মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বড়ঞার এই গ্রামে যে এসেছিলেন তা স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে। গ্রামের ঘোষমৌলিক পরিবারের সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বহু চিঠিপত্রের আদানপ্রদান তা প্রমাণ করে। গ্রামের প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী সুনীলমোহন ঘোষমৌলিকের সঙ্গে নেতাজির নিয়মিত চিঠিপত্রের আদান প্রদান হতো। ঘোষমৌলিক বাড়িতে সেইসব চিঠি আজও সযত্নে রক্ষিত আছে। জানা গিয়েছে, ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৭ সালের মধ্যে নেতাজি ওই বাড়িতে এসে রাতের আহারে লুচি, আলুর দম ও পায়েস খেয়েছিলেন। সন্ধ্যায় গ্রামের যুবকদের নিয়ে সাংগঠনিক কাজও সারেন।
প্রতিবছর গ্রামের মানুষ শ্রদ্ধা সহকারে নেতাজির জন্মদিবস পালন করে থাকেন। গ্রামের নেতাজি মূর্তির পাদদেশে বাসিন্দারা মিলিত হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের এই মহান নায়ককে শ্রদ্ধা জানান। তবে এবছর জমকালো অনুষ্ঠান হতে চলেছে। আয়োজকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সাত সকালেই গ্রামের আটটি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে গ্রামের মানুষ একত্রে শোভাযাত্রা করবেন। বর্ণাঢ্য মিছিল গোটা গ্রাম পরিক্রমার করার পর নেতাজি মূর্তির পাদদেশে শেষ হবে। এরপর দিনভর চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আয়োজক কমিটির সদস্য আলহাজ আতাহার শেখ বলেন, নেতাজি আমাদের গর্ব। এখানে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের কোনও ব্যাপার নেই। আমরা হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পায়ে পা মিলিয়ে নেতাজিকে সম্মান জানাব। এখন তার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। পাঁচথুপি নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক অজিতকুমার লাহা বলেন, নেতাজিকে নিয়ে আমরা গর্ব করতেই পারি। নেতাজির গ্রামে আসা ও রাত্রিবাসের কাহিনি আজও চর্চার বিষয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি যেভাবে গ্রামের যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন তাও চর্চার বিষয়। মৌমিতা ধর জানান, নেতাজির স্মারকগুলি একে একে এই গ্রাম থেকে বিলুপ্ত হতে চলেছে। তবে নেতাজিকে আমরা মনের মধ্যে যে জায়গা দিয়েছি, তা কোনওদিন বিলুপ্ত হবে না। তাই এলাকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এদিন একসঙ্গে পথ চলব।
সুনীলমোহন ঘোষমৌলিকের ছেলে সুদীপমোহন বলেন, নেতাজির প্রদর্শিত পথে আজও গ্রামের মানুষ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে রয়েছেন।