মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত সিসিটিভিগুলি পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন প্রবেশপথ, জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং যাতায়াতের নির্জন রাস্তায় বসানো হবে। এছাড়া, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্নানের ঘাটগুলিতেও নজরদারি রাখা হবে। এবিষয়ে পঞ্চায়েত একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে পঞ্চায়েতের।
পঞ্চায়েতের বেশকিছু এলাকায় দিনের পর দিন চুরি ও অসামাজিক ঘটনা ঘটছে। তাই পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী সকলেই খুশি। এব্যাপারে নবদ্বীপ থানার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েতের তরফে খুবই ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দোষীদের চিহ্নিত করা যাবে। প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতেও সুবিধা হবে।
নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতু ও কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক থেকে একটি রাস্তা গৌরনগর হয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকছে। সেই প্রবেশ পথেও সিসিটিভি থাকছে। সেরকমই উত্তর ও দক্ষিণ কলাতলা, নবদ্বীপ ঘাট বাসস্ট্যান্ড চার মাথার মোড়, ফেরিঘাটের মতো কয়েকটি রাস্তা দিয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় প্রবেশ করা যায়। সেই সব জায়গাতেও সিসি ক্যামেরা বসানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এই পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে ব্লকেরই বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যাতায়াত করেন। অনেকেই নানা যানবাহনে নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতু থেকে কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক হয়ে এই পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপে যাতায়াত করেন। ফলে সার্বিক নজরদারি জরুরি হয়ে পড়েছিল। এই সিসিটিভিগুলি পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে মনিটরিং করা হবে।
চরব্রহ্মনগরের বাসিন্দা গৃহবধূ ভারতী দাস এবং গৌরনগরের বাসিন্দা গৌরী সেন বলেন, আমাদের মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টা আরও সুরক্ষিত হল। এই নির্জন এলাকার রাস্তা দিয়ে অধিকাংশ গাড়ি যাতায়াত করে। এমনকী এখানে বহিরাগত মানুষেরও আনাগোনা লেগেই থাকে। তাই এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে আমরা রাতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করি। অনেক সময় টিউশন পড়ে সন্ধ্যার পর ছেলেমেয়েদের একলা বাড়ি ফিরতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রাধেশ্যাম দেবনাথ বলেন, চরব্রহ্মনগর এলাকায় বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় বাইরের লোকের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। এতদিনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। অনেক আগেই এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে এই ব্যবস্থা করা হলে ভালো হতো। তবে সিসি ক্যামেরা থাকলে দুষ্কৃতীরা অসামাজিক কাজ করতে গেলে ভাবনা-চিন্তা করবে।
চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েত প্রধান স্বপন দেবনাথ বলেন, এলাকার নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। রাজ্য সরকারের পঞ্চম অর্থ কমিশনের বরাদ্দকৃত আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সিসিটিভিগুলি লাগানো হবে। এখন জায়গা চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবদ্বীপ ব্লকের মধ্যে আমাদের পঞ্চায়েতকে কাজের নিরিখে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা দেওয়া হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র