হঠাৎ পাওয়া যোগাযোগের মাধ্যমে কর্ম জটিলতার অবসান ও মানসিক চিন্তামুক্তি। আয় ব্যয়ের ক্ষেত্র ঠিক থাকবে ... বিশদ
নামে বালিকা বিদ্যালয় হলেও এই প্রাথমিক স্কুলে ছাত্রীদের পাশাপাশি ছাত্ররাও পড়ে। স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ১২৫। চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। বেশ কয়েকবছর ধরেই যমশেরপুরের এই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের লেখা ছড়া ও কবিতা বাছাই করে নিয়মিত দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পত্রিকার বিষয়ভিত্তিক বিশেষ সংখ্যাও প্রকাশ করা হয়। যেমন কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর জন্মদিনে পড়ুয়ারা ওই কবির বিষয়ে কবিতা, ছড়া কিংবা প্রবন্ধ রচনা করে। তার মধ্যে সেরা লেখা বেছে দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশিত হয়। কখনও সরস্বতীপূজা, আবার কখনও ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়াল পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা বের হয়।
স্কুলের এক পড়ুয়ার অভিভাবক সঞ্জীব সরকার বলেন, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে নিয়মিত দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশ করা খুব সহজ কাজ নয়। তার উপর আবার বিষয়ভিত্তিক সংখ্যা প্রকাশ করায় খুদে পড়ুয়াদের বোধশক্তি বিকশিত হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই কাজ প্রশংসার যোগ্য।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকরকুমার সরকার বলেন, আমরা ছাত্রছাত্রীদের কবিতা, ছড়া ও প্রবন্ধ রচনা লেখায় উৎসাহিত করি। এজন্য প্রথমে ছাত্রছাত্রীদের সামনে সেই বিষয়টি তুলে ধরে আলোচনা করি। শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ছিল। এই দিনের মর্যাদা ও তাৎপর্য পড়ুয়াদের আগেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রছাত্রীরা সবাই কিছু না কিছু লিখেছে। তার মধ্যে কয়েকটি ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ ও ছবি বেছে ভাষা দিবস সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।
করিমপুর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সোমদেব মজুমদার বলেন, প্রত্যন্ত এলাকায় ওই স্কুলটা রয়েছে। অভিভাবকদের একটা বড় অংশ শ্রমজীবী মানুষ। তাঁদের মধ্যে শিক্ষার হারও কম। সেই অঞ্চলের একটি বিদ্যালয়ে এভাবে নিয়মিত দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশ করা দৃষ্টান্তস্বরূপ। এর ফলে শিশুরা সৃজনশীল কাজে যেমন মগ্ন হবে, তেমনি শৃঙ্খলা শিখবে। বিদ্যালয়ের পড়ুয়া দ্বিতীয় শ্রেণির সৌমিলি ঘোষ, চতুর্থ শ্রেণির রাজ সর্দার ও জৈতিক পোদ্দার বলে, প্রতি মাসে আমরা গল্প, ছড়া লিখি। সেটা দেওয়াল পত্রিকায় জায়গা পেলে খুব ভালো লাগে।