বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
সোমবার সন্ধ্যায় মোহনপুর থানার সামসারা পাটপাড়া হাই স্কুলের হীরক জয়ন্তী পূর্তি অনুষ্ঠান ছিল। চারদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আমন্ত্রিত ছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের সদ্য নিযুক্ত দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ারম্যান মণিকান্ত পারিয়া। এদিন মঞ্চে তাঁর পাশেই বসে থাকতে দেখা যায় বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান শিক্ষক প্রদীপ পাত্রকে। প্রদীপবাবু মোহনপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে মোহনপুর থানায় চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। এর আগেও এমন অভিযোগ উঠেছিল প্রদীপবাবুর বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, চাকরি চুরিতে যাঁর নাম জড়িয়েছে, তাঁর পাশেই বসে থাকতে দেখা গেল স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, যেখানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে, লক্ষ লক্ষ বেকার ও যোগ্য শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন, সেখানে এভাবে এক অভিযুক্তের পাশে চেয়ারম্যানের উপস্থিতি লজ্জার বিষয়। তবে যে রাজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়, সে রাজ্যে এমন দৃশ্য অস্বাভাবিক নয়।
মণিকান্তবাবু বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তাই গিয়েছিলাম। তাঁরা কাকে আমন্ত্রণ করবেন বা মঞ্চে অতিথি হিসেবে রাখবেন সেটা তাঁদের দায়িত্ব, আমার নয়। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শেখ ইয়ার আলি বলেন, প্রদীপবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। উইন শিক্ষা অনুরাগী, তাই স্কুলের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রদীপবাবু বলেন, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। মানুষ সঠিক সময়ে এর জবাব দেবে। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, প্রদীপবাবু বর্তমানে আমাদের দলের কেউ নন। তবে চেয়ারম্যানের উচিত ছিল অনুষ্ঠানে কে কে আমন্ত্রিত, তা দেখে নেওয়া। এই কারণেই সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে যে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিজেপি নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে।-নিজস্ব চিত্র