পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান লাগোয়া ওই ঘাটাল ব্লক হাসপাতালটি। প্রত্যন্ত এলাকায় হাসপাতালটি হওয়ায় ঘাটাল ব্লক ছাড়াও খড়ার পৌরসভা, চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ওই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক দিন আউটডোরে প্রায় ৩০০জন রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। ৩০ শয্যা বিশিষ্ট ওই হাসপাতালে সমস্ত বেডেই রোগী ভর্তি থাকেন। স্থানীয়রা বলেন, হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর নেই। যার সুযোগ নিচ্ছে নেশাগ্রস্তরা। রাত হলেই এখানে বসছে মদের আসর। সকালে দেখা যায় মদের বোতল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। ওই হাসপাতালের একজন নার্স জানান, কিছুদিন আগেও হাসপাতালে নিরাপত্তা কর্মী ছিল। বর্তমানে নিরাপত্তা কর্মীরা আর হাসপাতালে আসছেন না। ডাক্তাববাবু ও আমাদের রোটেশনে ডিউটি করতে হয়। তাই কোয়ার্টার থেকে হাসপাতাল যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। রাতে কোয়ার্টারে পরিবারের সদস্যদের রেখে ডিউটি করতে এসে টেনশনে থাকতে হয়। হাসপাতালের মধ্যে দিয়ে অনেকে দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছে। বিএমওএইচ বলেন, এমনিতেই মদ্যপরা মাঝেমধ্যেই হাসপাতালে এসে তাণ্ডব করে। নার্সদের মারতে যায়। কীভাবে এর সমাধান করব, তা নিয়েই চিন্তায় রয়েছি। নিরাপত্তা কর্মী চেয়ে বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন মণ্ডল বলেন, শীঘ্রই ওই হাসপাতালে নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেব। প্রাচীরের বিষয়ে পূর্তদপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি সার্ভেও হয়েছে।