বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের ঘোষণা করেন। বর্তমানে তারকেশ্বর থেকে গোঘাট পর্যন্ত চলছে ট্রেন। গোঘাট থেকে যাত্রীরা সরাসরি এক ট্রেনে চলে যান হাওড়ায়। তার জেরে সহজ হয়েছে রাজধানীতে যাওয়ার পথ। শুক্রবারই বিষ্ণুপুরের ময়নাপুর থেকে বড় গোপীনাথপুর পর্যন্ত নতুন রেল লাইনে ট্রায়াল রান হয়। তাই এবার বাকি অংশে রেল চলাচল নিয়েও আশায় বুক বাঁধছেন বাঁকুড়া ও হুগলি জেলার যাত্রীরা।
তারকেশ্বর ও বিষ্ণুপুর দু’টিই প্রষিদ্ধ এলাকা। ফলে নিত্যদিন বাইরে থেকে বহু মানুষ এখানে যাতায়াত করেন। রেল মানচিত্রের মাঝে জুড়ে যাওয়ার কথা আরও দুই তীর্থ ক্ষেত্র কামারপুকুর ও জয়রামবাটির। কিন্তু, বছরের পর বছর পেরলেও গোঘাট ও কামারপুকুরের মাঝে ভাবাদিঘিতে আটকে রয়েছে রেল প্রকল্পের কাজ। দিঘি বাঁচিয়ে রেল পথ নির্মাণের দাবিতে সেখানকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। তারফলে সেখানে লাইন পাতার কাজ এগয়নি। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর শাখাতেই পৃথক দু’টি স্টেশনের মাঝে ট্রায়াল রান হওয়ায় ফের ভাবাদিঘি নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। সামাজিক মাধ্যমেও অনেকে এনিয়ে সরব হয়েছেন।
আরামবাগ রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জগবন্ধু নন্দী বলেন, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সম্পূর্ণ করার দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। ভাবাদিঘির জট কাটিয়ে এই শাখায় ট্রেন চালু হোক তা আমরা সবাই চাই। একইসঙ্গে আরও নানা দাবি রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা একাধিক জায়গায় ফেস্টুন দিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তারসঙ্গে রেলের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গেও এনিয়ে আলোচনা চালাচ্ছি।
কামারপুকুরের ‘রেল চাই’ পক্ষের সদস্য বিকাশ মালিক বলেন, আমরা ইতিমধ্যে রেল চেয়ে একাধিক আন্দোলন করেছি। ভাবাদিঘির সমস্যা সমাধান চেয়ে আরটিআই করা হয়েছে। একদিকে যখন এই শাখাতেই ট্রায়াল রান হয়েছে তখন আমাদের এলাকায় ভাবাদিঘির সমস্যা কাটিয়ে কামারপুকুর স্টেশন পর্যন্ত দ্রুত রেল চালু করার দাবিও জানাচ্ছি।
বাঁকুড়ার বাসিন্দা জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, এই শাখার কাজ শেষ হয়ে ট্রেন চললে বাঁকুড়ার পাশাপাশি পুরুলিয়ার যাত্রীরাও উপকৃত হবেন। কলকাতার দূরত্ব অনেকটাই কমে যাবে। রেল কর্তৃপক্ষ যাতে এব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগী হয় সেই আবেদন জানাচ্ছি।
ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সম্পাদক সুকুমার রায় বলেন, ২০১০ সাল থেকে ভাবাদিঘি নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু, বাকি অংশে কোনও সমস্যা নেই। তাহলে সেখানে রেল লাইনের কাজের গতি এত শ্লথ কেন? ভাবাদিঘিতে মাত্র ৯০০ মিটার অংশে জট আছে। বাকি অংশে সমস্যা আছে বলে জানা নেই। আসলে রেল ও রাজ্য সরকারের এই শাখার রূপায়ণ নিয়ে সদিচ্ছা নেই বলেই এই পরিস্থিতি। আমরাও চাই দিঘিকে বাঁচিয়ে রেল লাইন হোক।
পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, সবাই নজর দিলেই কাজ হবে। বৃহত্তর স্বার্থে সবাই কাজে সহযোগিতা করলে প্রকল্প হবে। রেল সব সময় এব্যাপারে কথা বলছে। সমাধান সূত্র বের হলেই তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর জুড়বে রেললাইনে। -নিজস্ব চিত্র