মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
অধ্যক্ষ বলেন, এর আগে আমরা ন্যাকের ‘বি প্লাস’ গ্রেড পেয়েছিলাম। তারপর থেকেই আরও ভালো গ্রেড পেতে আমরা লাগাতার চেষ্টা করে গিয়েছি। কলেজের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী, ছাত্রছাত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টার ফলেই আমরা এবার ‘বি প্লাস প্লাস’ গ্রেড পেলাম। ন্যাকের তরফে আমাকে ই-মেল করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শীঘ্রই শংসাপত্র আমরা হাতে পাব। এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। আগামী দিনে কলেজকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সাফল্য অনুপ্রেরণা দেবে। তিনি আরও বলেন, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রূপকুমার বর্মণ কলেজের এই সাফল্যের জন্য আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই বিশেষ গ্রেড কলেজের ভবিষ্যৎ পঠনপাঠন ও পরিকাঠামোগত উন্নতিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। অধ্যক্ষ বলেন, এই সাফল্য পেয়ে আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। কলেজে আরও শ্রেণিকক্ষ, স্থায়ী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী প্রয়োজন রয়েছে। বিজ্ঞান ও কলা বিভাগে নতুন করে কিছু বিষয় ও কলেজে স্নাতকোত্তর পাঠক্রম চালুর দাবিও আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মহলে জানিয়ে আসছি। এছাড়াও কলেজে স্টাফ কোয়ার্টার, ছাত্রদের হস্টেল, কয়েকটি পরীক্ষাগার নির্মাণ করা দরকার।
মহাবিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গুণমান নিশ্চিতকরণ বিভাগের (আইকিউএসি) সমন্বয়কারী অধ্যাপক পরিমল সোরেন বলেন, ন্যাকের ‘বি প্লাস প্লাস’ গ্রেড পাওয়ার পিছনে সকলের নিরলস প্রচেষ্টা রয়েছে। আগামী দিনে বাঁকুড়া জেলায় উচ্চশিক্ষার প্রসারে আমাদের কলেজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী।
কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি হৃদয়মাধব দুবে বলেন, সমিতির অন্যান্য সদস্য, অভিভাবক, স্টাফ কাউন্সিল সহ প্রশাসনের সহযোগিতায় সার্বিকভাবে আমরা উন্নতি করতে পেরেছি। কলেজের উন্নয়ন যে যথাযথভাবে হচ্ছে তা ন্যাকের ওই বিশেষ স্বীকৃতিতে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। গোবিন্দপ্রসাদ মহাবিদ্যালয় গোটা গঙ্গাজলঘাটি ব্লক ও আশপাশের এলাকার ছাত্রছাত্রীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। ওই কলেজে বর্তমানে অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে এসে পড়তে চাইছে।