বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
কোতুলপুরের গাঁতি গ্রামে সাত্ত্বিকের বাড়ি। বাবা বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য পুরোহিত ছিলেন। দু’বছর আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বাড়িতে তাঁর মা সোমা ভট্টাচার্য ছাড়াও দাদু ও ঠাকুমা রয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই সাত্ত্বিকের যোগাসনের প্রতি ঝোঁক ছিল। কোতুলপুরের ইলেভেন বুলেট ক্লাবে নিয়মিত অনুশীলন করেন। স্থানীয় গোগড়া হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। বর্তমানে হুগলির বেঙ্গাই অঘোরকামিনি প্রকাশচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের শারীরশিক্ষা বিভাগে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন। সাত্ত্বিক বলেন, আমার ঠাকুমা এবং মায়ের উৎসাহে ছোট থেকেই যোগাসনের অনুশীলন শুরু করি। তারপর স্কুল ও ওপেন বিভাগে যোগাসনের রাজ্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকস্তরের নানা প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছি। এবার ইউনিভার্সিটিস্তরে সাফল্য পাওয়ায় এশিয়ান গেমসের মতো প্রতিযোগিতায় আমার নাম মনোনীত করা হয়েছে। এতে আমি ভীষণ খুশি। সাত্ত্বিকের মা সোমা ভট্টাচার্য বলেন, ছেলেকে যোগাসনে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু, তিনি অকালে চলে গিয়েছেন। বেঁচে থাকলে ছেলের এই সাফল্যে তিনি ভীষণ খুশি হতেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য যোগ অ্যাসোসিয়েশনের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি নিরূপ দে বলেন, সাত্ত্বিক আমাদের জেলা তথা রাজ্যের গর্ব। ভুবনেশ্বরের প্রতিযোগিতায় ৫৭৬টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত্ত্বিক প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। প্রতিযোগিতায় তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন। এবারই প্রথম এশিয়ান গেমসে যোগাসনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৬ সালে জাপানোর টোকিও শহরে তা অনুষ্ঠিত হবে। তাতে ভারতের হয়ে সাত্ত্বিক প্রতিনিধিত্ব করবে। আমরা ওর সাফল্য কামনা করছি। -নিজস্ব চিত্র