সংবাদদাতা, কাটোয়া: ‘মঙ্গলকোট, আউশগ্রামের সংগঠন আগের মতোই দেখব। একশো ভাগ দেখব।’ আড়াই বছর পর মঙ্গলবার মঙ্গলকোটে এসে একথা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিহার জেল থেকে জামিনে মুক্তির পর এদিন ক্ষীরগ্রামে সতীপীঠ যোগাদ্যা মায়ের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুকন্যা। এদিন ক্ষীরগ্রামে বিশেষ ভোগপ্রসাদ খাওয়ানোর আয়োজন করেন বিধায়ক। বহু মানুষ প্রসাদ খান। সেখানেই অনুব্রতকে এক ঝলক দেখতে হাজির হন বহু তৃণমূল নেতা-কর্মী। উল্লেখ্য, আগে অনুব্রত মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম, এই তিন বিধানসভার দলীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন। কিন্তু জেলযাত্রার পর চিত্র বদলেছে। তাঁর দায়িত্বে থাকা এলাকায় তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভার সাংগঠন জেলার নেতারা দেখতেন। দলীয় নির্দেশও তেমনই ছিল। কেষ্ট অনুগামীরা কিছুটা কোণঠাসা ছিলেন। কেষ্ট ফের মঙ্গলকোটে আসায় তাঁর অনুগামী নেতা-কর্মীরা অক্সিজেন পেলেন।
এদিন দুপুরে যোগাদ্যা মায়ের মন্দিরে আসেন অনুব্রত ও সুকন্যা। তাঁরা পরিবারের মঙ্গল কামনার পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম-গোত্র ধরে পুজো দেন। ক্ষীরগ্রামের দিঘিতে খোশমেজাজে মাছকে বিস্কুট খাওয়ান। মন্দির চত্বর ঘুরিয়ে দেখান মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত বলেন, অনেক দিন পর মঙ্গলকোটে এলাম। মঙ্গলকোটের মাটি শক্ত। এখানকার প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও দলনেত্রীর জয়জয়কার হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রতবাবু বলেন, মঙ্গলকোট, আউশগ্রামের সংগঠন অবশ্যই দেখব। তাঁর কথা শেষ হতে না হতেই কর্মীদের উল্লাস করতে দেখা যায়। এদিন বিধায়কের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কাউকে দেখা যায়নি।
এব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দল বলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত বিধানসভা জেলার সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যেই থাকবে। এখনও সেটাই আছে। এর বাইরে আমি কিছু বলতে পারব না।