বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
ঘূর্ণিঝড় ডানার আগে যাঁরা আলু চাষ করেছিলেন, এখন সেই সমস্ত জমির আলু উঠতে শুরু করেছে। বাজারে খুব কম পরিমাণে আমদানি হচ্ছে। যদিও বেশি দামের আশায় চাষিরা আলুর দানা মোটা হওয়ার আগেই জমিতে কোপ বসাচ্ছেন। গত শুক্রবার চাষিরা বস্তা প্রতি ১১০০ টাকা হিসেবে দাম পেয়েছেন। শনিবার ৫০ টাকা নেমে দাম ১০৫০ টাকায় এসেছিল। রবিবার জমি থেকে বহু ফড়ে ও ব্যবসায়ী হাজার টাকা বস্তা হিসেবে চাষিদের কাছ থেকে আলু কিনছেন। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিক থেকেই ব্যাপক হারে আলু উঠতে শুরু করবে বলেই আলু ব্যবসায়ীদের দাবি। তার আগে বিহারের গোলাপবাগ, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাবের আলু হু হু করে বাংলায় ঢুকছে। ভিন রাজ্যের আলুর সাইজ বড় হলেও বাংলার আলুর থেকে কম দামেই বিকোচ্ছে। বিহারের গোলাপবাগের আলু পাইকারি বাজারে ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাবের আলু সেই আড়তেই বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা বস্তা দরে। অথচ বাংলার আলুর দাম বেশি হলেও চাহিদা অনেক বেশি। বহরমপুর শহরের খুচরো বাজারে স্থানীয় নতুন ও পুরাতন আলু একই দামে ৩০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আলু ব্যবসায়ী হীরা মির্জা বলেন, এখন খুব কম পরিমাণে আলু উঠছে। সেই তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। ভিন রাজ্যের আলু অপেক্ষা মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের আলুর গুণমান অত্যন্ত ভালো। বড়ঞা ব্লকের আলু চাষি জিতেন পাল বলেন, সাইজ ছোট হলেও কদরে বিকোচ্ছে। খরচার সমান সমান লাভ হচ্ছে। এর বেশি কী চায়। তবে পুরাতন আলু ব্যবসায়ীদের কাছে কার্যত গলগ্রহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার বর্ডার সিল করে দেওয়ায় হিমঘরের আলুর দাম ক্রমাগত নীচে নামছে। একশো ব্যাগ আলু হিমঘর থেকে বের করে রেডি করতে গিয়ে ৭০-৬৫ ব্যাগে দাঁড়াচ্ছে। রেডি করতে গিয়ে ছোট ও মাঝারি সাইজের আলু বাংলায় বিকোয় না। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে বিকোয়। এবার সেই রাস্তা বন্ধ। হিমঘর মালিক সুনীল ঘোষ বলেন, এখন চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। এবার নতুন আলুর বাজার পুরাতন আলু নষ্ট করবে। এখনও মুর্শিদাবাদের দু’টি হিমঘরে প্রচুর পুরাতন আলু মজুত রয়েছে।