মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দলের বাইরে কেউ যাবেন না। কেউ দল বিরোধী কাজ করলে তাঁকে রাস্তা দেখাতে হবে। ‘মিরজাফর’দের শেল্টার আমরা দেবো না।’ তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক বুথ সভাপতি ও কর্মীদের বলছি, দলের হয়ে কাজ করলে কোনও ভয় পাবেন না। আর গুজবে কান দেবেন না। দলের জন্য পরিশ্রম করতে হবে।
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ২০২৫ সালটা শাসকদলের কাছে ঘর গুছিয়ে নেওয়ার সময়। তাই দলের পদে বসে কোনও ফাঁকিবাজি নয়। সেটা নেতৃত্বকে বুঝিয়ে দেন মহুয়া মৈত্র। বিগত নির্বাচনে কোন বুথে ফল ভালো এবং কোন বুথে ফল খারাপ হয়েছে তা নিয়েও কর্মী সম্মেলনে আলোচনা করেন তিনি। পিছিয়ে থাকা বুথগুলিতে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। যাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হারানো ভোট তৃণমূলের ঘরে ফিরতে পারে।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধেই দলের বিরোধী ভোট করার অভিযোগ উঠেছিল। কৃষ্ণনগর লোকসভাতেও তৃণমূলের একটা অংশ নির্বাচন ময়দান থেকে দূরে ছিল। আড়ালে আবডালে দল বিরোধী নানা মন্তব্যও করছিলেন তাঁরা। যার রিপোর্ট গিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলাতে ইতিমধ্যেই বেশি কিছু জায়গায় অঞ্চল সভাপতিকে পরিবর্তন করেছে দলীয় নেতৃত্ব।
সম্প্রতি কর্মী সম্মেলন থেকে প্রকাশ্যেই ‘কালিদাস মার্কা’ নেতাদের সময় ফুরিয়ে আসার বিষয়টি বুঝিয়ে দেন মহুয়া মৈত্র। সম্প্রতি মহুয়া মৈত্রের জেলা সভাপতি পদ থাকা নিয়েও জলঘোলা শুরু করেছে তৃণমূলের একটা অংশ। দলের অন্দরেই সভাপতি পরির্বতন নিয়ে চর্চায় মেতেছে তারা। মহুয়া বলেন, কৃষ্ণনগর লোকসভার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। যার জন্য আমি মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এটা ভোটের রাজনীতি হতে পারে না। এটা ভালোবাসার টান।