বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
বঙ্গভূমির অন্যতম প্রাচীন শহর কৃষ্ণনগর। বাংলার ইতিহাসের অনেক গল্প জড়িয়ে আছে এই শহরের সঙ্গে। যার মধ্যে অন্যতম হল এই ছ্যাকড়া গাড়ি। যদিও এই ছ্যাকরা গাড়ির দেখা মূলত কলকাতা ও তার শহরতলি এলাকায়। কিন্তু যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে তখন ভাগীরথীর তীরবর্তী বঙ্গভূমির ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। কৃষ্ণনগর শহরের এই চাকচিক্য তখন কল্পনাতীত। শহরে বর্তমানে অবশিষ্ট ভাঙাচোরা রাস্তার অস্তিত্বও তখন ছিল না। তার মধ্যে দিয়েই ছুটত ছ্যাকরা গাড়ি। যে ঘোড়ার গায়ে চাবুক মারত তাকে কোলম্যান বলা হতো। কিন্তু কৃষ্ণনগরবাসী তাঁদের ‘কচুয়ান’ বলেই ডাকতেন। তাঁরা অধিকাংশরাই মুসলিম সম্প্রদায়ের হতেন।
বেশ অদ্ভুত রকমের দেখতে হতো এই ছ্যাকড়া গাড়িকে। গাড়ির যেখানে যাত্রীরা বসত, সেই জায়গাটা দেখতে ছিল অনেকটা পালকির মতো। সামনে থাকতো দু’টো ঘোড়া। আরশি গাড়ির ছাদের মাথার সামনে বসত কেচুয়ান। চবুকের আঘাত পড়লেই দৌড় মারত ঘোড়া। সেইসঙ্গে গতি বাড়ত ছ্যাকড়া গাড়ির। অতীতে কৃষ্ণনগর শহরের ছ্যাকড়া গাড়ির কথাও উল্লেখ হয়েছে বিভিন্ন লেখকের বইয়ে। শহরের আদি বাসিন্দাদের কথায়, এই ছ্যাকড়া গাড়ির সংখ্যাও কৃষ্ণনগর শহরে নেহাত কম ছিল না। যদিও তা বর্তমানে টোটোর সংখ্যার কাছে নগন্য। অনেকেই বলেন, ছ্যাকড়া গাড়ি চলার প্রবণতা শহরের উচ্চবিত্ত ধনী পরিবারের মানুষজনদের সবচেয়ে বেশি ছিল।