরে তিনি বক্রেশ্বর এলাকাতেই দিনমজুরি করছিলেন। তাঁর সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেকথা দুই পরিবারের সদস্যরাই জানতেন। তাঁদের সম্পর্কে উভয় পরিবারের সায় ছিল। শুক্রবার রাত থেকে এই যুগলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। উভয় পরিবারের তরফে রাতভর খোঁজ চালিয়েও হদিস মেলেনি। পরে এদিন সকালে বাড়ির অদূরে বক্রেশ্বর নদের ধারে জঙ্গলে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয় চাষিরা। প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করছে, ওই যুগল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। এঘটনায় উভয় পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। গোপালের বাবা আনন্দ বাগদি বলেন, দুই পরিবারের মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না। দু’জনের মধ্যে ভালোবাসা ছিল। ওরা বিয়ে করলে আমরা মেনে নিতাম। তবে কেন এমন পথ বেছে নিল, বুঝে উঠতে পারছি না। মৃতার এক আত্মীয় বলেন, কেমন এমন ঘটনা ঘটল জানি না। তবে ওই রাতে মেয়েটি খাবার খায়নি।