মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
সামশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সাকিম শেখ ও প্রতাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের সদস্য তাসিকুল ইসলাম দু’জনই জমি কেনাবেচার কারবার করেন। জমি কেনার জন্য জমা দেওয়া অগ্রিম টাকা চাওয়া ঘিরে এদিন গণ্ডগোল বাধে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছে, ওই দুই জনপ্রতিনিধির এই ঝামেলার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
সামশেরগঞ্জ থানার এক আধিকারিক বলেন, টাকাপয়সা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। গুলি চলারও কোনও প্রমাণ মেলেনি। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিস জানিয়েছে, সোমবার রাত প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ সাকিম শেখ চকসাপুরে তাসিকুল ইসলামের বাড়িতে যান। অভিযোগ, বাড়িতে গিয়ে বহু ডাকাডাকি করলেও পঞ্চায়েত সদস্য কোনও সাড়া দেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সাড়া না মেলায় কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ওই বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়েন বলে অভিযোগ। এরপরই ওই পঞ্চায়েত সদস্য ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। তখন তাদের মধ্যে বচসা থেকে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কৃষি কর্মাধ্যক্ষের অভিযোগ, সেসময়ই তাসিকুল তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
সাকিম শেখ বলেন, একটা জমি কেনার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই জমিটি বিক্রি হয়নি। আমার টাকা চাইতে গেয়ে সে বারবার কথার খেলাপ করে। এদিনও আমি সেই টাকা চাইতে ওর বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু টাকা চাইতেই আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।
ধৃত পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী মাসিদা বিবি বলেন, আমার স্বামী রাতে ঘরেই ছিলেন। সাকিম শেখ সেসময় দলবল নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা তাদের বলেছিলাম, বাকি টাকা কিছুদিনের মধ্যেই শোধ করে দেব। কিন্তু তারা সেসব কথা শোনেনি। বরং আমার স্বামীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে মারধর করে। শুধু তাই নয়, ওরা পিস্তল নিয়ে এসে আমার স্বামীকে খুনের চেষ্টা করেছে। ঘটনার পর থেকে আমরা আতঙ্কে রয়েছি।